আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
293 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।
1.আমার ইস্টেহাজা এর সমস্যা আছে প্রচুর। এই মাস এ আমার 15 দিন তূহুর থাকার পর হায়েজ কালে শুধু হলুদ স্রাব যায়। হায়েজ কাল 10 দিন পর কিছুদিন এভাবেই যেতে থাকে তারপর নরমাল পিরিয়ড এর রক্তের মত রক্ত যায় 5/7 দিন ওইসময় ইসতেহাজা ধরে নামাজ পরি। স্বাভাবিক ভাবেই তারপর আবার হলুদ স্রাব আসছে যেভাবে নরমাল পিরিয়ড এর পর পর আসে, এখনো ইস্তেহাযা ই চলছে হলুদ স্রাব সহ। এখন আবার 15 দিন তুহুর থাকার পর 9 তারিখ থেকে হায়েজ এর ডেট। এখন এই সময় যদি এভাবে স্রাব আসতে থাকে এবং 3 দিন 3 রাত না থাকে বা থাকে আমি রোজা কিভাবে রাখবো? যদি 3 দিন না আসে তাহলে এই কয়দিন রোজা না রেখে অপেক্ষা করলে কি গুনাহ হবে? যদি 3 দিন 3 রাত হায়েজ চলে, সেক্ষেত্রে আমার স্বাভাবিক রক্তস্রাব আসার সম্ভাবনা খুব ই কম। হলুদ স্রাব ই আসবে, আর এই হলুদ স্রাব খুব কম আসে। দেখা যায় যে 2 দিন এ একবার আসছে, বা এক দিন এ হঠাৎ একবার আসছে, এভাবে চলতে থাকলে আমি কি টানা 10 দিন রোজা না রেখে প্রত্যেক ওয়াক্তে এই হলুদ স্রাব এর জন্য অপেক্ষা করবো? নাকি রোজা রেখে দিবো? পরে স্রাব দেখলে ভেঙে ফেলবো?

2. আমার 9 তারিখ জোহর থেকে 16 তম দিন হবে তুহুর এর। এখন যেটা বললাম যে আমার এই হলুদ স্রাব এর সুরত বর্তমানে এমন যে এক ওয়াক্তে আসে তো দুই ওয়াক্তে নাই। এমন হলে আমি কি সেইদিন এর সাহরী করবো এবং নামাজের জন্য জোহর ওয়াক্তের শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো স্রাব আসে কিনা দেখার জন্য?
3.নামাজ এর ক্ষেত্রে কি করবো?3 দিন 3 রাত পর যদি কয়েক ওয়াক্তে দেখি যে স্রাব নাই আমার কি ফরয গোসল দিয়ে নামাজ শুরু করে দিতে হবে? এভাবে প্রতি ওয়াক্তে ওয়াক্তে তো ফরয গোসল দেওয়া সম্ভব না। হঠাৎ হঠাৎ এভাবে স্রাব আসতে থাকলে। খুবই জটিল লাগছে আমার ব্যাপার তা। হায়েজ শুরু হয়ে গেলে তখন ওয়েবসাইট এ প্রশ্ন করলে স্বাভাবিক ভাবেই অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু তখন emergency থাকে জন্য আগেই সম্ভাব্য প্রশ্ন করা দুঃখিত বড়ো প্রশ্নের জন্য উস্তাদ। দয়া করে বিস্তারিত উত্তর দিবেন অনেক চিন্তায় আছি।

ইস্তেহাজা থেকে মুক্ত হবার কোনো রুক্যিয়া আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/78

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দশ দিন হায়েযের পর থেকে পরবর্তী হায়েযের তারিখ পর্যন্ত আপনি ইস্তেহাযা গণ্য করবেন। হায়েযের তারিখে যদি দুই বা আড়াই দিন রক্তস্রাব আসার পর আবার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এটাকে ইস্তেহাযা গণ্য করা হবে।ঐ সময় প্রথমে হায়েয ধরে নিয়ে নামায রোযা থেকে বিরত থাকতে হবে, তারপর যখন দেখা যাবে যে, হায়েয হয়নি, তখন উক্ত নামায রোযাকে কাযা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 192 views
0 votes
1 answer 275 views
asked Apr 12, 2022 in সাওম (Fasting) by RZ (136 points)
0 votes
1 answer 202 views
0 votes
1 answer 149 views
...