বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে কোনো মুসলমানকে চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক নফল ইবাদতের সওয়াব পৌঁছানো যাবে।
এবং সওয়াব পৌছবে।
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ.এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা এভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেনঃ
ﻭﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺠﻌﻞ ﺛﻮﺍﺏ ﻋﻤﻠﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﺻﻼﺓ ﺃﻭ ﺻﻮﻣﺎ ﺃﻭ ﺻﺪﻗﺔ ﺃﻭ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﻗﺮﺁﻥ ﺃﻭ ﺫﻛﺮﺍ ﺃﻭ ﻃﻮﺍﻓﺎ ﺃﻭ ﺣﺠﺎ ﺃﻭ ﻋﻤﺮﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻋﻨﺪ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻟﻠﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
মূলকথা হলঃ
মানুষ তার আমলের সওয়াব অন্যর জন্য দিতে পারবে, সে আমল চাই নামায/রোজা/সদকা/কোরআন তেলাওয়াত/যিকির/তাওয়াফ/হজ্ব/উমরা বা অন্য কিছুই হোকনা কেন। এটা আমাদের উলামাদের কাছে কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।(বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3565
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
(১) আপনার আম্মু আপনার নানীর নামে উমরা করতে পারবেন।
(২) জ্বী, আপনার আম্মা যে কারো নামে উমরাহ করতে পারবেন।
(৩) ঋণ যদি এমন হয়, যা দীর্ঘদিন যাবৎ পরিশোধ করা হচ্ছে না, তাহলে ঐ ব্যক্তিকে প্রথমে ঋণ পরিশোধ করতে হবে, বা ঋণদ্বারের নিকট থেকে সময় চেয়ে নিতে হবে, নতুবা হজ্ব - উমরাহ মাকবুল হবে কি না? তা আল্লাহই ভালো জানেন।
(৪) মৃত ব্যক্তি যদি এমন হন, যার কাছ থেকে ঐ ব্যক্তি সম্পদের ওয়ারিছ হচ্ছেন, তাহলে এমন মৃতব্যক্তির পরিবর্তে হজ বা উমরা করার জন্য অনুমতির কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।