আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এতো কিছু বলার জন্য। অনেক নিরুপায় হয়ে প্রশ্ন করছি। আমার বাবার ২ বিয়ে। প্রথম স্ত্রী বাবাকে ছেড়ে চলে যাবার পর আমার মায়ের সাথে তার বিবাহ হয়। বাবার প্রথম ঘরের ১ জন মেয়ে সন্তান আছে আর ২য় পক্ষের আমরা ২ ভাই ১ বোন। ছোট থেকেই দেখে এসেছি কারণে অকারণে আমার চাচা আর ১ টা ফুপি আমার মায়ের সাথে খারাপ ব্যাবহার করত। আমার আগের পক্ষের বোনটাও তাদের কাছে মিথ্যা বলে আমাদের সংসারে অশান্তি করত এতে তার মাও জড়িত ছিলো(এটা আমার ফুপি পরে স্বীকার করেছে)। আমার চাচা-ফুপিদের সবসময় দেখেছি আমাদের ৩ ভাই বোনের তুলনায় তার প্রতি ভালোবাসা বেশি হাজার ভুল করলেও সে ঠিক।ছোট থেকেই এই বৈষম্যের বিষয়টি অনেক কষ্ট দিত। এখানে বলে রাখা ভালো আমার আব্বু একটু অন্য রকম। তার ভাই-বোনদের প্রতি দূর্বলতা নাকি ভালোবাসা ঠিক জানিনা তবে তারা যদি আমার মাকে মারধর ও করত তাদের কিছুই বলত না। এখনো তারা যদি মিথ্যা অপবাদ দেয় বা অপমান করে আব্বু সামনে থাকলেও কিছু বলেনা। আমার আম্মু আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক কষ্টে আমাদের বড় করেছেন। তবে এটাও সত্য আমার আব্বু অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করতেন। মাঝে এমনো হয়েছে আমার বাবা চাকরি করত জন্য আমার চাচা-ফুপিরা রাগ দেখাতো যে এই বয়সে কেনো রোজগার করবে। অথচ আমরা ৩ ভাই বোন তখনও সবে পড়াশুনা করছি আমাদের কথা তারা ভাবেনি। ২০১১ সালের দিকে আমার আগের পক্ষের বোন তার মায়ের সাথে মিলে আমার বড় ভাইকে গুম করার প্ল্যান করে এবং খারাপ লোকের মাধ্যমে আব্বুর কাছ থেকে টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। তখন বিষয়টি আমরা আমার চাচা-ফুপিদের জানালে তারা কোন রকম সাহায্য তো করেইনি বরং বলেছে ও যা চায় দিয়ে দিলেই তো হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এলাকাবাসীর সহায়তায় সে বিপদ থেকে আমরা রক্ষা পাই। এরপর অনেক দিন সে বোনের সাথে তেমন যোগাযোগ ছিলো না। এরপর সে ক্ষমা চায় এবং এমন ভুল করবেনা জানায় আম্মু তাকে ক্ষমাও করে দেয়। কিন্ত এরপরেও সে সুধরায় নি অনবরত আমাদের অন্য আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক খারাপ করার চেষ্টা করেছে। এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ। আমার আব্বু লুকিয়ে তার আগের বউ এর সাথে কথা বলে যদিও সেই মহিলার অন্যত্র বিয়ে হয়েছে। সে কি কথা বলে আমরা জানিনা। তবে আব্বু বলে যে সে তার মেয়ের কথা বলে যে কেন তার খোঁজ নেয় না। আর আব্বু কেন তার মেয়েকে বঞ্চিত করে আমাদের নামে সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এখন আমার আম্মু ভেংগে পড়েছে যে আমার আব্বু এমন কাজ কিভাবে করতে পারে সেই মহিলার সাথে কিভাবে কথা বলে। এর আগেও আম্মুকে অনেকেই বলেছে এমন কিছু কিন্তু আম্মু বিশ্বাস করেনি। মহিলাও অনেকের কাছে বলেছে আমার আব্বু নাকি তাকে আবার আনতে চায় আরো অনেক কিছু (মহিলা আর আমরা একই শহরে পাশাপাশি প্রায় থাকি তাই জানতে পেরেছি)। সত্যি বলতে আমিও বিশ্বাস করতে পারছিনা আমার বাবা এমন কিছু করতে পারে। এখন সমাজে মান-ইজ্জতের একটা ভয় আছে। যদিও আমি বিশ্বাস করি মান-ইজ্জতের মালিক আল্লাহ তিনি যা চাইবেন হবে। পরিবারের সার্বিক অবস্থা আমি ঠিক বোঝাতে পারিনি হয়ত। এমন অনেক কথা আছে যা বলে বুঝানো যাবেনা।
তবে আমার প্রশ্ন

