আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ। সমাধা দিন বিজ্ঞ আলিমগণ!
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,আসলে আমাদের সমাজব্যবস্থায় দ্বীন ইসলাম সম্পর্কিত অনেকের জ্ঞান থাকে না,পরে হিদায়াতপ্রাপ্ত হলে আগের জীবনের অনেক কিছু নিয়ে মারাত্মক সংশয় কাজ করে,শরীয়াহর অনেক নতুন টার্ম জানা হয়..যেমন হুরমতে মুসাহারাত, ঈলা ইত্যাদি।

১)কোনো কন্যা সন্তানকে তার পিতা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করলে,যদি হুরমতে মুসাহারাত সম্পন্ন হয়ে যায়,তাহলে ঐ মেয়ে পরবর্তীতে যখন বিবাহ করবে কাউকে,তখন তার স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে?
২) একজন মেয়ে,প্রাইমারিতে পড়ত,তার মামার বুকের উপর শুয়েছিল একটা কক্ষে,মেয়েটা মামা-ভাগনী সুলভ আচরণ মনে করে এটাকে।কিন্তু একটু হলেও উত্তেজনা অনুভব করে যেহেতু মামা একজন ছেলে,আর আমাদের দেশে টিভি-নাটক-সিনেমা বহুল প্রচলিত,অল্প বয়সেই পরিপক্ব হয়ে যায় ছেলেমেয়েরা। মামার সহিত তার বোনের মেয়ে বা ভাগনীর মধ্যে যদি উত্তেজনার সহিত স্পর্শ এবং এভাবে শুয়ে থাকার ব্যাপার ঘটে,কোনো যিনা হয়নাই,তাহলে ঐ মেয়েটি যখন ভবিষ্যতে বড় হয়ে কারও সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করবে,তাতে কোনোরুপ সমস্যা হওয়ার কথা কী?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে।

শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম ।
কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।

বংশগত সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম যেমন,পিতা তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না,ইত্যাদি।
দুধ সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম,যেমন দুধ সন্তান তার দুধ মাকে/বোনকে বিয়ে করতে পারবে না।বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম, যেমন,জামাই সে তার শাশুড়ী কে বিয়ে করতে পারবে না।

বৈবাহিক সম্পর্ক যাকে মুসাহারাত বলে,সেটা কিভাবে প্রতিষ্টিত হবে?আমরা জানি বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সেটা প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে।সুতরাং কোনো মানুষ তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এবং তার সন্তানের স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এমনকি সে তার স্ত্রীর মা বা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।কারণ তাদের সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে গেছে। যা বিয়েকে বাধা প্রদাণ করে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
কোনো কন্যা সন্তানকে তার পিতা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করলে,যদি হুরমতে মুসাহারাত সম্পন্ন হয়ে যায়,তাহলে ঐ মেয়ে পরবর্তীতে যখন কাউকে বিবাহ করবে,তখন তার স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
মামার সাথে বাগনির হুরমত হয় না। এবং মেয়ের জন্য পরবর্তীতে কাউকে বিয়ে করাও নাজায়েয হবে না।

আপনি আসলে হুরমতে মুসাহারাহ কাকে বলে, সেটাই বুঝেননি।এভাবে লিখে বুঝানোও কষ্টকর।আপনি উপরের লিংকে ক্লিক করে বিষয়টাকে ভালোভাবে বুঝে নিবেন।জাযাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...