আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
edited by
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُه উস্তাদ।

রমাদ্বন মাস আসলে বিতর নামাজ জামাআতের সাথে পড়া হয়। কিন্তু কেও যদি রাতে তাহাজ্জুদের সলাত আদায় করতে চায়, তাহলে তার করণীয় কী? কেননা হাদীস থেকে জানা যায়, বিতর সলাত যেন রাতের শেষ সলাত হয়।

আরেকটি বিষয় নিয়ে একটু সংশয়ে রয়েছি উস্তাদ। আজকে একটি হাদীসে দেখলাম, যে রমাদ্বনে পরিপূর্ণ কিয়ামুল লাইলের সওয়াব পেতে ইমামের সাথে পুরো সলাতই আদায় করতে হবে, অর্থাৎ বিতরসহ। এরপর যদি রাতে কেও ২/৪ রাকআত তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ত রাখে, তাহলে তো বিতর শেষ সলাত হচ্ছে না। এইক্ষেত্রে সাহাবীদের(র.) আমল কীরূপ ছিল, সে বিষয়ে জানতে চাচ্ছি।

এছাড়া রসূল ﷺ হযরত আবু হুরাইরাকে(র.) তিনটি ওসিয়ত করেছিলেন, যার একটি ছিল বিতর আদায় করে ঘুমাতে যাওয়া। অথচ রসূল ﷺ নিজেই শেষরাতে বিতর পড়তেন, এমনটাই জানি। সাধারণ মানুষের জন্য এগুলো বিপরীতার্থক হাদীস মনে হয়। নিশ্চয়ই এগুলোর পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা আছে, যাতে কোনোরকম সন্দেহ থাকবে না। এই হাদীসগুলোর ব্যাখ্যা জানিয়ে আমার মনের সংশয় দূর করবেন উস্তাদ ইনশা-আল্লহ।

جزاك اللهُ خيرًا

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
রমজানে বিতর নামাজ জামা'আতের সহিত পড়ার কথা হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عن عبد العزيز بن رفيع قال كان ابى بن كعب يصلى بالناس فى رمضان بالمدينة عشرين ركعة ويوتر بثلاثة

হযরত আব্দুল আজীজ বিন রফী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হযরত উবায় বিন কাব রাঃ লোকদেরকে রমজান মাসে মদীনা মুনাওয়ারায় বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির নামায পড়াতেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}

عن سعيد بن ابى عبيد ان على بن ربيعة كان يصلى بهم فى رمضان خمس ترويحات ويوتر بثلاث

হযরত সাঈদ বিন আবু উবায়েদ থেকে বর্ণিত। হযরত আলী বিন রাবীয়া পাঁচ তারবিহা তথা বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির জামাতের সাথে পড়তেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রমজানে বিতর নামাজ জামাতের সাথে পড়তেই হবে,এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
কেহ জামাতে বিতর না পড়ে রাতে তাহাজ্জুদের পর পড়তে পারেন,এতেও কোনো সমস্যা নেই।

আবার জামাতে বিতর পড়ার পর রাতে তাহাজ্জুদও পড়তে পারে।   
এতেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় হবে।

তবে যে ব্যাক্তি রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ নিশ্চিত পড়বে,তার জন্য তাহাজ্জুদের শেষে বিতর পড়াই উত্তম। 

(০২)
সাহাবায়ে কেরামগন জামাতেই বিতর পড়তেন।
যেমনটি উপরে উল্লেখ রয়েছে।

"রমাদ্বনে পরিপূর্ণ কিয়ামুল লাইলের সওয়াব পেতে ইমামের সাথে পুরো বিতির সহ পুরো সলাতই আদায় করতে হবে"'
নতুবা পরিপূর্ণ কিয়ামুল লাইলের সওয়াব পাওয়া যাবেনা,এই মর্মে হাদীস পাইনি।

(০৩)
ঘুমানোর আগে বিতরের অসিয়ত, এটির উপর আমল ঐ ছুরতে,যদি শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠার শতভাগ নিশ্চয়তা না থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...