আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (76 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম

আমি মারাত্মক ওসওয়াসা রোগী কিছু দিন আগে ছিল বান্দার হক নষ্ট নিয়ে এখন শুরু ইমান নিয়ে এইটা ঐটা  করছি ইমান চলে গেছে কিনা মারাত্মক মানসিক যন্ত্রণায় আছি।

১/ আমি এক ওসওয়াসা রোগী আমি সিওর না রসুল সঃ কে গালি মুখ দিয়ে উচ্চারন হইছে কিনা আমার প্রবল ধারনা যে গালি মন থেকে আর মুখ থেকে রসুল সঃ নাম উচ্চারণ হইছে। এখন কি আমি কাফের হয়ে গেছি। আর নিজে নিজে কালিমা শাহাদাৎ পরি কি ইমান নবায়ন হয়ে যাবে।

২/আল্লাহ ও রসুল সঃ এর উপর ওসওয়াসার কারনে মনে মনে যিদ উটে দাত কিরমির হয় অনিচ্ছায়। অনিচ্ছাকৃত ভাবেই আমার জিহ্বা সারাদিন নরতে থাকে যখন আল্লাহ পাক ও রসুল সঃ নামে বাজে কথা মনে আসে তখনও নরে কিন্তু ঐ খারাপ কথা মুখ দিয়ে  উচ্চারণ হয়না তাহলে কি আমি কাফের হয়ে গেছি।

বেখালে শরিয়তের বিষয় নিয়ে হাসি পেলে কি কাফের হয়ে যাবে

৩/বিবাহ কিভাবে দোহরাতে হয়/ফোনে ও সরাসরি
৪/রাস্তায় দূলা বালুর কারনে দাতে কিছু বালু যায় এখন সেই বালু যদি পেটে যায় রোজা কি ভেঙে যায়।
৫/বাংলাদেশ এ সরকারি কোনো অফিসে গেলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যদি ভোগান্তি থেকে বাচতে ঘুস দিয়ে কাজ করানো হয় তাহলে কি জায়েজ হবে। যেমনঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,পাসপোর্ট, ড্রাইবিং লাইসেন্স, জমির রেজিষ্ট্রেশন আরও অনেক।
৬।ঘুস দিয়ে কাজ করিয়ে কি লাভ যায়েজ হবে যেমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ঘুসসহ খরচ হয় ১৫০০ -১৭০০ আর মানুষ থেকে ২৫০০-৩০০০ টাকা নেওয়া হয়।

৭/আমাদের বাচ্চা মারা যাওয়ার পর শোকে কাতর হয়ে বেহুশে বলছে আমি আল্লাহর কাছে কত দোয়া করছি আল্লাহ আমার দোয়া শুনেনা আমি নামাজ পরমু না।তাহলে কি সে কাফের হয়ে গেছে।

৮/কটন দিয়ে কান চুলকালে রোজার কোন ক্ষতি হবে কি

৯।আপনাদের কাছে ১ আইডি থেকে ৪ টার বেশি প্রশ্ন করা যায় না যদি একাধিক আইডি খুলে প্রশ্ন করা হয় তাহলে কি গুনাহ হবে

 ১০/গান শুনে আনন্দ পেলে কি কাফের হয়ে যায়। আর যদি আগে না যেনে শুনে থাকি তাহলে কি কাফের

১১/ভুলে ইমান ভংগের কথা মুখে চলে এলে যেমন মাফ করে দাও রহমাতুল্লিল আলামীন কিন্তু বলতে চাইছিলাম  রব্বুল আলামীন বলতে ভুলে রহমাতুল্লিল আলামীন এর রহ পর্যন্ত পরছিলাম।দুনিয়াবি কারনে যিদ করে একটা কাজ করতে গেলে  তাৎক্ষনিক মনে মনে আল্লাহ পাক ও রসুল সঃ এর সানে রাগ উঠে যায় নিয়ত কিন্তু দুনিয়াবি ছিল।

১২/মনে থাকে ইমান ভংগের কথা কিন্তু মুখে দিয়ে অন্য কথা উচ্চারণ হইছে তাহলে কি ইমান চলে যায়।

১৩/এনেক আগে আমি মদ পান করতাম মদ ওয়ালার কিছু টাকা বাকি থাকে সেই টাকা কি ফেরত দিতে হবে দিতে গেলে সমস্যা হতে পারে

১৪/ওসওয়াসার কারনে মনে মনে বান্দার হক নিয়ে সয়তান কে নিয়ে উদ্দেশ্য করে গালি দেই পড়ে আপনাদের সাইটে মাসআলা পরার সময় আমি যেই কথাটা মনে মনে  বলছি ঐ কথাটা  মিলানোর জন্য নিজে নিজে মুখ দিয়ে বলি যে আমিত  বান্দার হক চো** আসছে এই কথাটা বলছি আগে জানতাম না যে মনে মনে বললে ওসওয়াসার কারনে হয় এই জন্য  মাসআলা খোজ করতে গিয়ে মুখ দিয়ে বলি  তাহলে  কি আমার ইমান চলে গেছে
জাযাকাল্লাহ খয়রন
closed

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূল

আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

কোন মুসলমানকে কাফের বলা জায়েজ নয়।

যদি কোন ব্যক্তি ইসলামের জরূরী বিষয়কে মান্য করে, কিন্তু গোনাহগার। তাহলে উক্ত গোনাহের কারণে লোকটিকে কাফের বলা জায়েজ নয়। হারাম। কুরআন ও হাদীসে এ ব্যাপারে কড়া ধমকী এসেছে।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِنْدَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ ۚ كَذَٰلِكَ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا [٤:٩٤]

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে সফর কর,তখন যাচাই করে নিও এবং যে,তোমাদেরকে সালাম করে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ অন্বেষণ কর,বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। অতএব, এখন অনুসন্ধান করে নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খবর রাখেন। {সূরা নিসা-৯৪}

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।

(০২)
এতে আপনি কাফের হবেননা।

(০৩)
যেভাবে বিবা পড়ানো হয়,সেভাবেই দোহরাতে হয়।
তার মানে নতুন করে আবার বিবাহ পড়ানো।

দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এর সামনে সরাসরি ইজাব কবুল হতে হবে।

(০৪)
এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(৫.৬)
নিজের হক আদায়ের জন্য এটি দেয়া জায়েজ হবে।
তবে এটি যারা গ্রহন করছে,তাদের জন্য গ্রহন জায়েজ হবেনা।   হারাম হবে।

(০৭)
না,এতে সে কাফের হবেনা।

(০৮)
শুকনো কটন হলে এতে রোযার সমস্যা নেই।

(০৯)
হ্যাঁ কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা না মানায় গুনাহ হবে।

(১০-১২)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।

(১৩)
ফেরত দিতে হবেনা।
এটি গরিবকে সদকাহ করে দিবেন।

(১৪)
এতে ঈমান চলে যায়নি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...