আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
342 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১.স্বামী কে বশে আনার বিভিন্ন আমল বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। এসব কি আসলেও পরীক্ষিত?যেমন বলা হয় يا باسطُ ৩০০ বার পড়ে খাদ্য দ্রব্যে ফুক দিয়ে খাওয়ালে স্বামী বশে আসে। এসব কি সত্যি? এগুলা করলে গুণাহ হবে?

২. আসলে বশে আনা বলতে যা বুঝায় ঠিক তা নয়, তবে কেউ যদি চায় তার স্বামী তার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হোক, তাকে ভালোবাসুক,স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বাড়ুক ইত্যাদি। এক্ষেত্রে কি কোন আমল আছে যা করলে স্বামীর ভালবাসা আরো বেশি পাওয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মানুষ জন্মগতভাবে আযাদ। কেউ কারো গোলাম নয়।তাই কারো জন্য জায়েয হবে না যে, সে অন্য কাউকে নিজের বশে নিয়ে আসবে। 

(২)
কাউকে বশ না করে, বরং পরস্পর মহব্বত সৃষ্টি অবশ্যই জায়েয।
গভীর রাত্রে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আগে-পরে৪১বার দুরুদ শরীফ সহ৭৮৬ বার "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"পড়ে পানিতে ফু দিয়ে উক্ত পানি উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে ২১ দিন/বার খাওয়ালে উক্ত ব্যক্তির সাথে মহব্বত সৃষ্টি হবে।(প্রতিদিন-১বার সম্ভব না হলে অন্তত চেষ্টা করবেন,সর্বমোট ২১বার হতে হবে)এবং প্রতি তিনদিন পর পর আবার ৭৮৬ বার পড়ে উক্ত পানিতে ফু দিতে হবে।এবং সূরা-ক্বিয়ামাহ পাঠ করে উক্ত পানিতে একবার ফু দিবেন।

তাহাজ্জুদের কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে।ইনশা'আল্লাহ গভীর মহব্বত সৃষ্টি হবে।


(খ)
৯৪ নং সূরা "ইনশিরাহ" পড়ে আপনার  স্বামীর বুকে মাথা রেখে আলতো আদর করে করে ফু দিবেন। চায় সজাগ অবস্থায় হোক বা ঘুমন্ত অবস্থায় হোক। এবং তার চুল ধরে আপনি ৯৭ নং সূরা (সূরা ক্বদর) পড়বেন।
আপনি যখন স্বামীর সাথে একান্ত সময় (পারিবারিক/বৈবাহিক) সময় অতিবাহিত করবেন, তখন আপনি আল-মুগনি শব্দকে মনে মনে ধারণা করবেন।

হ্যা আপনার বর্ণিত আ'মলও করতে পারেন।তবে কোনোটাই কুরআন সুন্নাহ বর্ণিত আ'মল নয়।এবং এগুলোর নিজস্ব কোনো কার্যক্ষমতা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
তাহলে এসব কেন আমন করব্র?
বিদআত হবে না??
by (583,410 points)
জরুরী মনে করে করলে অবশ্যই বিদআত হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...