আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
437 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
কোন এক ব্যাক্তি তার স্ত্রীর সাথে রাগ হলে তাকে বলে "তোমাকে এখন এক তালাক দিলাম "। কিছুদিন পর আবার তার স্ত্রী রাগ হলে তিনি বলেন  "তোমাকে এক তালাক দিলাম"। আবারও কিছুদিন পর রাগ হলে তিনি আবারও  বলেন "তোমাকে কিন্তু এখন এক তালাক দিলাম"। মুলত ওই ব্যাক্তির উদ্দেশ্য ছিল  "তোমাকে এখন এক তালাক দিলাম" এটা বলে তার স্ত্রীর রাগ থামানো। তা ছাড়া তার নিয়ত ছিল এক তালাকের। তার মাথায় এটা ছিল যে একসাথে "এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক " এইভাবে বললে পরিপূর্ণ তালাক হয়ে যায়। তাই সে এক তালাকের কথাই বলত। এখন প্রশ্ন হল এই (এক তালাক দিলাম) কথাটা তিনবার বলাতে ওই স্ত্রী পরিপূর্ণ তালাক হয়ে যাবে? নাকি এক তালাকে পতিত হবে?
মহদয় দয়া করে আমাকে এই বিষয়ে জানিয়ে উপকৃত করবেন।

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৩০)

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَهثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন ত্বলাক্ব দিলে সে (স্ত্রী) অন্যত্র বিয়ে করল। পরে দ্বিতীয় স্বামীও তাকে ত্বলাক্ব দিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করা হল মহিলাটি কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে? তিনি বললেনঃ না, যতক্ষন না সে (দ্বিতীয় স্বামী) তার স্বাদ গ্রহণ করবে, যেমন স্বাদ গ্রহণ করেছিল প্রথম স্বামী। সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৫২৬১

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/17134/?show=17134#q17134

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ মহিলার উপর তিন তালাক পতিত হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই এখন তার জন্য তার স্বামী হালাল ন। মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে ব্যতীত আবার ঐ স্বামীর সাথে সংসার স্থাপন করলে সেটা বৈধ হবে না। এক্ষেত্রে সর্বদাই ব্যভিচারের গোনাহ হবে। আর বিবাহিত পরুষ বা মহিলা কর্তৃক ব্যভিচার প্রমাণিত হলে এর শাস্তি হল, পাথর মেরে হত্যা করা। তবে এ দায়িত্ব সরকারের জনগণের নয়। আর খেরাতে তো রয়েছে এর জন্য  ভয়ঙ্কর শাস্তি।

 

তবে যদি তার অন্য কোথাও বিয়ে হয় এবং তার সাথে সহবাস করার পর তাকে তালাক দিলে অথবা বিবাহের সময় স্ত্রী কর্তৃক তালাকের অধিকার নিয়ে রেখে সহবাসের পর নিজের উপর তালাক গ্রহণ করলে ইদ্দত পূরণের পর তথা তিন ঋতুস্রাব অতিবাহিত হওয়ার পর নতুন করে মহর ধার্য করে প্রস্তাব ও গ্রহণের মাধ্যমে দুজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে আবার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
স্বামী তার স্ত্রীকে একসাথে ৩ তালাক দিলে যদি তালাক হয়ে যায় তাহলে ওই নারী ১ম স্বামীর তালাকের পর ২য় বিয়ে হল সেখানে ও যদি একসাথে ৩ তালাক দিয়ে দেয় তাহলে কি ওই নারী তালাক হয়ে ১ম স্বামীর সংসার করতে পারবে?

by (58,500 points)
হ্যাঁ, পারবে যদি ২য় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে থাকে৷

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...