আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (16 points)
আমার ব্যাংকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ডিপিএস আছে। আমার ব্যাংকে ঋন আছে ৫০ হাজার টাকা।  আর কিছু অলংকার বানাতে দিয়েছি সেখানে ঋন আছি দেড় লক্ষ  টাকা।  আমার  উপর কি যাকাত ফরজ হবে?
আর যদি যাকাত ফরজ হয় তো স্বর্ন ও অর্থ ২ টির ই কি একত্রে যাকাত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
https://ifatwa.info/41555/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে। 
আপনি যে ব্যাংক থেকে ঋন নিয়েছেন,এখানে এটি যদি ব্যবসায়ীক ঋন না হয়ে থাকে,বরং নিজের আবশ্যকীয় প্রয়োজন পুরন করার জন্য ঋন নেয়া হয়ে থাকে,তাহলে উক্ত ঋনের টাকা আপনি হিসেব থেকে বাদ দিয়ে সমুদয় সম্পত্তির মূল্য ধরে শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিতে হবে।
এখানে আপনি স্বর্নের মুল্য ধরে সেটিকে টাকার সাথে যুক্ত করে হিসেব করবেন।

যাকাত আদায় না করলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
,
عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده أن امرأة أتت رسول الله صلى الله عليه و سلم ومعها ابنة لها وفي يد ابنتها مسكتان غليظتان من ذهب فقال لها ” أتعطين زكاة هذا ؟ ” قالت لا قال ” أيسرك أن يسورك الله بهما يوم القيامة سوارين من نار ؟ ” قال فخلعتهما فألقتهما إلى النبي صلى الله عليه و سلم وقالت هما لله عزوجل ولرسوله

অনুবাদ- আমর বিন শুয়াইব থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিন [দাদা] বলেনঃ এক মহিলা তার কন্যাসহ রাসূল সাঃ এর খিদমতে উপস্থিত হন। তার কন্যার হাতে মোটা দুই গাছি স্বর্ণের চুড়ি [কাঁকন] ছিল। তিনি [রাসূল সাঃ] তাকে বললেনঃ তোমরা কি এটার যাকাত আদায় কর? মহিলা বলেনঃ না। রাসূল সাঃ বলেনঃ তুমি পছন্দ কর যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের কাঁকন পরিধান করান? রাবী বলেনঃ একথা শুনে মেয়েটি তার হাত থেকে তা খুলে নবী করীম সাঃ এর সামনে রেখে দিয়ে বললঃ এ দু’টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৬৩, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৭৭৯৯, সুনানুল কুবরা লিননাসায়ী, হাদীস নং-২২৫৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২০০৫}


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো ঋণ যদি এত হয় যা বাদ দিলে তার কাছে নিসাব পরিমাণ যাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে না তাহলে তার ওপর যাকাত ফরয নয়। (মুয়াত্তা মালেক ১০৭; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০০৩, ৭০৮৬, ৭০৮৯, ৭০৯০; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৫৪৭-৫৪৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/৮৩)
,
কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে যে, এই প্রসিদ্ধ মাসআলাটি সকল ঋণের ক্ষেত্রে নয়। 

ঋণ দুই ধরনের হয়ে থাকে।
 ক. প্রয়োজনাদি পূরণের জন্য বাধ্য হয়ে যে ঋণ নেওয়া হয়। 
খ. ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যে ঋণ নেওয়া হয়।
,
প্রথম প্রকারের ঋণ সম্পদ থেকে বাদ দিয়ে যাকাতের নিসাব বাকি থাকে কিনা তার হিসাব করতে হবে। নিসাব থাকলে যাকাত ফরয হবে, অন্যথায় নয়। 
,
কিন্তু যে সকল ঋণ উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয় যেমন কারখানা বানানো, কিংবা ভাড়া দেওয়া বা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বিল্ডিং বানানো অথবা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নিলে যাকাতের হিসাবের সময় সে ঋণ ধর্তব্য হবে না। অর্থাৎ এ ধরনের ঋণের কারণে যাকাত কম দেওয়া যাবে না। 
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৮৭)

বিস্তারিত জানুনঃ  

উল্লেখ্য যে ডিপিএস এর টাকা যদি এখন তোলা আপ্রান চেষ্টার পরেও কোনোভাবেই সম্ভব না হয়,তাহলে যেদিন টাকা উত্তোলন করবেন, সে সময়ে পূর্বের প্রত্যেক বছরের হিসেব করে যাকাত আদায় করতে হবে।

আরো জানুনঃ

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সম্ভবত ব্যংকের লোন এটি আপনার ব্যবসায়ীক লোন নয়।
তাই চার লক্ষ টাকা থেকে ঐ ঋনের ৫০ হাজার টাকা মাইনাস করে ধরবেন।
যেই অলংকার বানাতে দিয়েছেন,সেখানে আপনাকে যেহেতু দেড় লক্ষ টাকা দিতে হবে,তাই এই টাকাও মাইনাস করতে হবে।
আপনাত থাকছে আর ২ লক্ষ টাকা।
আপনি এই টাকার শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিবেন।
আর যেই স্বর্ন বানাতে দিয়েছেন,সেটিতো এখনো আপনাকে দোকানদার দেননি,তাই এটির আপাতত আপনাকে যাকাত দিতে হবেনা।
পরবর্তিতে হাতে আসার পর এটির যাকাত দিবেন।এখন আদায় করলেও করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...