আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in সাওম (Fasting) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম
১/রোজার নিয়ত নিয়ে অনেক কনফিউশান এ আছি,

যখন থেকে রোজা রাখা শুরু করেছি ক্যালেন্ডার এ দেয়া আরবি নিয়ত দেখে পরে নিয়ত করেছি।সেহেরি সময় নিয়ত করে ফেললে নাকি আর খাওয়া যাবে না যদিও সেহেরির সময় হাতে থাকে এ ব্যাপারে একটু বুজিয়ে বলুন।

পরে শুনেছি মুখে নয় অন্তরে নিয়ত করলেই হয়ে যাবে

যদি অন্তরে নিয়ত করলে হয়ে যায় তাহলে  কিভাবে এবং কখন নিয়ত করবো?যদি নিয়ত করে ফেললে আর খাবার না খাওয়া যায় তাহলে কখন নিয়ত করতে হবে?

২/ রোজার নিয়ত এর শেষ সময় কখন পর্যন্ত? যদি আমি সেহেরি তে না উঠতে পারি তাহলে কিভাবে নিয়ত করবো?

৩/ ইফতারের সময় ও কি নিয়ত করা জরুরি?এবং কিভাবে.?

৪/ তারাবির নামাজ কি ঘরে পরিবারের সাথে একত্রে আদায় করা যায়?

৫/ খতম তারাবি না পরে সুরা তারাবি পরলে কি তারাবি আদায় হবে?

৬/ ইতেকাফ কি ঘরে বসে করা যায় নাকি মসজিদেই যেতে হবে?ইতেকাফ কি ২/১ ঘন্টার জন্য করা যায়?ইতেকাফ কিভাবে করতে হয়?

৭/ইচ্ছাকৃত ভাবে রোজা না রাখলে তার জন্য কি কাফফারা দিতে হয় নাকি একটি রোজা না রাখার জন্য একটি রোজা রাখলেই হয়ে যায়?রোজা রেখে ভেংগে ফেললে এর জন্য কাফফারা দিতে হয় নাকি ইচ্ছাকৃত ভাবে রোজা না রাখলে কাফফারা দিতে হয়?

৮/কেউ যদি ফজরের ওয়াক্ত না পরে তাহলে নাকি বাকি যে কয়েক ওয়াক্ত আছে তা আদায় করলেও তা কবুল হবে না?এক ওয়াক্ত নামাজ বাদ দিলে বাকি ওয়াক্ত পরলেও নাকি তা আদায় হবে না যতক্ষুন না আগের ওয়াক্ত কাজা আদায় করা হবে?এ ব্যাপারে একটু বুজিয়ে বলুন প্লিজ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুখে নিয়ত করা শর্ত নয়।এবং আরবীতে নিয়ত করাও শর্ত নয়।এবং নিয়ত করার পর খাবার গ্রহণ করাও নিষেধ নয়। আপনি এভাবে খাবার গ্রহণ করবেন যে, আমি আগামিকাল রোযা রাখার নিয়তে এই মুহূর্তে সেহরি খাচ্ছি। আপনি যেহেতু ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই রোযা রাখার নিয়তে ইতিপূর্বে সেহরি খেয়েছেন, তাই সেহরি খাওয়ার পর ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্বে আরোও ভক্ষণ করতে পারবেন।এতেকরে কোনো সমস্যা হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1254

(২)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/11221 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরয রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
স্মর্তব্য যে, আরবী দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হবে।যেমন যদি সেহরীর সময় তথা সুবহে সাদিক শুরু হয় ৫টায়। আর সূর্যাস্ত হয়ে থাকে সন্ধ্যা ৭টায়। তাহলে একদিন হচ্ছে কত ঘন্টায়? ১৪ঘন্টায়।

সুতরাং সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।

এই রোযা হল, (১) রমজানের রোযা, (২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।

(২) রাত থেকে নিয়ত করতে হবে। এ রোযাগুলি হল,(১) রমজানের কাযা রোযা (২)অনির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩)নির্দিষ্ট নযরের রোযার কাযা রোযা (৪) নফল রোযাকে ভঙ্গ করার পর কাযা করা(৫) কাফফারার রোযা সমূহ যেমন,(ক) জিহারের কাফফারা,(খ) হত্যার কাফফারা,(গ) কসমের কাফফারা,(ঘ) এবং ফরয রোযা ভঙ্গ করার কাফফারা সহ হজ্বের কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কাফফারা ইত্যাদি।

(৩)
ইফতারের সময় রোযা ভঙ্গের নিয়ত করতে হবে।

(৪)
জ্বী, পরিবারের সাথে তারাবিহর নামায পড়া যাবে। ঘরের পুরুষদের মধ্যে জামাতের জন্য যথেষ্টসংখ্যক পুরুষ থাকলে অবশিষ্ট পুরুষদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায পড়া সুন্নতে কেফায়া।

(৫)
জ্বী, খতমে তারাবির পরিবর্তে সূরা তারাবিহ পড়া যাবে।

(৬)
ইতিকাফের জন্য মসজিদ শর্ত।নারীরা ঘরে ইতিকাফ করতে পারবে।এক মিনিট দুই মিনিটের জন্যও ইতিকাফ করা যাবে।

(৭)
ইচ্ছাকৃত রোযা না রাখলে একটির বদলে একটি রোযাকে কাযা করে নিলেই হবে।তবে রোযা রেখে ভঙ্গ করে দিলে কাফফারাও সাথে আদায় করতে হয়।

(৮)
এটা সবার জন্য না।বরং বালেগ হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত যাদের ছয় ওয়াক্ত নামায ছুটে যায়নি,তাদের জন্যই এই বিধান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 188 views
0 votes
1 answer 228 views
...