ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
রমজানে বিতর নামাজ জামা'আতের সহিত পড়ার কথা হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عن عبد العزيز بن رفيع قال كان ابى بن كعب يصلى بالناس فى رمضان بالمدينة عشرين ركعة ويوتر بثلاثة
হযরত আব্দুল আজীজ বিন রফী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হযরত উবায় বিন কাব রাঃ লোকদেরকে রমজান মাসে মদীনা মুনাওয়ারায় বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির নামায পড়াতেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}
عن سعيد بن ابى عبيد ان على بن ربيعة كان يصلى بهم فى رمضان خمس ترويحات ويوتر بثلاث
হযরত সাঈদ বিন আবু উবায়েদ থেকে বর্ণিত। হযরত আলী বিন রাবীয়া পাঁচ তারবিহা তথা বিশ রাকাত তারাবীহ এবং তিন রাকাত বিতির জামাতের সাথে পড়তেন। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-২/৩৯৩}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রমজানে বিতর নামাজ জামাতের সাথে পড়তেই হবে,এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
কেহ জামাতে বিতর না পড়ে রাতে তাহাজ্জুদের পর পড়তে পারেন,এতেও কোনো সমস্যা নেই।
আবার জামাতে বিতর পড়ার পর রাতে তাহাজ্জুদও পড়তে পারে।
এতেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় হবে।
তবে যে ব্যাক্তি রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ নিশ্চিত পড়বে,তার জন্য তাহাজ্জুদের শেষে বিতর পড়াই উত্তম।
(০২)
সাহাবায়ে কেরামগন জামাতেই বিতর পড়তেন।
যেমনটি উপরে উল্লেখ রয়েছে।
"রমাদ্বনে পরিপূর্ণ কিয়ামুল লাইলের সওয়াব পেতে ইমামের সাথে পুরো বিতির সহ পুরো সলাতই আদায় করতে হবে"'
নতুবা পরিপূর্ণ কিয়ামুল লাইলের সওয়াব পাওয়া যাবেনা,এই মর্মে হাদীস পাইনি।
(০৩)
ঘুমানোর আগে বিতরের অসিয়ত, এটির উপর আমল ঐ ছুরতে,যদি শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠার শতভাগ নিশ্চয়তা না থাকে।