আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
324 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।শায়েখ যদি কস্টকরে পুরো বিবরণটা পড়ে একটা ফতোয়া দেন তাহলে ভাল হয়।দুঃখিত বিরক্ত করার জন্য।

১।শায়েখ কারো স্বামী কেনায়া তালাক কি সেটা জানেও না।ওনার স্ত্রী ওনাকে সময় দিতে না পারায় ওনি অভিমান করে বসে আছে।মেয়েটার ক্লাস চলতেছিল।মেসেজে কথা হয় ওদের।পরে স্ত্রীর কাজ শেষ হলে স্ত্রী বলে কি এখন বের হব।স্বামী বলে যাও যাও যা ইচ্ছে কর গা।তহ স্বামী আর স্ত্রীর মধ্যে তালাকের কোন কথা হচ্ছিল না।তার স্বামী জানেও না কেনায়া তালাক কি আর কি কি বললে কেনায়া তালাক হয়।স্বামীকে ওর বললেও শুনে না।ও স্বামীকে বুঝাতে চাই কিন্তুু স্বামি এ বিষয়ে কথা বলতে বারন করে দেয়।আর স্ত্রী ও ভয়ে আর কিছু বলে না মিথ্যাশিকারোক্তি দিবে ভাবে।তহ আজকে স্বামিকে বলতেছে তুমি এসব কথা বল যে ভয় হয়।কারন তুমি তালাকের নিয়তে বললে তালাক হবে।আর তুমি  মিথ্যাশিকারোক্তি দিলেও হবে।তহ স্বামি বলে থেথ।স্ত্রী  বলে আর বলবা না।স্বামি বলে ঠিক আছে।এবারে কোন নিয়তে বলেছে জিগ্যেস করেছি কিছু বলে নাই স্বামী।স্বামী পরে বলে একটু বকা দিলেও বলে যিনা হয় ।ওদের মেসেজে কথা হয়।রাগ আর ঝগড়া হলেই বলে কিন্তুু বার বার স্বামীকে জিগ্যেস করা প্রত্যেকবার স্বামি রেগে যায়।বার বার একই কথা না বলতে বলে।বেচারি কি করবে? স্বামী জানেও না কি কি কথায় কেনায়া তালাক হয় শুধু বলে তালাকের নিয়তে বলে নাই।মেয়েটা ভয়ে থাকে।কান্না কাটি করে ভয়ে কোন যিনা হচ্ছে কিনা।একই কথা প্রত্যেকবার জিগ্যেস করা কি উচিত হবে মেয়েটার যে তালাকের নিয়তে বলেছে কিনা এটা?।ও স্বামীর সাথে ঝগড়া করে না এখন স্বামী ওটা ওইরকম যে।আগে করত এখন করে না মেয়েটা ঝগড়া।মেসেজে কথা হয় ওদের।মেয়েটা স্বামিকে যা বুঝাতে চেয়েছে আর স্বামি যা বলেছে তার  দ্বারা কি তালাক হবে?

 ২।মেয়েটাকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিয়েছে।সে ভাবতে থাকে পরে একদিন বুঝাবে স্বামিকে আসলে।আর না বুঝতে চাইলে বলবে যদি বুঝতে না চাও আর এরকম কোনদিন মিথ্যাশিকারোক্তি দাও বা হ্যা বল তাহলে আমি(মেয়েটা) আর থাকবে না।যিনার ঘর করবে না।মেয়েটা কথাটা মনে  মনে ভাবে নাকি মুখে উচ্চারন করেছে বুঝতেছে না।মেয়েটা ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে গেছে টেনশনে আর ভয়ে।কিন্তুু মেয়েটা কথাগুলো তার স্বামীকে বলে নাই।নিজে নিজে বলেছে।কিন্তুু মনে মনে নাকি উচ্চারন করেছে সেটা বুঝতেছে না।আর বুঝাতে গিয়ে তালাকের কথা বের হয়েছে কিনাও সন্দেহে সে।ওই মেয়েটা টেনশনে পাগল হয়ে যাচ্ছে ভয়ে।যত সমস্যাই হোক মেয়েটা নিজেকে তালাক দেই নাই।ওর ভয় হচ্ছে কোন না জেনে উচ্চারন করেছে কিনা।কিন্তুু ওর ভয় হচ্ছে।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

