আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
reshown by
অমুসলিমদের ধর্মীয় ছুটিতে মুসলমানদের করণীয়

শনিবার ও রবিবার হলো ইহুদী খ্রিষ্টানদের ছুটির দিন। ইহুদীরা ভাবে " আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এইদিনে জগৎ সৃষ্টির পরে বিশ্রাম নেন (নাউজুবিল্লাহ), খ্রিষ্টানরা ভাবে এইদিনে ঈসা (আঃ) ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন (নাউজুবিল্লা)।এইদিনে পশ্চিমা দেশসমূহের অফিস আদালত, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকে। মুসলিমরা কি এইদিনগুলোতে ছুটি পালন করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

সমাধানঃ-
ঐ সমস্ত দেশের আইন-কানুন প্রনয়ন মুসলমানদের হাতে নয় বরং সেই সমস্ত দেশের অমুসলিম নাগরিকদের হাতে। তারাই তাদের মতকরে আইন প্রনয়ন করে।
এই সমস্ত কারণে অমুসলিম দেশে ঢালাওভাবে মুসলমানদের অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয় না। 
অমুসলিম দেশে কিছু শর্তের ভিত্ততে প্রয়োজনে মুসলমানদের বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়।
এ সম্পর্কে ইতিপূর্বে একটি উত্তর দেওয়া হয়েছে।
তাদের ছুটির দিনে কাজকর্ম ত্যাগ না করলে যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে মুসলমানদের জন্য ছুটি পালন করা বৈধ হবে না।কেননা কোনো মুসলমানের জন্য অমুসলিমদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা কখনো বৈধ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(আবু-দাউদ-৩৫১২)
ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬।
কিন্তু যদি তাদের ছুটির দিনে কাজকর্ম করার কোনো সুযোগ না থাকে, বরং ছুটি পালন বাধ্যতামূলক হয় এবং পালন না করলে রাষ্টদ্রোহী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে,অথবা এ দিনে অফিস-আদালত বন্ধ থাকে আর তিনি তথাকার কর্মজীবী হন তাহলে নিরুপায় হয়ে তিনি ছুটি পালন করবেন। ঘরে বিশ্রাম নিবেন।বা শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ রাখবেন এতে কোনো সমস্যা নেই।
কেননা তথায় তাদের এছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।কেননা মূলনীতি হল
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
(আল আসবাহ ওয়ান নাযাইর-ইবনে নুজাইম ১/২৭৫)
এবং সুযোগ থাকলে কাজ করবেন,প্রতিষ্টান খোলা রাখবেন।
আসলে ছুটিকে পালন করা কারো জন্য শরয়ী দৃষ্টিকোণে অত্যাবশ্যকীয় নয়।কোনো মুসলিম দেশের অধিবাসীও শুক্রবারে জুমুআর আযানের আগে ও জুমুআর নামাযের পরে বিশ্রাম না করে কাজ-কর্মে নিয়োজিত থাকা বা শিক্ষা প্রতিষ্টান চালু রাখা নাজায়েয বা অপচন্দনীয় নয়।
নামায-রোজা তথা পরিপূর্ণরূপে ইসলামকে পালনপূর্বক যেকোনো সময় কাজ-কর্মে নিয়োজিত থাকা যায়,বৈধ রয়েছে। এমনকি উত্তমও বটে।
তবে অমুসলিমদের অনুকরণে কোনো মুসলমান দেশ বা প্রতিষ্টানের জন্য শনিবার অথবা রবিবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষনা করা কখনো বৈধ হবে না।
মুসলিম বা অমুসলিম দেশে রাষ্ট্রীয় বিধি-নিষেধ যা ইসলাম বিরোধী নয়, তা মানা ও বাস্তবায়িত করা দেশের নাগরিকদের  দায়িত্ব ও কর্তব্য। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...