আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের পিতা একটি পাঁচ তলা বাড়ী, দুইটি দোকান, ঢাকার অনুন্নত এলাকায় কিছু জমি এবং গ্রামে কিছু জমি, কিছু দেনা রেখে হঠাৎ মারা যান। আমরা চার বোন এক ভাই। বড়ো তিন বোন বিবাহিত, ছোট ভাই ও এক বোন অবিবাহিতো এবং এখনও শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ির জমি বিক্রির টাকা দিয়ে আব্বুর রেখে যাওয়া দেনা পরিশোধ করা হয়, এছাড়া ঢাকার অনুন্নত এলাকায় রেখে যাওয়া জমি আমাদের অধিকারে আনতে মাটি ভরাট ও চারপাশের দেয়াল গড়তে খরচ করা হয়। আর বাকি বিশ লক্ষ টাকা বড়ো বোনকে দেওয়া হয় তার স্বামীর ব্যাবসায় বিনিয়গ এর জন্য যেখান থেকে তিনি আমাদের মাসিক ২০,০০০ টাকা লাভ দেন। তবে ব্যবসা মন্দ চলাকালীন এই মাসিক লাভ মাঝে মাঝে কম বেশি করেন।

উপরোক্ত পরিস্থিতির সাপেক্ষে আমার প্রশ্নগুলি নিম্মরুপ

১। যেহেতু ছোট এক ভাই, এক বোন এখনও শিক্ষার্থী এবং তারা আব্বু জীবিত থাকাকালীন থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাই আমরা সবার রাজি খুশি এই সিধান্ত নেই যে এখন সব সম্পদ বণ্টন না করেই আম্মুর অধিনে থাকুক তিনি এখান থেকে তার নিজের খরচ, ছোটো ভাই বোনের খরচাদি ও যাবতীয় অন্যান্য সম্পদের পরিচালনা ও সংরক্ষণের কাজ করুক। যেহেতু এখন সম্পদ বন্টন হলে ছোটো ভাই বোনের পড়ালেখা ও বিয়ে দেওয়া আম্মুর ( যিনি একজন গৃহীনি) একার পক্ষে সম্ভব নয়। ছোট বোনের বিয়ে ও ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা শেষ হওয়া পর্যন্ত সম্পদ বন্টন বিলম্ব করার এই সিদ্ধান্তে কি আমরা কোণোভাবে গুনাহগার হচ্ছি বা শারীয়াত লঙ্ঘন করছি?

 

২। বাড়ী ও দোকান ভাড়া বাবদ পাওয়া টাকা এবং বড়ো বোনের স্বামীর ব্যবসায় বিনিয়গ থেকে পাওয়া লভ্যাংশ মিলিয়ে আম্মু যে টাকা পান তার পুরোটাই খাওয়া পরা ও ছোটো ভাই বোনের পড়ালেখার খরচে চলে যায়, মাস শেষে ৪-৫০০০ টাকা হাতে থাকে সেটা থেকে আমরা আব্বুর নামে মাসিক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মাদ্রাসা বা এতিমখানায় দান করে থাকি। এমতাবস্থায় আমাদের জন্য জাকাতের উৎসগুলি কি কি? এই যাকাত কি শুধু আম্মুর উপরে আসবে নাকি সবার উপরে? আর আসলে কি পরিমানে আসবে জানালে অনেক উপকৃত হবো। 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা’আলা বলেন,

 يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।
সূরা নিসা-১১।           

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
এভাবে যদি আপনার সম্পদ বন্টন না করেই চলেন,আর এটির প্রতি যদি আপনার ভাই ও সম্পস্ত বোনেরা সন্তুষ্টি চিত্তেই রাজি হয়,তাহলে এতে সমস্যা নেই।

তবে নিজের ভাগ নিতে চাইলে শরীয়তের বিধান মেনে দেয়া আবশ্যক। 

(০২)
এ জাতীয় জমি জমা,ঘর বাড়ির উপর যাকাত আসেনা।    
তবে বাসার ভাড়ার যতটুকু প্রয়োজন অতিরিক্ত, সেটি যাকাতের নেসাব পরিমান হলে ও এক বছর পূর্ণ হলে যাকাত ফরজ হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বা আপনার মায়ের উপর কোনো যাকাত আসবেনা।

বড় বোনদের মধ্যে যদি তারা এ সম্পদ ব্যাতিত অন্য কোনো সম্পদেরও মালিক থাকে,আর তাহা যদি  যাকাতের নেসাব পরিমান হয়,তাহলে সেই আলাদা সম্পদের কারনে তাদের উপর যাকাত আসবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...