আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
902 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। নিচের বিষয়টির সমাধান দিবেন দয়া করে। হুজুর আমাকে দয়া করে উত্তরগুলো বুঝিয়ে দিবেন।।

১।কোন একদিন স্বামী একটি শর্তমুলক  কেনায়া বাক্য বলে, আর স্ত্রী জিজ্ঞেস করে কোন নিয়ত ছিল কিনা,,  স্বামী বলে নিয়ত নেই। স্বামী বলেছিল এইসব আর না জিজ্ঞেস করতে,,কারন সে কোনদিন ওইসব নিয়ত করে কিছু বলেনি।

পরবর্তীতে স্ত্রী একদিন জিজ্ঞেস করে যে ওইদিন বা জীবনে  কোনদিন  স্বামী কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় তালাকের নিয়ত করে  বা  সত্যি সত্যি  ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে   কিছু   বলেছিল কিনা?? এইবার স্বামী খুবই বিরক্ত হয় আর উত্তর দেয়,, "হ্যাঁ বলেছি"",স্ত্রী বলে এইটা বললা তুমি? স্বামী বলে ""আবার যদি জিজ্ঞেস করো আবারও বলবো হ্যাঁ বলেছি আর এইবার বললে কিন্তু মন থেকে বলবো।"  স্ত্রীর প্রশ্নে সে খুবই বিরক্ত ছিল কারন স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী..  স্বামী এইভাবে উত্তর দেওয়ার ফলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? বা আগেরদিনের শর্তমূলক কেনায়া বাক্যের শর্ত আরোপ হয়ে যাবে স্ত্রীর উপর এইভাবে উত্তর দেওয়ার ফলে??  স্বামী ওইদিন সকালেও বলেছিল সে তালাকের নিয়তে   কোনদিন  কিছু বলেনি।
স্বামী পরবর্তীতে ঠান্ডা মাথায়  বলেছে সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছে স্ত্রী বার বার প্রশ্ন করায়। এতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে??

২। এই ঘটনার কিছুক্ষন পর স্ত্রী কান্না করে আর স্বামী জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে আবার, স্ত্রী বলে তখন তুমি হ্যাঁ বললা?  স্বামী রেগে যায় আর অনেক জোড়ে বলে হ্যাঁ বলেছি,,বলেছি যে আবার জিজ্ঞেস করলে আবারও বলবো,,  কারন এই একই উত্তর তোমাকে সকালেও দিয়েছি। আর বলেছি আমাকে জিজ্ঞেস না করতে তাও কেন জিজ্ঞেস করলা??আমিতো বলেছিলাম আমি কোনদিন এমন কোন নিয়ত করিনি।

হুজুর এই ২ টি ঘটনার মাধ্যমে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? কমেন্টে একটি লিংক আছে ওই উত্তরে আপনি বলেছিলেন সমস্যা হবে না। আমি তাই আবার বিস্তারিত লিখে প্রশ্ন করলাম।কারন এই জিনিস টা নিয়ে ওয়াসওয়াসায় ভোগছিলাম।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সম্ভবত এ প্রশ্ন আরো বলেছেন। আপনাকে আরো অনেকবার উত্তরে বলেছি, যে, এইভাবে তালাক হয় না। আপনার স্বামীর "হ্যা বলেছি" এটা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না।বরং এটা দ্বারা উনি নিশ্চিতভাবে নিয়ত না থাকার কথাই বুঝিয়েছেন।

(২)
"
স্বামী রেগে যায় আর অনেক জোড়ে বলে হ্যাঁ বলেছি,,বলেছি যে আবার জিজ্ঞেস করলে আবারও বলবো,,  কারন এই একই উত্তর তোমাকে সকালেও দিয়েছি। আর বলেছি আমাকে জিজ্ঞেস না করতে তাও কেন জিজ্ঞেস করলা??আমিতো বলেছিলাম আমি কোনদিন এমন কোন নিয়ত করিনি।"

এই কথাও স্বামীর নিয়ত না থাকার বিষয়কে চুড়ান্তভাবে না করছে। সুতরাং তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (55 points)
হুজুর মাফ করবেন। সমাধান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।  কিন্তু মনে ওয়াসওয়াসা কাজ করে,,, সেদিন প্রশ্ন করার সময় আসলে কি বলা হয়েছিল?  মানে যদি এইভাবে প্রশ্ন করে থাকতো যে," অইদিন বা অন্য কোনদিন কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় তালাকের নিয়তে বা সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা মিন করে বলেছিলে?? স্বামী যদি উত্তর দিত বিরক্ত হয়ে,, "" হ্যাঁ করেছি""" আবার জিজ্ঞেস করলে আবার হ্যাঁ বলবো। 

এইভাবে বললে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হতো? স্বামী বলেছে সে সকালে উত্তর দেওয়ার  পরেও স্ত্রী আবার জিজ্ঞেস করায় এইভাবে উত্তর দিয়েছে বিরক্ত হয়ে। তার কোন নিয়ত ছিল না। 
by (589,140 points)
আপনাকে কিভাবে বুঝাবো, আমাদের জানা নেই । আপনি আমাদের সাথে ফোনে কথা বলবেন। ধন্যবাদ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...