বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আগেই স্বামীকে বলতে হবেনা।
যদি বিষয়টি ঈমান থেকে বের হওয়ার মতো হয়,তাহলে মুফতী সাহেবদের থেকে ফতোয়া নিয়ে স্বামীকে জানাবেন।
নতুবা নয়।
(০২)
এতে গুনাহ হবেনা।
(০৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَنۡ یَّرۡتَدَّ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَسَوۡفَ یَاۡتِی اللّٰہُ بِقَوۡمٍ یُّحِبُّہُمۡ وَ یُحِبُّوۡنَہٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاہِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضۡلُ اللّٰہِ یُؤۡتِیۡہِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۵۴﴾
হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন থেকে ফিরে গেলে নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং যারা তাকে ভালবাসবে; তারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে; তারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না; এটা আল্লাহ্র অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছে তাকে তিনি তা দান করেন এবং আল্লাহ্ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
(সুরা মায়েদা ৫৪)
স্বামী স্ত্রীর কেউ মুরতাদ হয়ে গেলে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাই পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করার পর তারা যদি সংসার করতে চায় তাহলে মোহর ধার্যসহ বিবাহ নবায়ন করতে হবে।
(তাতারখানিয়া-৭/২৮২,তাবয়িনুল হাকায়েক-৪/১৮০,ফতওয়ায়ে দারুল উলুম-১৮/২৯৬)।
وفي الدر المختار:
"(وارتداد أحدهما) أي الزوجين (فسخ) فلاينقص عددًا (عاجل) ... بلا قضاء ... وعليه نفقة العدة."
وفي حاشية ابن عابدين :
"(قوله: بلاقضاء) أي بلا توقف على قضاء القاضي ...(قوله: و عليه نفقة العدة) أي لو مدخولًا بها إذ غيرها لا عدة عليها. وأفاد وجوب العدة سواء ارتد أو ارتدت بالحيض أو بالأشهر لو صغيرة أو آيسة أو بوضع الحمل، كما في البحر."
(رد المحتار3/ 193ط:سعيد)
সারমর্মঃ
স্বামী স্ত্রীর কেউ মুরতাদ হয়ে গেলে বিবাহ ফসখ হবে,সংখ্যা পতিত হবেনা।
স্ত্রীর ইদ্দত কালীন নফকাহ স্বামীর উপর আবশ্যক হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এতে তালাক হবেনা।
পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিলে স্বামীর হাতে তিন তালাকই থাকবে।