ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
পিছনের রাস্তা থেকে পাঁচ ইঞ্চি ভিতরে হাকনাহ বলা হয়।
শরীয়তের বিধান মতে কোনো মলম বা ভেজা কিছু ভিতরে প্রবেশ করা হয় সেটি যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম না করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২২৪)
পায়খানার রাস্তায় ডুশ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪)
,
আরো জানুনঃ
সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৭৩৮০)
মলদ্বারের ভেতর ওষুধ বা পানি ইত্যাদি গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-
ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.
শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মলম যদি পায়ুপথের তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম না করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(০২)
আপনি মুসলিম অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তিনি যদি আপনাকে বলে যে এমতাবস্থায় রোযা চালিয়ে যাওয়া আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, তাহলে রোযা রাখবেননা।
অন্যথায় রোযা চালিয়ে যাবেন।