আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
725 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
Assalamualaikum wa rahmatullahi wa barakatuhu

পিরিয়ড শেষে নামায কখন থেকে শুরু করতে হবে,কোনো ওয়াক্ত রক্ত পরা বন্ধ থাকলে নাকি একেবারে সাদা স্রাব বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?অনেক সময় পিরিয়ডের শেষের দিকে এক ওয়াক্ত রক্ত পরা বন্ধ থাকে তখন গোসল করে নামায পরি,পরে আবার হলুদ লাল মিশ্রিত স্রাব বের হয়।তারপর আবার অনেকক্ষন কিছু বের হয় না।

গতকয়েক বার এরকম 2 3 বার গোসল করা লেগেছিল।

এক্ষেত্রে কি করনীয়?

গতবার এশার ওয়াক্তে  একবার হলুদ স্রাব যাওয়ার পর সারারাত সকাল দুপুর ২টার আগ পর্যন্ত কোনো স্রাব যায়নি।তারপরে আবার সামান‍্য হলুদ স্রাব গিয়েছিল।তারপর মাগরিবের ওয়াক্তে সাদা স্রাব দেখে গোসল করে নামায পরি।

 উপরোক্ত কোনো স‍্রাব না যাওয়া সময় টা অপেক্ষা করা কি ঠিক হয়েছে নাকি হায়েজ শেষ ভেবে গোসল করে নামায পরা উচিত ছিল?যদিও ধারনা ছিল যে পরে আবারো রক্ত যেতে পারে আর গিয়েছিলও।   এক্ষেত্রে  সাদা স্রাবের জন‍্য অপেক্ষা করতে গিয়ে কোনো ওয়াক্ত নামায যদি কাযা হয় তাহলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/9904/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আবারো যে হলুদ লাল মিশ্রিত স্রাব বের হয়,এট ১০ দিনের মধ্যে হলে তো স্পষ্ট হায়েজ।
নামাজ পড়া যাবেনা।
এটি চলে যাওয়ার পর গোসল করতে হবে।
আর দশদিনের পরে হলে সেটি হায়েজ নয়। 
নামাজ আদায় করতে হবে।
,
এখন কথা হলো দশদিনের মধ্যেই যদি এটি আসে,তাহলে এটি আসার আগে হায়েজ বন্ধ হওয়ার পর পরপরই  গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে কি-না।

আপনি যদি এরকম অভ্যাস হয়ে যায় যে  আবারো যে হলুদ লাল মিশ্রিত স্রাব বের হবে অথবা অভ্যাস না হলেও যদি কোনো ইঙ্গিত পান যে আবারো যে হলুদ লাল মিশ্রিত স্রাব বের হবে,তাহলে আপনি গোসল করবেননা।
যখন এটি আর আসবেনা,তখন গোসল করে নামাজ আদায় করবেন।
এর আগের ওয়াক্ত গুলির নামাজ আদায় করতে হবেনা।
অপেক্ষার কারনে কোনো গুনাহ হবেনা।
,
আর যদি এমনটি না হয়,এটি আপনার অভ্যাসও না হয়,বা ইঙ্গিতও না পান, সেক্ষেত্রে আপনি গোসল করে নামাজ আদায় করে নিবেন।
এর পরবর্তীতে সেটি আসলে, এট আসা বন্ধ হয়ে গেলে আবারো গোসল করবেন।
,
আগের সেই নামাজ যদিও হায়েজ অবস্থায় পড়া হয়ে গিয়েছে,তবে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...