ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়াদা করার পর পূর্ণ করা উচিৎ। তবে পূর্ণ না করলে সে গোনাহগার হবে না।
«وَأَسَاسُ الْمَسْأَلَةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ: أَنَّ الإِْنْسَانَ إِذَا أَنْبَأَ غَيْرَهُ بِأَنَّهُ سَيَفْعَل أَمْرًا فِي الْمُسْتَقْبَل مَرْغُوبًا لَهُ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ الأَْمْرُ غَيْرَ وَاجِبٍ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ لَا يَلْزَمُهُ بِمُجَرَّدِ الْوَعْدِ؛ لأَِنَّ الْوَعْدَ لَا يُغَيِّرُ الأُْمُورَ الاِخْتِيَارِيَّةَ إِلَى الْوُجُوبِ وَاللُّزُومِ.» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (44/ 76)
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিষয়ে মূলনীতি হল, কোনো মানুষ যখন অন্যকে সংবাদ দেয় যে, সে ভবিষ্যতে ঐ কাজটি করবে, যদি ঐ কাজটি তার উপর মূলত ওয়াজিব না হয়ে থাকে, তাহলে ঐ তার উপর ওয়াদাকে পূর্ণ করা অত্যাবশ্যকীয় হবে না। কেননা ওয়াদা ইচ্ছা স্বাধীন বিষয়কে পরিবর্তন করে অত্যবশ্যকীয়র দিকে নিয়ে যায় না(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৪/৭৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/13507
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
তোমরা হচ্ছো দুই কথার/তিন কথার মানুষ। দুই কথা বলব চলে যাবা /তিন কথা বলব চলে যাবা।
এটা হচ্ছে, তালাকের ওয়াদা। এরকম কথাবার্তা দ্বারা তালাক পতিত হবে না। কেননা তালাকের জন্য বর্তমান বা ভবিষ্যত বাচক শব্দের প্রয়োজন।