জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এটি কুফরি আকীদা।
যারা এহেন আকীদা পোষন করে,তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
(০২)
এই আক্বীদাহ সঠিক।
(০৩)
পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ যদি বাজারে প্রকাশিত এধরনের ব্যাবহারিক বই দেখে লেখা থেকে নিষেধ করে থাকেন,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটি ধোকার অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিধায় তাহা জায়েজ হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★তবে যদি পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ যদি বাজারে প্রকাশিত এধরনের ব্যাবহারিক বই দেখে লেখা থেকে নিষেধ না করে থাকে,তাদের যদি মৌন সমর্থন থাকে, তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাজারে প্রকাশিত সেই ব্যবহারিক বই দেখে লেখা জায়েজ হবে।
(০৪)
স্পষ্ট আকারের নাপাকির চিন্হ,গন্ধ না পাওয়া গেলে এগুলোর কোনোটিকেই নাপাক বলা যাবেনা।
(০৫)
যদি কুরআন পা থেকে অনেক উপরে রাখা হয়,তাহলে এতে আদবের খেলাফ হবেনা।
আর যদি কুরআন তার পায়ের সমান বা নিচে থাকে,তাহলে উক্ত বুক সেলফ অনেক দূরে রাখতে হবে।
এতটা দূরে হতে হবে,যেটাকে সমাজে আদবের খেলাফ মনে করেনা।
যদি কাছেই থাকে,তাহলে এটি আদবের খেলাফ হবে।
(০৫)
★বুখারী শরীফ (ইসলামীক ফাউন্ডেশন) ১৮৯৪ নং হাদীসঃ-
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي تَاسِعَةٍ تَبْقَى، فِي سَابِعَةٍ تَبْقَى، فِي خَامِسَةٍ تَبْقَى ".
মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তা (লাইলাতুল কদর) রমযানের শেষ দশকে তালাশ কর। লাইলাতুল কদর (শেষ দিক হতে গনণায়) নবম, সপ্তম বা পঞ্চম রাত অবশিষ্ট থাকে।
★বুখারী শরীফ (তাওহিদ প্রকাশনী) ১৮৯৪ নং হাদীসঃ-
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الصِّيَامُ جُنَّةٌ فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَجْهَلْ وَإِنْ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ مَرَّتَيْنِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ تَعَالَى مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ يَتْرُكُ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ وَشَهْوَتَهُ مِنْ أَجْلِي الصِّيَامُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সওম পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুগন্ধির চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরস্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুণ। (বুখারী শরীফ ১৮৯৪.১৯০৪, ৫৯২৭, ৭৪৯২, ৭৫৩৮, মুসলিম ১৩/২৯, হাঃ ১১৫১, আহমাদ ৭৩০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৭০)
ব্যাখ্যাঃ-
সিয়াম পালনকারীর মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তা‘আলার নিকট মেশক এর সুগন্ধির চেয়েও প্রিয়।
এটি একটি তুলনা মাত্র মানুষের অভ্যাস এই যে, সে সুগন্ধিকে ভালবাসে এবং তা তার নিকটবর্তী করে নেয়। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলা সিয়াম পালনকারীকে তার নিকটবর্তী করে নেয়।
অথবা এর অর্থ এই যে, মেশকের সুগন্ধ তোমাদের নিকট যে রকম পছন্দনীয় আল্লাহর নিকট সিয়াম পালনকারীর মুখের দুর্গন্ধ তার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়।
কেউ কেউ বলেছেন যে রোযাদারের মুখের গন্ধই এখানে উদ্দেশ্য।
★ মিসওয়াক করার পরেও যেই গন্ধ বাকি থাকে,এটি এখানে উদ্দেশ্য।
মিসওয়াক না করা অবস্থার গন্ধ উদ্দেশ্য নয়।