আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
১. রমাদানে হায়েজ হলে যে রোজাগুলো কাযা রাখতে হয়, এই ব্যাপারে একটা মেয়ে জানতো না। হায়েজ শুরু হওয়ার কিছু বছর পর সে হিদায়াত পেয়েছে, আলহামদু লিল্লাহ। এখন সে বিষয়টা জানে। তাই আগে যে রোজাগুলো রাখে নি, হায়েজের বছর অনুযায়ী হিসাব করে সে আনুমানিক কাযা রোযার হিসাব করেছে। এখন সে অনুযায়ী কাযা রোযা রাখে।
যেহেতু সে আগে হায়েজের কারণে কাযা হওয়া রোযাগুলোর হিসাব রাখতো না আর হায়েয একেকসময় একেক রকম দিনে হতো (কখনো ৫ দিন, কখনো ৬ দিন, কখনো ৭ দিন)
তাই এই আনুমানিক হিসাবের মধ্যে যদি তার কম হয় রোযা, তাহলে কি সে গুনাহগার হবে?
আর আনুমানিক হিসাবের মধ্যে যদি রোযা বেশি হয়ে যায়, তাহলে কোনো সমস্যা হবে?
সঠিকটা তো সে বের করতে পারছে না হিসাব করে।
২. মেয়েটা আশঙ্কা করছে যে, হায়েজ শুরুর প্রথম বছরে সে হায়েজের দিনগুলো ছাড়াও এমনিও কিছু রোযা বাদ দিয়েছে। সে জানতো না, হায়েজ শুরু হলেই রোযা ফরজ আর পরিবারের কেউও তাকে জানায়নি।
তাই যদি হায়েজ ছাড়া কিছু রোযা বাদ গিয়ে থাকে, তাহলে সে কি অানুমানিক হিসাব করে ঐ রোযাগুলোর কাযা রাখবে? নাকি কাফফারা আদায় করতে হবে?
৩. মহিলাদের ক্ষেত্রে ইতিকাফের রুমের সাথে বেলকনি লাগানো থাকলে (যেভাবে এটাচড বাথরুম থাকে) সেই বেলকনিতে কি ইতিকাফ অবস্থায় যাওয়া আাসা বা বসতে পারবে? কারো সাথে কথাবার্তা না বলে? ইসলামিক বই পড়ার জন্য বা জিকির করার জন্য? যেহেতু বেলকনিটা রুমের কোণায় রুমের সাথেই লাগানো এবং খুব ছোট, তাই সেখানে কোনো মানুষজনও যাওয়া আসা করে না।
এতে কি ইতিকাফের ক্ষতি হবে?
৪. মহিলাদের ইতিকাফের রুমের পাশে রান্নাঘর থাকলে, রান্নাঘর থেকে তার মা যদি ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করে, ইফতার আনবে কিনা, খাবার আনবে কিনা বা কিছু লাগবে কিনা, তখন ইতিকাফকারী মহিলা ঘর থেকেই মাকে জবাব দিতে পারবে রান্নাঘরে শোনা যায় মতো?
নাকি মাকে ইতিকাফের রুমে এসে জিজ্ঞেস করে যেতে হবে?
জাযাকুমুল্লাহ খইর।