আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
306 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। নতুন বিয়ে হয়েছে ওদের জন্য এই প্রশ্ন।মেয়েটা অনেক ভেন্গে পরেছে।স্বামীকেও কিছু বলতে পারতেছে না।মেয়েটা এখন ইসলামকে ভালভবে রপ্ত করার চেষ্টা করতেছে।

১।কোন দম্পতির নতুন বিয়ে।মানে বিয়ে হয়েছে ধরেন ১ বছর।আগে শুনেছে শুধু তালাক বললে তালাক হয়।কেনায়া তালাকের ব্যপারে কোনদিন শুনে নাই।কারন বাংংলাদেশে এর সাধারন জনগন এ নিয়ে জানেও না।আর ধরেন ওদের শুধু আকদ হয়েছে এবং কাবিন ও কিন্তুু নামিয়ে নিয়ে যাই নায়।ফোনে বা মেসেজে কথা হয়। কেনায়া তালাকের ব্যপারে শুনার পর যদি বুঝতে পারে ওদের মাঝেও এমন হয়েছে তাহলে কি ওদের তা..... হবে?কারন স্ত্রীটা অনেকবার তালাক চেয়েছিল।কিন্তুু স্বামি তালাক দেয় নাই তাকে।তখন কেনায়া বাক্য বলেছিল কিনা সেটাও জানে না।মেসেজে কথা হয় বললেও পরপর বলেছে কিনা জানে না।মেয়েটা আগের গুণাহ নিয়ে খুবই অনুতপ্ত।সবসময় গুণাহ আর যিনার গুণার ভয়ে আল্লাহর কাছে সিজদাহ পরে কাদতে থাকে মেয়েটা।কারো সাথে কথা বলতেও ভয় হয় তার।নতুন বিয়ে আগে এসব কিছুই জানত না।স্বামী স্ত্রী এই বিষয়ে জানত না।আর মেসেজে কথা হয়।কেউ জানত না স্বামি স্ত্রী কেনায়া তালাক কি,কখন হয় কিভাবে হয়।স্বামীর মনেও নেই আর এই বিষয়ে প্রশ্নও না করতে বলেছে তাকে।আর ওর স্বামী শপথ করে বলেছে তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি।মেয়েটার ভয় হচ্ছে যে কোন ও তালাক চাইত যে তখন বলেছিল কিনা,জানে না ও।ভয়ে কান্না করে শুধু।স্বামীর ও মনে নাই কথা।আল্লাহ তহ না জেনে গুণাহ ক্ষমা করে দেন ক্ষমা চাইলে।এ বিষয়ে শতর্ক হয়ে ভবিষ্যৎ এ এমন কোন কিছু করবে না বলে ক্ষমা চাইলো আর তওবা করল তখন কি তারা পুনরায় সংসার করতে পারবে? জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।

২।

""তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না,  তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

ঠোট+জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে তালাক প্রদানের বিষয় স্পষ্ট আকারে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক দিলে তালাক হবে।

এতটুকু আওয়াজ হওয়া চাই,যেক্ষেত্রে ফ্যান বা অন্য কোনো কিছুর আওয়াজ না থাকলে উক্ত উচ্চারিত বাক্যটি নিজ কানে আসতো,এতটুকু আওয়াজ হওয়া চাই। ""

এইটা মহিলাদের জন্যও কি একই মানে যাদেরকে স্বামী তালাকের অধিকার দিয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় তালাকের ইঙ্গিত সূচক বাক্যে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্ত্রীর স্বামী শপথ করে বলেছে তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি।
সুতরাং তাদের মাঝে কোনো তালাক হয়নি।
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল আছে।
তাদের ঘর সংসার বৈধ।

(০২)
এইটা মহিলাদের জন্যও একই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...