ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে তালাক দিলে তালাক হবেনা।
হ্যাঁ যদি সে মুয়াল্লাক তালাক দেয়,তাহলে বিবাহের পর তালাক পতিত হবে।
.
★মুয়াল্লাক তালাক দেওয়ার পদ্ধতি হলো কেহ যদি এমন বলে যে আমি যাকেই বিবাহ করবো,সেই তালাক,বা এমন বলে যে আমি যদি অমুক মহিলাকে বিবাহ করি,তাহলে সে তালাক,বা এমন বলে যে আমি যখনই বিবাহ করিবো,তখনই তালাক ইত্যাদি।
,
উক্ত শব্দ না বল এমনিতেই কোনো অবিবাহিত পুরুষ কোনো মেয়েকে বলে যে আমি তোমাকে মুয়াল্লাক তালাক দিলাম তাহলে তালাক হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ الشَّعْبِیِّ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ قَالَ لامْرَأَتهِ: کُلُّ امْرَأَةٍ أَتَزَوَّجُهَا عَلَیْک فَهَیَ طَالِقٌ، قَالَ: فَکُلُّ امْرَأَةٍ یَتَزَوَّجُهَا عَلَیْهَا، فَهِیَ طَالِقٌ.
ابن أبي شیبة، المصنف، 4: 65، رقم: 17838، الریاض: مکتبة الرشد
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি বলে যে আমি যেই মহিলাকেই বিবাহ করবো,সে তালাক।
তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মুআল্লাক তালাক হবে।
সে যাকে প্রথম বার বিবাহ করবে,সে তালাক হবে।
এখানে এক তালাক হবে।
পরবর্তীতে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে পারবে।
(০২)
এইভাবে বার বার পড়া ঠিক হচ্ছেনা।
আপনি এ জাতীয় মাসয়ালা পড়া পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিন।
(০৩)
যদি শুধু সন্দেহ হয়,নিশ্চিত হতে যদি না পারেন,তাহলে এসকল সন্দেহ নিয়ে বিয়ে করলে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৪)
সতর্কতা বশত দ্বিতীয়বার বিয়ে পড়িয়ে নিলে কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে এখানে সন্দেহ থাকায় ২য় বার বিবাহ পড়ে না নিলেও কোনো সমস্যা নেই।
(০৫)
আবারো মোহরানা ধার্য করে ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষির সামনে মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করতে হবে,আর মেয়ে কবুল বলবে।
অথবা মেয়ে প্রস্তাব পেশ করবে,আর স্বামী কবুল বলবে।