আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
371 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
*একদিন মনোমালিন্যের সময় আমার স্বামী আমি তাকে যে তালাকের ব্যাপারে পেরেশানি দিচ্ছি সেজন্য কষ্ট পেয়ে রাগে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কিছু কথা বলছিলো।যেমনঃএরকম বাড়াবাড়ি করলে আজ হোক কাল হোক তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাবাই যাবা,আমি এভাবে জীবন যাপন করতে পারবোনা,তুমি আজ আছো কাল থাকবানা,তোমাকে আর এতো গুরুত্ব দিবো না,তুমি না থাকলে কিভাবে বাঁচবো সেই চেষ্টা এখন থেকে করবো,তুমি হয়তোবা একটা সময় থাকবা না ইত্যাদি(সব মনে নেই)।

১.এখানে কোন বাক্য দ্বারা কি কেনায়া তালাক বোঝায়?নাকি ভবিষ্যৎ সূচক বাক্য বোঝায়?
২.স্বামী যদি ভবিষ্যতে তালাকের নিয়তে বর্তমান সূচক কোনো কেনায়া শব্দ(যেমনঃতুমি পৃথক হয়ে গেছো) ইউজ করে তাহলে কি সরাসরি তালাক পতিত হয়ে যাবে?নাকি তাকে বর্তমানের তালাকের নিয়ত করতে হবে?

৩.শায়খ আমার স্বামী রাগ করে বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকবার কেনায়া সূচক বাক্য বলছে।এখন আমি যদি তাকে শুধুমাত্র এভাবে জিজ্ঞেস করি যে, সে তালাকের নিয়ত করে কখনো কোনো শব্দ বলছে কিনা আর সেও যদি উত্তর দেয় যে সে ওরকম নিয়ত করে কখনো কিছু বলেনি তাহলে সেটা সঠিক বলে ধরে নেয়া যাবে?নাকি প্রত্যেকটা বাক্য উল্লেখ করে বলতে হবে এটা বলার সময় তালাকের কোনো নিয়ত ছিলো কিনা?শায়েখ তাকে প্রত্যেকটা বাক্য ধরে ধরে জিজ্ঞেস করতে ভয় লাগে যদি রাগ করে আবার কিছু বলে দেয়।তাছাড়া এগুলো জিজ্ঞেস করলে সে অনেক রেগে যায় আর ঐধরনের কথা বলে,আমার প্রতি তার ঘৃনা জন্মায়।আমি কি করবো শায়খ

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেমনঃএরকম বাড়াবাড়ি করলে আজ হোক কাল হোক তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাবাই যাবা,আমি এভাবে জীবন যাপন করতে পারবোনা,তুমি আজ আছো কাল থাকবানা,তোমাকে আর এতো গুরুত্ব দিবো না,তুমি না থাকলে কিভাবে বাঁচবো সেই চেষ্টা এখন থেকে করবো,তুমি হয়তোবা একটা সময় থাকবা না ইত্যাদি।

এসব বাক্য দ্বারা তালাক হবে না।

তাছাড়া আরো যেসমস্ত কেনায়া বাক্য রয়েছে, স্বামী যেগুলো উল্লেখ করেছে, যা আপনি আমাদের এখানে উল্লেখ করেছেন, এগুলোতে যেহেতু স্বামীর তালাকের নিয়ত নেই, তাই এগুলো দ্বারাও তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...