আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in সাওম (Fasting) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। একজন উস্তাজা আপুর পোস্ট দেখলাম যে পায়ু পথে কিছু প্রবেশ করলে রোজা ভাংবে।তাই একটা প্রশ্ন করছি।উত্তর জানালে খুব ভাল হতো। অনেক সময় কশা পাইখানার জন্য পাইলস এর রোগীদের টয়লেট করার সময় মলম  নিয়ে টয়লেট করা লাগে।এতে কি রোজা ভাংবে?এতে যদি রোজা ভাংগে, আমি জানি এমন কাছের একজনের আগে সমস্যা টা ছিল ৩ বছর।এখন তো তার মনেও নেই যে সে কয়দিন মলম লাগিয়ে টয়লেট করে ছিল তবে সাপোজিটর  দেয় নি, মলম লাগতো।এছাড়াও সে রমজানের সময় ইতেকাফ করেছিল একবার।আলহামদুলিল্লাহ তার বেশ কয়েকটি দোয়াও কবুল হয়েছে,রমজানে করা দোয়া। এখন তার যেহেতু মনে নেই তাহলে এবং জানতোও না সে ক্ষেত্রে কি করবে?৩০ করে ৯০ রোজাই কি রেখে দিবে বা ফিদিয়া দিবে?নাকি রোজা গুলো হয়েছে?এবং ফিদিয়ার চালের বদলে চালের মূল্য এক বা একাধিক মিসকিন কে দেয়া যাবে কি?ফিদিয়ার টাকা দিয়ে যদি কোন মিসকিন খাদ্য না কিনে চিকিৎসা বা অন্য কাজ করে, তাহলে ফিদিয়া আদায় হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/40235/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে,   
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-

ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.

শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)

ولو بالغ في الاستنجاء حتی بلغ موضع الحقنۃ فسد۔ (شامي ۳؍۳۶۹ زکریا)

সারমর্মঃ  যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

আরো জানুনঃ 

★শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় যদি কোনো মহিলা গোপনাঙ্গে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,এক্ষেত্রে আঙ্গুল যদি শুকনো থাকে, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। যদি ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তাহলে মহিলার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এতে কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।

ولو ادخل إصبعه فى إسته أو المرأة فى فرجها، لا يفسد، وهو المختار، إلا إذا كانت مبتلة بالماء أو الدهن، فحينئذ يفسد لوصول الماء او الدهن، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد الصوم ومالا يفسد-1/204, كذا فى الدر المختار-2/397)
সারমর্মঃ
যদি কেহ তার আঙ্গুল মলদ্বারে প্রবেশ করায়,বা কোনো মহিলা তার লজ্জাস্থানে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে আঙ্গুল যদি তৈল বা পানি দ্বারা ভিজানো থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।    
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রোযা অবস্থায়  যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

হাকনার স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মহিলা এরকম সাপোজিটার মোট কয়টি রোযায় ব্যবহার করেছিলো,প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে আনুমানিক একটি হিসাব করবে।
অতঃপর সেই রোযা গুলির কাজা আদায় করবে।
সুস্থ অবস্থায় ফিদইয়াহ আদায়ের সুযোগ নেই।

তবে মারা গেলে ফিদইয়াহ আদায়ের অসিয়ত করে যাবে,অথবা মৃত্যুকালীন অসুস্থ অবস্থায় নিজেই ফিদইয়াহ দিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...