ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুখে নিয়ত করা শর্ত নয়।এবং আরবীতে নিয়ত করাও শর্ত নয়।এবং নিয়ত করার পর খাবার গ্রহণ করাও নিষেধ নয়। আপনি এভাবে খাবার গ্রহণ করবেন যে, আমি আগামিকাল রোযা রাখার নিয়তে এই মুহূর্তে সেহরি খাচ্ছি। আপনি যেহেতু ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই রোযা রাখার নিয়তে ইতিপূর্বে সেহরি খেয়েছেন, তাই সেহরি খাওয়ার পর ফজরের ওয়াক্ত শুরুর পূর্বে আরোও ভক্ষণ করতে পারবেন।এতেকরে কোনো সমস্যা হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1254
(২)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/11221 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরয রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
স্মর্তব্য যে, আরবী দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হবে।যেমন যদি সেহরীর সময় তথা সুবহে সাদিক শুরু হয় ৫টায়। আর সূর্যাস্ত হয়ে থাকে সন্ধ্যা ৭টায়। তাহলে একদিন হচ্ছে কত ঘন্টায়? ১৪ঘন্টায়।
সুতরাং সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগে রোযার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ উক্ত হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোযার নিয়ত করলে সেদিনের রোযা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না।
এই রোযা হল, (১) রমজানের রোযা, (২)নির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩) এবং সাধারণ নফল রোযা।
(২) রাত থেকে নিয়ত করতে হবে। এ রোযাগুলি হল,(১) রমজানের কাযা রোযা (২)অনির্দিষ্ট নযরের রোযা (৩)নির্দিষ্ট নযরের রোযার কাযা রোযা (৪) নফল রোযাকে ভঙ্গ করার পর কাযা করা(৫) কাফফারার রোযা সমূহ যেমন,(ক) জিহারের কাফফারা,(খ) হত্যার কাফফারা,(গ) কসমের কাফফারা,(ঘ) এবং ফরয রোযা ভঙ্গ করার কাফফারা সহ হজ্বের কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কাফফারা ইত্যাদি।
(৩)
ইফতারের সময় রোযা ভঙ্গের নিয়ত করতে হবে।
(৪)
জ্বী, পরিবারের সাথে তারাবিহর নামায পড়া যাবে। ঘরের পুরুষদের মধ্যে জামাতের জন্য যথেষ্টসংখ্যক পুরুষ থাকলে অবশিষ্ট পুরুষদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায পড়া সুন্নতে কেফায়া।
(৫)
জ্বী, খতমে তারাবির পরিবর্তে সূরা তারাবিহ পড়া যাবে।
(৬)
ইতিকাফের জন্য মসজিদ শর্ত।নারীরা ঘরে ইতিকাফ করতে পারবে।এক মিনিট দুই মিনিটের জন্যও ইতিকাফ করা যাবে।
(৭)
ইচ্ছাকৃত রোযা না রাখলে একটির বদলে একটি রোযাকে কাযা করে নিলেই হবে।তবে রোযা রেখে ভঙ্গ করে দিলে কাফফারাও সাথে আদায় করতে হয়।
(৮)
এটা সবার জন্য না।বরং বালেগ হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত যাদের ছয় ওয়াক্ত নামায ছুটে যায়নি,তাদের জন্যই এই বিধান।