জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " الصِّيَامُ جُنَّةٌ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلَا يَرْفُثْ، وَلَا يَجْهَلْ، فَإِنْ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ، أَوْ شَاتَمَهُ، فَلْيَقُلْ: إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ সওম পালন করলে সে যেন পাপাচারে লিপ্ত না হয় এবং মূর্খের ন্যায় আচরণ না করে। কেউ তার সাথে ঝগড়া করলে বা তাকে গালমন্দ করলে সে যেন বলে, আমি সায়িম (রোযাদার), আমি সায়িম।
(আবু দাউদ ২৩৬৩)
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ رَبَّكُمْ يَقُولُ كُلُّ حَسَنَةٍ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَالصَّوْمُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ مِنَ النَّارِ وَلَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَإِنْ جَهِلَ عَلَى أَحَدِكُمْ جَاهِلٌ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ "
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রতিপালক বলেন, “প্রতিটি সৎ কাজের প্রতিদান হলো দশ গুণ হতে সাত শত গুণ পর্যন্ত। কিন্তু রোযা শুধুমাত্র আমার জন্যই এবং এর প্রতিদান আমি নিজেই দিব।” রোযা জাহান্নাম হতে (বাচার) ঢালস্বরূপ। আল্লাহ্ তা'আলার নিকট রোযা পালনকারীর মুখের গন্ধ কন্তুরী ও মিশক আম্বরের গন্ধের চেয়েও অধিক পছন্দনীয়। তোমাদের কোন রোযা পালনকারীর সাথে যদি কোন জাহিল মূর্খতা সুলভ আচরণ করে তবে সে যেন বলে, আমি রোযাদার। — সহীহ, তা’লীকুর রাগীব (২/৫৭-৫৮), সহীহ আবু দাউদ (২০৪৬) তিরমিজি ৭৬৪)
عَنْ عِيَاضِ بْنِ غُطَيْفٍ، قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الصَّوْمُ جُنَّةٌ مَا لَمْ يَخْرِقْهَا " .
ইয়াদ ইবনু গুতায়ফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ উবায়দা (রাঃ) বলেছেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, রোযা ঢাল স্বরূপ যতক্ষন পর্যন্ত ভেঙ্গে না ফেলে।
(নাসায়ী ২২৩৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
রোযা হয়ে যাবে।
তবে এই রোযা জাহান্নাম হতে (বাঁচার) ঢালস্বরূপ হবেনা।
কেননা সে রোযা অবস্থায় হারাম কাজে লিপ্ত।
সে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়ত বহির্ভূত কাজ করছে।