আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
782 views
in পবিত্রতা (Purity) by (140 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।

ইস্তেহাজা রুগী, যে মাজুর নয়। তার ক্ষেত্রে যদি কোনো এক ওয়াক্তে ইস্তেহাযা রক্ত আসে তারপর যদি কয়েক ওয়াকত আর না আসে তারপর আবার রক্ত আসে, এমন হলেও কি আমাকে বারবার নামাজ এর আগে লজ্জ্জস্থান পরিষ্কার করে নতুন অজু করতে হবে? দেখা যায় 2 দিন পর একদিন এক ওয়াক্তে হলুদ স্রাব আসছে। বা পুরো এক দিন ই একবার এক ওয়াক্তে স্রাব আসছে। বাকিসময় টায় কি আমি নরমালি অজু করে এক ওয়াক্তের অজু দিয়ে আর এক ওয়কট পড়তে পারবো? দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন বিষয় টা। মাঝে মাঝে এমন হয় আসর ওয়াক্তে অজু করেছি নামাজ পড়ে এখনো টিস্যু/কূর্সুফ পরেই আছে নিশ্চিত যে কিছুই বের হয়নি কিন্তু মাঝে মাঝে হঠাৎ ইস্তেহাযা রক্ত আসে 2 1 দিন পর পর তাই নামাজ হবেনা এই ভয়ে তারপর ও মাগরিব এ আবার পবিত্র হয়ে অজু করে নামাজ পড়ি। আমি কি এভাবেই সর্বদা নিজেকে ইস্তেহাযা রুগী  ধরবো?  যদি হঠাৎ কয়েক দিন পর এক দিন হলুদ স্রাব দেখি তবেও কি বাকি দিন গুলো তেও আমি ইস্তেহাজা রুগীর নিয়ম e নামাজ কালাম পড়বো? নাকি শুধু যেই ওয়াক্তে রক্ত দেখবো ওই ওয়াক্তে নতুন অজু করবো? বাকি ওয়াক্তে আর কিছু না আসলে? দয়া করে জানাবেন।


উস্তাদ আমার প্রশ্নের সারমর্ম হচ্ছে আমার যদি মাজুর এর বিধান না থাকে, তাহলে যদি কোনো ওয়াক্তে কোনো রক্ত/স্রাব আসেনি ওই ওয়াক্তে আগের ওয়াক্তের অজু কি বহাল থাকবে? নাকি নতুন অজু লাগবে? এভাবে হঠাৎ হঠাৎ স্রাব আসলে। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অস্পষ্ট।আপনি কি জানতে চাচ্ছেন, তা অদ্য পরিস্কার নয়।তাই আপনাকে বলবো, আপনি স্পষ্টভাবে প্রশ্নটিকে ইডিট করে দিবেন।

আমরা যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি, হায়েয দশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আপনার রক্তস্রাব নির্গত হয়, যে যে ওয়াক্তে নির্গত হবে, সেই ওয়াক্তে আপনি কাপড় বা টুস্যুকে পাল্টিয়ে নামায পড়বেন।যে ওয়াক্তে নির্গত হবে না, সেই ওয়াক্তে কাপড় পাল্টানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (140 points)
Edit করে দিয়েছি উস্তাদ আফওয়ান
by (140 points)
একটু জরুরী ছিল উস্তাদ সময় করে দেখে দিয়েন দুঃখিত বড়ো প্রশ্নের জন্য
by (632,880 points)
যে ওয়াক্তে স্রাব আসবে না, সেই ওয়াক্তে আপনার জন্য সাধারণ বিধান তথা অজু ছুটে গেলে আবার অজু করা।
by (140 points)
Jazakillah khyyer

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 167 views
0 votes
1 answer 350 views
...