৩।শায়েখ আমাদের বাংলাদেশের সাধারন জনগন কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানে না।এমন অবস্হা কথায় কথায় হয়ত কেনায়া তালাক হয়।না জেনে বলার পর যখন এটা সম্পর্কে ওরা জানতে পারে তাদের কি কোন পথ থাকবে না? মানে আগে না জেনে যে ভুল হয়েছে সেটা জানার পর তওবা করে আর কোনদিন করবে না বলে মনে মনে শপথ করে ফেললে কি আগে না জেনে যে পাপ করেছে সেটা মাফ হবে? আল্লাহ তহ না জেনে গুণাহ করলে সেটা মাফ চাইলে, তওবা করলে মাফ করে দেয়। বিশেষ করে যারা বিয়ে করেছে বেশিদিন হচ্ছে না।আর নামিয়ে নিয়ে যায় নি  এখনো।জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।

৪।কেউ যদি নিজের  দিকে ইন্গিত না করে অন্য জনের দিকে মানে কারো নাম লিখে না প্রশ্ন করে।কিন্তুু প্রশ্ন করতে যেয়ে একটু করে লিখে আবার কেটে দেয়।প্রশ্ন করে না ভয়ে।পুরো বাক্য ও লিখে না।আপনাদের এখানে প্রশ্ন করতে চেয়েছিল।নিজের দিকে ইন্গিত না করে।প্রশ্ন লিখতে গিয়ে পুরো না লিখে মানে বাক্যটা আর কি ভয়ে কেটে দিছে আবার।কারন এটা সম্পর্কে। সে অনিশ্চিত ছিল।সেটাও বলত প্রশ্নে কিন্তুু কেটে দিয়েছে প্রশ্ন একটু করে লিখে,পুরো লিখে নাই ভয়ে।এতে কি সমস্যা হবে?

৫।হুজুর স্বামি স্ত্রীর বিয়ের আগে থেকে সম্পর্ক।স্ত্রী যদি বলে যদি অন্য জায়গায় বিয়ে হত।ওই স্বামীর কাছ থেকে বুঝায় তালাকের অধিকার নিয়ে নিতাম আর ওকে ছেড়ে দিতাম।এরপর যদি ওখান থেকে চলে আসলে কি মানতা আমাকে? স্বামি বলে ৭ দিনের মধ্যে আসলে মানতাম নয়ত মানতাম না।অন্যজনকে বিয়ে করতা তাও ৭ দিনের ভিতর যদি আসতা মানতাম।আবার কথা হচ্ছিল বিয়ের পর সেচ্ছায় তুমি মানে স্ত্রী চলে গেলে মানে ছেড়ে দিয়ে আমি মানে স্বামি মানতে পারতাম না।আমি মেয়ে পাব না বা তুমি ছেলে পাবে না বিষয়টা এমন না।তবে মানতে পারতাম না।এমনিতে দুস্টামির ছলে কথা হচ্ছিল।এতে সমস্যা হবে?আর তালাকের কোন কথা হয় নাই দেই ও নাই।মেসেজে কথা হচ্ছিল।

৬।কোন স্ত্রী আর স্বামীর মান অভিমান চলতেছিল।স্ত্রী যদি বলে মন থেকে বের হয়ে গেছ,মনে কর এতটুকু তে হারিয়ে ফেলছ।স্ত্রীর মনে তালাকের চিন্তা তাকলেও চাই নাই স্বামীর কাছে।এটা কি তালাকের মজলিস হবে? স্বামীও তালাকের কিছু বলে নি।মেসেজে কথা হয়।আরেকটা  প্রশ্ন স্বামী রাগ করে মেসেজ  দিতে দেরি হলে bye বললে কি সমস্যা হবে?

