আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১)২তালাক দিলে ৩মাস ইদ্দত চলাকালীন আবার ঐ স্বামীর সাথে বিয়ে করা যাবে আর যদি ৩মাসে আর বিয়ে না হয় তাহলে ওই স্বামীকে আর বিয়ে করা যাবে না বিষয়টি কি এইরকম?

 ২)বিয়ে হয়েছে এইটা তো পরিবার জানে না।ইদ্দত পালন কিভাবে করতে পারি?কারণ আমার পানি আনার জন্য ঘরের বাইরে বের হতে হয়।আম্মু কোথাও বেড়াইতে যাইতে বললে কি করণীয়?
৩)বিয়ে কথা বাসায় বলিনি।আমার কি উচিত হবে বাসায় জানানো?কেউ মানবে না বলে দিয়েছে সবাইকে অনেক বলেছি।বিয়ের কথা শুনলে হয়তো আম্মু কষ্ট পেতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
যদি স্পষ্ট বাক্যে ১/২ তালাক দেয়,তাহলে ইদ্দতের মধ্যে সেই স্বামী বিবাহ পড়ানো ছাড়াই এমনিতেই মৌখিক ফিরিয়ে নিলাম বললেই বা তার সাথে স্ত্রী সূলভ আচরণ করলেই ফিরিয়ে নেয়া হয়ে যাবে।

কেননা এটি রজয়ী তালাক।

তবে কেনায়া বাক্যে ১/২ তালাক দিলে ইদ্দতের মধ্যে সেই স্বামী ফিরিয়ে নিক,বা ইদ্দতের পর ফিরয়ে নিক।
উভয় ছুরতেই নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।  
কেননা এটি বায়েন তালাক।

(০২)
সুরা আত ত্বলাকের ০১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ اِذَا طَلَّقۡتُمُ النِّسَآءَ فَطَلِّقُوۡهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَ اَحۡصُوا الۡعِدَّۃَ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ رَبَّکُمۡ ۚ لَا تُخۡرِجُوۡهُنَّ مِنۡۢ بُیُوۡتِهِنَّ وَ لَا یَخۡرُجۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّاۡتِیۡنَ بِفَاحِشَۃٍ مُّبَیِّنَۃٍ ؕ وَ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰهِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَعَدَّ حُدُوۡدَ اللّٰهِ فَقَدۡ ظَلَمَ نَفۡسَهٗ ؕ لَا تَدۡرِیۡ لَعَلَّ اللّٰهَ یُحۡدِثُ بَعۡدَ ذٰلِکَ اَمۡرًا ﴿۱﴾

হে নবী, (বল), তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে, তখন তাদের ইদ্দত অনুসারে তাদের তালাক দাও এবং ‘ইদ্দত হিসাব করে রাখবে এবং তোমাদের রব আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা তাদেরকে তোমাদের বাড়ী-ঘর থেকে বের করে দিয়ো না এবং তারাও বের হবে না। যদি না তারা কোন স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। আর এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। আর যে আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমারেখাসমূহ অতিক্রম করে সে অবশ্যই তার নিজের ওপর যুলম করে। তুমি জান না, হয়তো এর পর আল্লাহ, (ফিরে আসার) কোন পথ তৈরী করে দিবেন। 

তালাক প্রাপ্তা মহিলার ইদ্দত স্বামীর বাড়িতে থেকেই পালন করতে হবে, যদি পর্দার সাথে সেখানে থাকার ব্যবস্থা না হয় কিংবা তার জন্য সেখানে থাকা বেশি কষ্টকর বা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয় তাহলে সে বাড়ি ত্যাগ করে বাবার বাড়ি কিংবা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে ইদ্দত পালন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে যেখানে যাবে সেখানেই ইদ্দত পূর্ণ করবে। ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে বিনা জরুরতে সেখান থেকে অন্যত্র থাকা জায়েয হবে না।

হযরত ফাতেমা বিনতে কায়স রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছি, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিয়েছে এখন আমি আমার সাথে ব্যভিচারের ভয় করছি। তখন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে স্থানান্তর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪৮২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১৯১৬৮)
,
আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
ইদ্দত তো স্বামীর বাসায় পালন করার বিধান।
আপনার বাসায় নয়।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজ বাসায় ইদ্দত অতিবাহিত করলে স্ত্রীর গুনাহ হবে।
এখানে ঘর থেকে বিভিন্ন কারনে বাহির হওয়াতেও গুনাহ হবে।

তবে এভাবে ঠিকই ইদ্দতকাল অতিবাহিত হয়ে যাবে। 

(০৩)
যদি তালাক না হয়,তাহলেই বিবাহের কথা বাদায় জানাতে হবে।
এটি জানা তাদের অধিকার।

(০৪)
স্বামীকে বুঝিয়ে তালাক নিতেই হবে।
নিকাহনামার ১৮ নং ধারাতে আপনাকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা স্বামী জেনে শুনে দিয়ে থাকলে আপনি নিজেই নিজেকে তালাক দিতে পারবেন।

অন্যথায় খোলা তথা মোহরানা মাফ বা টাকা ইত্যাদির মাধ্যমে স্বামী থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।   

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
বিয়ের পর তো একদিনও স্বামীর বাসায় থাকিনি।২জন ২জনের বাসায় আলাদা থাকি।সেক্ষেত্রে কি করবো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...