১. বাবার যা সম্পত্তি আছে নিরাপত্তার জন্য আমরা কি সেটা লিখে নিতে পারি বাবার ইচ্ছায়?  অবশ্যই সেখানে বড় বোনকে তার হক থেকে বঞ্চিত করব না ইন শা আল্লহ। কারণ আল্লাহ তায়ালার কাছে হক্ক নষ্টের জন্য জবাবদিহি করার দুঃসাহস আমাদের নেই।
২. আমাদের শহরে আব্বু-আম্মুর নামে একটা ৪ তালা বাড়ি আছে যেটাতে আমরা থাকি। সেখানে বড় বোনের ভাগে যতটুকু আসে সেটার যদি মূল্য হিসেবে তাকে দেয়া হয় এটা কি যায়েজ হবে?? কারণ এখানে তাকে যায়গা দিলে অনেক অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা।

৩. এ অবস্থায় আমার আম্মু আর আমাদের ইবাদতের পাশাপাশি করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


জীবিত অবস্থায় ওয়ারিশদের মাঝে সম্পত্তি দিলে সেটাকে হেবা বলে,মৃতবরনের পর সম্পত্তির ভাগকে মিরাছ বলে। 

ব্যক্তি জীবিত এবং সুস্থ্য থাকা অবস্থায় তার মালিকানাধীন সম্পদ যাকে ইচ্ছে দান করতে পারে। যেখানে ইচ্ছে খরচ করতে পারে। এতে তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তার অর্জিত সম্পদের একক মালিকানা তার হাতেই থাকে। তাতে যাচ্ছে তাই হস্তক্ষেপের অধিকার তার রয়েছে। এতে কেউ হক দাবী করার অধিকার রাখে না।
তার মালিক তার সন্তান বা অন্য কেউ নয়।
 হ্যা, মৃত্যুর পরের কথা ভিন্ন। তখন শরয়ী নীতিমালা অনুপাতে সম্পদ বন্টন করতে হয়।
সে সময় ওয়ারিশগন নীতি অনুসারে সম্পদের দাবী করতে পারবেন।
তবে জীবদ্দশায় কেহ সম্পদ দিয়ে গেলে সেটি হিবা তথা গিফট।

যদি কোনো ব্যাক্তি জীবিত অবস্থায় তার সম্পদ সন্তানদের দিয়ে যেতে চায়,সেক্ষেত্রে নিয়ম হলোঃ
প্রথমে নিজের বাকি জিবনের জন্য যাহা কিছু রাখতে চায়,ততটুকু সম্পদ রেখে দিবে,যাতে করে পরবর্তীতে মুখাপেক্ষী না হতে হয়।
অতঃপর স্ত্রী জীবিত থাকলে তাকে  সম্পদের আট ভাগের এক ভাগ দিবে।
অবশিষ্ট সম্পদ তার সন্তানদের মাঝে বরাবর করে বন্টন করে দিবে।
এই বরাবর করে বন্টন করা উত্তম।
যদি মিরাছের নিয়ম অনুযায়ী মেয়েকে ছেলের তুলনায় অর্ধেক দেয়,সেটিও জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

  النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ أبَاهُ أتَى بِهِ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلاَماً كَانَ لِي، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا ؟» فَقَالَ: لاَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: فَأَرْجِعهُ وَفي رِوَايةٍ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَفَعَلْتَ هذَا بِوَلَدِكَ كُلِّهِمْ ؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: اِتَّقُوا الله وَاعْدِلُوا فِي أَوْلاَدِكُمْ فَرَجَعَ أَبِي، فَرَدَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ . وفي روايةٍ : فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «يَا بَشيرُ أَلَكَ وَلَدٌ سِوَى هَذَا ؟» فَقَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «أكُلَّهُمْ وَهَبْتَ لَهُ مِثْلَ هذَا ؟» قَالَ: لاَ، قَالَ: فَلاَ تُشْهِدْنِي إِذاً فَإِنِّي لاَ أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ وفي روايةٍ : «لاَ تُشْهِدْنِي عَلَى جَوْرٍ» . وفي رواية : «أَشْهِدْ عَلَى هذَا غَيْرِي !» ثُمَّ قَالَ: «أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي البِرِّ سَواءً؟» قَالَ: بَلَى، قَالَ: «فَلا إِذاً» . متفق عليه 

