ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/19092/?show=19092#q19092 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
পোশাকের প্রধান উদ্দেশ্যই হল সতর
ঢাকা।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا
عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْءَاتِكُمْ وَرِيشًا ‘
হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য
অবতীর্ণ করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য
দান করে।’ (সূরা আ’রাফ ২৬)
পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে
নিয়ে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। পক্ষান্তরে মহিলাদের হাত, পা, মুখ ছাড়া পূর্ণ শরীরই সতর।
সুতরাং এতটুকু সতর পুরোপুরি ঢেকে
নামাজ আদায় করলেই নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
★শরীয়তের বিধান মতে হাফ হাতা জামা বা শার্ট পরে নামায আদায় করা অনুত্তম। (হাশিয়াতুত
তহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ১৯৯; রদ্দুল মুহতার
১/৪৫৭)
হাফ হাতা শার্ট অথবা গেঞ্জি অথবা
টি-শার্ট যেগুলো আছে, সেগুলো পরে যদি কেউ সালাত আদায় করে,
তাহলে হয়ে যাবে। সালাত না হওয়ার কোনো কারণ এখানে নেই।
আর স্যান্ডো গেঞ্জি যেগুলো আছে, সেগুলো পরে যদি কেউ সালাত আদায় করেন, তাহলে
তাঁর সালাত মাকরুহ হয়ে যাবে। কাঁধের ওপর যদি কোনো কাপড় দেওয়া থাকে বা চাদর দেওয়া থাকে,
তাহলে তাঁর সালাত হয়ে যাবে। মূল কথা হলো, সালাতের
সময় কাঁধ ঢাকতে হবে তাঁকে।
(ইফতা বিভাগ, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।)
এমন শালীন পোশাক যা পরিধান করে
মানুষ মান সম্মত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে এবং উপযোগী হিসেবে মনে করে
এমন পোশাক পরিধান করে নামায পড়া উচিত। যে পোশাক পরিধান করে মানসম্মত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে
মানুষ অপছন্দ করে এমন পোশাক পরিধান করে নামায পড়া মাকরূহে তানজিহী।
এ মূলনীতির আলোকে যেহেতু বুজুর্গানে
দ্বীনের মজলিস বা রাষ্ট্রীয় মজলিসে হাফ হাতা শার্ট পরিধান করে যাওয়াকে অপছন্দ করা
হয়, তাই এরকম কাপড় পরিধান করে নামায পড়া খেলাফে
সুন্নত তথা মাকরূহে তানজিহী হবে। অন্য কোন কাপড় না থাকলে মাকরূহ হবে না।
★সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কনুই পর্যন্ত হাতা গুটিয়ে নামাজ আদায় করে,তাহলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে ঠিকই,তবে মাকরুহে
তানযিহি হবে।
الإستفسار
صلى رافعا كمى قيسصه الى المرفقين هل يجوز الصلاة الإستبشار؟ نعم لكن يكره كذا فى
فتاوى قاضيخان- (نفع المفلى والسائل-65، فتح القدير-1/418، قاضيخان على هامش
الهندية-1/135
সারমর্মঃ কেহ কনুই পর্যন্ত নিজ
জামা গুছিয়ে এভাবে নামাজ পড়া জায়েজ আছে,তবে
মাকরুহ হবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/13057/
,
★যদি আগে থেকে হাতা গুটানো না হয়ে নামাজের মধ্যেই হাতা গুটানোর বিষয় এখানে উদ্দেশ্য
হয়ে থাকে, তাহলে বিধান হলো এখানে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ
সময় ব্যায় হয়ে আমলে কাসীর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
রয়েছে, তাই এটির অনুমোদন নেই।
,
আমলে কাসির সংক্রান্ত বিস্তারিত
জানুনঃ
https://ifatwa.info/7470/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. না, আপনার শোনা কথাটি সঠিক নয়। বরং পাঞ্জাবির হাতা ভাজ করে নামাজ পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে মাকরুহে তানযিহি হবে।
২. আপনি চেষ্টা করবেন এভাবে পাঞ্জাবির
হাতা ভাজ করে নামাজ না পড়ার। কারণ, এতে
নামাজ আদায় হয়ে গেলেও নামাজ মাকরুহে তানযিহি হয়।