সফরকালে রোজা রাখতে সক্ষম-অক্ষম সবার জন্যই রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ।
এব্যাপারে উলামায়ে কেরামগন দের কোন দ্বিমত নেই।
আল্লাহ তাআলা সফরে রোজা প্রসঙ্গে বলেন,
فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ
“অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা সফরে থাকবে সে অন্য সময় পূরণ করে নিবে।” (সূরা বাকারা: ১৮৪)
হামযাহ্ ইবনে আমর আল আসলামি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, সফর অবস্থায় সিয়াম পালনের ক্ষমতা আমার রয়েছে। এ সময় সিয়াম পালন করলে আমার কোন গুনাহ হবে কি? তিনি বললেন,
هِىَ رُخْصَةٌ مِنَ اللَّهِ فَمَنْ أَخَذَ بِهَا فَحَسَنٌ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصُومَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ
“এটা আল্লাহর পক্ষ হতে এক বিশেষ অবকাশ, যে তা গ্রহণ করবে, তা তার জন্য উত্তম। আর যদি কেউ সিয়াম পালন করতে চায়, তবে তার কোন গুনাহ হবে না।” [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫১৯]
আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সফরে প্রচণ্ড গরমের দিনে আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যাত্রা করলাম। গরম এত প্রচণ্ড ছিল যে, প্রত্যেকেই আপন আপন হাত মাথার উপর তুলে ধরেছিলেন। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ইবনে রাওয়াহা (রাঃ) ব্যতীত আমাদের কেউই সিয়াম রত ছিলেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১৯৪৫)