 নু’মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে হাজির হয়ে বললেন, ‘আমি আমার এই ছেলেকে একটি গোলাম দান করেছি। [কিন্তু এর মা আপনাকে সাক্ষী রাখতে বলে।]’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমার সব ছেলেকেই কি তুমি এরূপ দান করেছ?’’ তিনি বললেন, ‘না।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তাহলে তুমি তা ফেরৎ নাও।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমার সব ছেলের সঙ্গেই এরূপ ব্যবহার দেখিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ‘না।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা কর। সুতরাং আমার পিতা ফিরে এলেন এবং ঐ সাদকাহ [দান] ফিরিয়ে নিলেন।’’

আর এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘হে বাশীর! তোমার কি এ ছাড়া অন্য সন্তান আছে?’’ তিনি বললেন, ‘জী হ্যাঁ।’ [রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, ‘‘তাদের সকলকে কি এর মত দান দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ‘জী না।’ [রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, ‘‘তাহলে এ ব্যাপারে আমাকে সাক্ষী মেনো না। কারণ আমি অন্যায় কাজে সাক্ষ্য দেব না।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘আমাকে অন্যায় কাজে সাক্ষী মেনো না।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘এ ব্যাপারে তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সাক্ষী মানো।’’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘‘তুমি কি এ কথায় খুশী হবে যে, তারা তোমার সেবায় সমান হোক?’’ বাশীর বললেন, ‘জী অবশ্যই।’ তিনি বললেন, ‘‘তাহলে এরূপ করো না।’’ 
(সহীহুল বুখারী ২৫৮৬, ২৫৮৭, ২৬৫০, মুসলিম ১৬২৩, তিরমিযী ১৩৬৭, নাসায়ী ৩৬৭২-৩৬৮৫, আবূ দাউদ ৩৫৪২, ইবনু মাজাহ ২৩৭৫, ২৩৭৬, আহমাদ ১৭৮৯০, ১৭৯০২, ১৭৯১১, ১৭৯৪৩, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৭৩)

অন্য বর্ণনায় এসেছে হযরত নোমান ইবনে বশীর (রাযি.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা (সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে) তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করো। তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ করো।’
(সহীহ বুখারী : ১/৩৫২; সুনানে আবুদাউদ : ৩৫৪৪)

আরো জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বড় বোনকে তার হক সঠিক ভাবে দিয়ে আপনার বাবার ইচ্ছায় সম্পদ আপনাদের নামে লিখে নিতে পারবেন।
আপনার মাকেও তার সম্পদ দিবেন,হ্যাঁ যদি তিনি না নিয়ে আপনাদেরকেই দেন,সেটি ভিন্ন কথা।

(০২)
তার সেখানে অংশিদার হওয়ার পূর্ণ হক রয়েছে।
তবে তিনি যদি মূল্য নিতে রাজী হোন, সন্তুষ্টি চিত্তেই।যদি রাজি হোন,তাহলে মূল্য দেয়া জায়েজ হবে।

(০৩)
আপনার বাবা যদি সেই ১ম স্ত্রীকে শরয়ী নীতিমালা মেনে পুনরায় বিবাহ করে ফিরিয়ে নিতে চান,
এক্ষেত্রে পূর্ণ শরীয়ত মানা হলে আপনাদের এখান্র কোনো করনীয় নেই।
তবে শরীয়ত বহির্ভূত কাজ হলে আপনার বাবাকে বুঝাতে পারেন।

উল্লেখ্য আগের স্ত্রীর সাথে যদি কোনো তালাক না হয়,তাহলে তো সে আপনার বাবার এখনো বৈধ স্ত্রী।
সুতরাং তাকে তালাক না দিলে অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।         
আপনাদের সম্পদ ভাগ করে দিলে তাকেও তার সম্পদ দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...