৭।একজন ওয়াসওয়াসায়,আক্রান্ত  ব্যাক্তি। আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকে। মনে মনে পড়ে।মুখ দিয়ে আসতাগফিরুল্লাহ বলার সময় তালাক বের হলে মনের অজন্তে তাহলে কি তালাক হবে? সে মারাত্বক  ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।তালাকের কথা চিন্তা করতে থাকে ২৪ ঘণ্টা। আবার সন্দেহেও থাকে আসতাগফিরুল্লাহ বলেছে নাকি তালাক বলেছে।সে পাগলের মত হয়ে গেছে চিন্তায়।এমনকি মেয়েটার সব কথাকে কেনায়া বাক্য মনে হয়।স্বামীকে আবার জিগ্যেস করে স্বামী বলে না না এসব কি বল।

পরিশেষে শায়েখ একটু পরামর্শ  দেন মেয়েটা কি করবে? স্বামীকেও বুঝাতে পারে না।এসব কথা বলতে বারন করে কিন্তুু স্বামীর রাগ উটলেই বলে কেনায়া বাক্য।কিন্তু ওসব কথা দ্বারা যে তালাক ও হয় সেটা  স্বামি জানে না।স্ত্রী বুঝাতে চাইলেও শুনতে চাই না।আরো বিরক্ত হয়ে যায় স্বামি। মেয়েটা কান্না করে কোন সময় কি হবে সেটা ভেবে।নিজের পছন্দ করে বিয়ে করেছে কাউকে বুঝাতেও পারে না বেচারি।এখন সবকিছুর জন্য ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর পথে এসেছে মেয়েটা।শুধু ভয়ে কান্না কাটি করে ভবিষ্যৎ এ আবার এমন কথা বললে কি করবে মেয়েটা? প্রত্যেকবার প্রশ্ন করায়,স্বামীও বিরক্ত। সমবয়সী তাই স্বামিটা বুঝতে চাই না।এদিকে যেনার ভয়ে মেয়েটা কাদতে থাকে।সে ভাবে আগের গুলো তহ মাফ চাইলে মাফ করতেও পারে আল্লাহ।কিন্তুু বিয়ের  পর যদি যেনা হয় ওটা তহ সারাজীবন হবে।এর মধ্যে মরে গেলে জাহান্নামি। মেয়েটা এসব ভেবে কাদতে থাকে।সে প্রতি নিয়ত তওবা করে করে কাদতে থাকে ।কি করবে মেয়েটা?মেয়েটার আগে মানে কেনায়া তালাক সম্পর্কে মেয়েটা জানার আগে কি বলেছিল সেটা নিয়েও ভয় লাগে এখন ওর।কারন তখন মেয়েটা ঝগরা করত এখন করে না।পুরো পাগলের মত হয়ে গেছে মেয়েটা।আর হুজুর নিজেকে ইন্গিত না করে অন্যজনের নামে প্রশ্ন করলে কি সেটা তালাক হবে?কারন আপনি বলেছিলেন নিজের দিকে ইন্গিত করলে হয়।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় তালাকের ইঙ্গিত সূচক বাক্যে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।

(০২)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
বিষয়টি তাদের মনে হলে স্বামী মনে করবে যে তার সেই সময় তালাকের নিয়ত ছিলো কিনা?
তালাকে নিয়ত থাকলে নতুন করে।বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
আর তওবা করতে হবে।
,
যদি তালাকের নিয়ত থাকা না থাকা নিয়ে তার সন্দেহ হয়,তাহলে তালাক হবেনা।

(০৪)
এখানে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এতেও কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এটি তালাকের মজলিস নয়।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৭)
এতে কোনো তালাক হবেনা।

উক্ত মেয়ের জন্য পরামর্শ থাকবে তালাক সংক্রান্ত স্বামীকে আর কিছু না বলা।
তালাক সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা না পড়া।
এ সংক্রান্ত বিষয় মাথাতে আসতেই দিবেনা।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...