জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ ابْنَةُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ، إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ، وَلَيْسَ بِحَيْضٍ، فَإِذَا أَقْبَلَتْ حَيْضَتُكِ فَدَعِي الصَّلاَةَ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي ". قَالَ وَقَالَ أَبِي " ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ، حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ ".
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনত আবূ হুবায়শ (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন ‘ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার এত বেশি রক্তস্রাব হয় যে, আর পবিত্র হই না। এমতাবস্থায় আমি কি সালাত (নামায/নামাজ) ছেড়ে দেব? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, এ তো ধমনি নির্গত রক্ত, হায়েয় নয়। তাই যখন তোমার হায়েয আসবে তখন সালাত (নামায/নামাজ) ছেড়ে দিও। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে, তারপর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার পিতা বলেছেনঃ তারপর এভাবে আরেক হায়েয না আসা পর্যন্ত প্রত্যেক সালাত এর জন্য অযু করবে।
(বুখারী ২২৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনার ১৮ তারিখ যোহরের পর লালচে স্রাব এসেছিল। তারপর ২১ তারিখ সকালে এসেছিলো। তিন দিন তিন রাত পার হওয়ার আগেই যেহেতু আবার স্পষ্ট সাদা ব্যাতিত অন্য কালারের স্রাব এসেছে তাই আপনাকে ১৮ তারিখ জোহর থেকে থেকে হায়েজ ধরতে হবে।
(এক্ষেত্রে ২৮ তারিখ জোহরের ওয়াক্তে বা তারপর স্পষ্ট সাদা ব্যাতিত অন্য কালারের স্রাব আসলে সেটা ইস্তেহাজা হবে।)