বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
কোন মুসলমানকে কাফের বলা জায়েজ নয়।
যদি কোন ব্যক্তি ইসলামের জরূরী বিষয়কে মান্য করে, কিন্তু গোনাহগার। তাহলে উক্ত গোনাহের কারণে লোকটিকে কাফের বলা জায়েজ নয়। হারাম। কুরআন ও হাদীসে এ ব্যাপারে কড়া ধমকী এসেছে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَعِنْدَ اللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌ ۚ كَذَٰلِكَ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلُ فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا [٤:٩٤]
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে সফর কর,তখন যাচাই করে নিও এবং যে,তোমাদেরকে সালাম করে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদ অন্বেষণ কর,বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। অতএব, এখন অনুসন্ধান করে নিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কাজ কর্মের খবর রাখেন। {সূরা নিসা-৯৪}
কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূল
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এটা বাড়াবাড়ি।
আপনি একাকী নিজে নিজে ঈমান আনলেও যথেষ্ট হবে।
(০২)
এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(০৩)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।
সেই ওয়াক্ত নামাজ পড়া বা না পড়ার সাথে ঈমান যাওয়ার বা আসার কোনো সম্পর্ক নেই।
(০৪)
কালেমায়ে শাহাদত পাঠ করলেই ঈমান আনা হয়ে যায়।
(০৫)
এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(০৬)
এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(০৭)
এতেও আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(০৮)
আপনি যেহেতু ঠাট্রার ছলনায় বলেননি,তাই এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(০৯)
না,আপনি কাফের হবেননা।
এটি কাফের হয়ে যাওয়ার কারন নয়।
(১০)
না,ঈমান চলে যাবেনা।
(১১)
না,এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
তবে এহেন ফেইক আইডি দিয়ে প্রশ্ন করা আমাদের ফতোয়া বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
(১২)
এতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।।
কোনো সন্দেহ ওয়াসওয়াসাকে গুরুত্ব দিবেননা।
অযু ভেঙ্গে যাওয়ার কাজ না পাওয়া গেলে অযু চলে যাবেনা।
(১৩)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
(১৪)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
(১৫)
আপনার এসব বিষয় নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তাভাবনার অবকাশ নেই।
আপনি এসব চিন্তাকে ভ্রুক্ষেপ না করে আমলে মনোযোগ দিন,দুনিয়াবী কাজে মনোযোগ দিন।
প্রয়োজনে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে সময় লাগান বা হক্কানী কোনো শায়েখের সহবোতে যান।
ইনশাআল্লাহ এতে আর এহেন সমস্যা হবেনা।