জীবিত-মৃত নির্বিশেষে সকল মুসলিমের জন্য ‘ঈসালে সওয়াব’ জায়েয।
কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে,
وَ الَّذِیْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ وَ لَا تَجْعَلْ فِیْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ۠ .
এবং (ফাই-এর সম্পদ তাদেরও প্রাপ্য আছে ) যারা তাদের (অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের) পরে এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! ক্ষমা করুন আমাদের এবং আমাদের সেই ভাইদেরও যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনো হিংসা-বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু। (সূরা হাশর : ১০)
জীবিত বা মৃত মুসলমানের জন্য যদি কোন মুসলিম নেক কাজ করে এর সওয়াব উৎসর্গ করে মুসলিম সে সওয়াব পাবে। যদিও সে মুসলিম না জানে কে তার জন্য নেক কাজটি করল।
‘নাইলুল মাআবির বি শারহি দালিলিত তালিব’ (১/২৩৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অন্য কারো নামে তাকে না জানিয়ে নিজ থেকেই নফল সাদাকা করা যাবে।
যদি নিয়ত থাকে এ সাদাকা উনার নামে। তাহলে উনি সওয়াব পাবে।
সুতরাং নফল যেকোনো সদকাহ যেকোনো মুসলিমের নামে করা যাব।
সে ছওয়াব পাবে।
তবে যাকাত ও ওয়াজিব সদকাহ এর ক্ষেত্রে এটি সহীহ হবেনা।
কেননা ঐ ব্যাক্তির নিয়ত আবশ্যক।
ঐ ব্যাক্তি যদি যাকাত,ওয়াজিব সদকাহ প্রদানের নিয়ত না করে,তাহলে তার পক্ষ থেকে যাকাত, ওয়াজিব সদকাহ আদায় হবেনা।
এ সংক্রান্ত মাসয়ালা জানুনঃ-