আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

আমি সূরা তওবা তিলাওয়াতের সময় বিসমিল্লাহসহ পাঠ করে ফেলেছি। বেশ কিছু পাঠ করার পর খেয়াল হয়েছে।
এখন ৯৪ আয়াতে আছি।
এতে কি আবার তিলাওয়াত করতে হবে? খতমের জন্য পড়ছি।
গুনাহগার হবো কি?

জাজাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/25043/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

মহানবী সা. এর জীবনে ২৩ বছরের দীর্ঘ পরিসরে অল্প অল্প করে কোরআন অবতীর্ণ হয়। এমনকি একই সূরার বিভিন্ন আয়াত বিভিন্ন সময়ে অবতীর্ণ হয়। ওহি আসার পর কোন সূরা কোথায় স্থান পাবে তা রাসুলুল্লাহ সা. বলে দিতেন, ওহি লেখকরা তা সেভাবেই লিখে নিতেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সা. এই সূরার আগে বিসমিল্লাহলেখার নির্দেশ দেননি। এ অবস্থায় তাঁর ইন্তেকাল হয়। ফলে হজরত উসমান রা. এর আমলে নতুনভাবে কোরআন সংকলন করার সময়ও এই সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহলেখা হয়নি। এর মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হয় যে কোরআন সব সংশয়, সন্দেহ, পরিবর্তন-পরিবর্ধনের ঊর্ধ্বে। অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি অবিকল ধারায় কোরআন বিদ্যমান।

 

শায়েখ আব্দুল্লাহ ইউসুফ আযযাম (রহঃ) তাফসীর এ সূরা তাওবা- ১৮ ও ১৯ পৃষ্ঠায় সুরা তওবার শুরুতে বিসমিল্লাহ না লেখার কারন হিসেবে উল্লেখ করেছেনঃ

 

ঈমাম নাসাঈ (রহঃ) নিজ সনদে হযরত উসমান (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, সূরা আনফাল (৮ম সূরা) মদিনায় অবতীর্ণ প্রথম দিকের সূরা আর সূরা তাওবা মদিনার শেষ দিকে অবতীর্ণ সূরা।। ইন্তেকালের পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্পষ্ট বলেন নি সূরা তাওবা সূরা আনফালের অংশ কিনা।। এজন্য উভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহ লেখা হয় নি।।

 

মুফাসসির তাবেঈদের মতে, হযরত উসমান (রা) এর সময়ে কোরআন সংকলন হলে সাহাবীদের মধ্যে ইখতিলাফ (মতভেদ) ছিল যে সূরা আনফাল এবং সূরা তাওবা ভিন্ন সূরা নাকি এক-ই সূরা।। এজন্য এই ২সূরার মাঝে বিসমিল্লাহলেখা হয় নি।। এতে করে উভয় মতের সাহাবীরাই খুশি হলেন।।

 

মুফাসসিরদের সর্দার, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা), হযরত আলী (রা)কে প্রশ্ন করেছিলেন সূরা তাওবার শুরুতে বিসমিল্লাহ না লেখার ব্যাপারে।। তিনি উত্তরে বলেন- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমএই বাক্যে শান্তি .ও নিরাপত্তার সংবাদ রয়েছে, অথচ সূরা তাওবাতে সকল শান্তি ও নিরাপত্তার চুক্তি বাতইল করে জিহাদের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।।

 

ঈমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন- রাসূলুল্লাহ (সঃ) নিজের পক্ষ থেকে কিছুই কোরআনে লিখতেন না।। জিব্রাইল (আঃ) বিসমিল্লাহনিয়ে আসেন নি, তাই এই সুরার শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখা হয় নি।।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. তিলাওয়াত যদি সরাসরি সূরা তাওবা দিয়েই শুরু করা হয়, তাহলে সুরা তওবা পড়ার সময় আওযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়তে হয়। আর কেবল আগের সূরার শেষে সরাসরি সূরা তাওবা পড়া শুরু করলে তখন বিসমিল্লাহ পড়তে হয় না।

 

২. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ পড়ার কারণে আপনার কোনো গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। আর খতমের জন্য পুনরায় আর পড়া লাগবে না। বরং আগের পড়াটাই আপনার জন্য যথেষ্ট।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...