ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/13998 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি যে, রোযা রেখে ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা যাবে। এতে রোযা নষ্ট হবে না।
ইনজেকশনের শরয়ী হুকুম বুঝতে হলে প্রথমে দু’টি বিষয় বুঝতে হবে। যথা-
১-ইনজেকশনের পদ্ধতিটি কি রোযায় কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কি না?
২-কোন উদ্দেশ্যে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে? মাকসাদের ভিন্নতার কারণে ইনজেকশনের হুকুমে কোন ভিন্নতা আসবে কি না?
ইনজেকশনের পদ্ধতি
বিজ্ঞ ডাক্তারদের বক্তব্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতার দ্বারা একথাই প্রমাণিত যে, ইনজেকশন কয়েকভাবে দেয়া হয়। যেমন-
ক-গোস্তে ইনজেকশন দেয়া।
খ-চামড়া ও গোস্তের মাঝামাঝি ইনজেকশন দেয়া।
গ-সরাসরি পেটে।
ঘ-অধিকাংশ সময় রগের মাঝে দেয়া হয়।
এবার ভাবার বিষয় হল-এ চার ধরণের ইনজেকশনের হুকুম কি?
এর সহজ জবাব হল-ইনজেকশন চাই রগে দেয়া হোক, যেমন সাধারণত রোগীদের দেয়া হয়, বা চামড়া বা গোস্তে দেয়া হোক, বা পেটে দেয়া হোক যেমন কুকুর কামড়ালে পেটে ইনজেকশন দেয়া হয়, এ সকল সুরতে হুকুম হল এসব কারণে রোযা ভঙ্গ হবে না।ইনজেকশনের ব্যাপারে জমহুর ওলামাদের রায় এটাই যে, এর দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয় না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোযা রেখে কোভিড ভ্যকসিন গ্রহণ করা যাবে।
(২)
রোযা রাখতে অক্ষম হলে প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে একটি করে ফিদয়া দিতে হবে।
(৩)
যেই মজলিসে কুরআন বিরোধী কাজ হয়, সেই মজলিসে কুরআন তিলাওয়াত না করাই কাম্য।কেননা এতে কুরআন অবমাননার বিষয়টা সামনে চলে আসে।