আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in সাওম (Fasting) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) আমার অসুস্থতার(গেজ) জন্য পায়ুপথের ভিতরের দিকে একটা মলম ব্যবহার করতে হয় দিনে দুইবার, এবং কুসুম গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হয় দিনে দুই/তিন বার ১০ মিনিট করে, এতে কি রোজা ভঙ্গ হবে??
২) আমার পেপটিক আলসার প্লাস গেজ সহ আরও অনেক সমস্যা। নিয়ম করে মেডিসিন খেতে হচ্ছে। এবং সব খুবই পাওয়ারফুল এন্টিবায়োটিক। পরিবার থেকে রোজা রাখতে নিষেধ করছে, বলছে সুস্থ হলে কাযা করতে। আমি কি এই কারণে কাযা করতে পারবো?  নাকি এখন সিয়াম না রাখলে গুনাহ হবে?


জাযাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
পিছনের রাস্তা থেকে পাঁচ ইঞ্চি ভিতরে হাকনাহ বলা হয়।
শরীয়তের বিধান মতে কোনো মলম বা ভেজা কিছু ভিতরে প্রবেশ করা হয় সেটি যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম না করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৬/২২৪)

পায়খানার রাস্তায় ডুশ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪)
,
আরো জানুনঃ 

সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৭৩৮০)

মলদ্বারের ভেতর ওষুধ বা পানি ইত্যাদি গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-

ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.

শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)

বিস্তারিত জানুনঃ  


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মলম যদি পায়ুপথের তিন ইঞ্চি অতিক্রম করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
যদি তিন ইঞ্চি অতিক্রম না করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 

(০২)
আপনি মুসলিম অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তিনি যদি আপনাকে বলে যে এমতাবস্থায় রোযা চালিয়ে যাওয়া আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, তাহলে রোযা রাখবেননা।
অন্যথায় রোযা চালিয়ে যাবেন।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...