উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো যদি প্রার্থিত পদের কেহ যোগ্য হয়, যোগ্য হওয়া সত্বেও সুপারিশ, ঘুষ ছাড়া উক্ত পদ পাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে প্রয়োজনে সুপারিশ করিয়ে চাকরি নেওয়া , বা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েজ আছে। এক্ষেত্রে ঘুষদাতা গোনাহগার হবে না, ঘুষগ্রহিতা গোনাহগার হবে।
পদটির অযোগ্য হলে ঘুষদাতা দুইটি গোনাহের ভাগিদার হবে। যথা-
১- ঘুষ দেয়ার গোনাহ।
২- অযোগ্য হয়ে পদ দখল করার গোনাহ।
কিন্তু ঘুষ নেয়া কোন অবস্থাতেই জায়েজ নয়। সর্ববস্থায় ঘুষ নেয়া হারাম।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: ” لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالْمُرْتَشِيَ (مسند احمد، رقم الحديث- 6830، سنن ابن ماجه، رقم الحديث- 2313 ، سنن ابى داود، رقم الحديث- 3580، سنن ترمذى، رقم الديث- 1336
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতাকে অভিসম্পাত করেছেন
,
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَا حَدَّثَنَا خَلَفٌ يَعْنِي ابْنَ خَلِيفَةَ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ عَنْ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ الْقَاضِي إِذَا أَكَلَ الْهَدِيَّةَ فَقَدْ أَكَلَ السُّحْتَ وَإِذَا قَبِلَ الرِّشْوَةَ بَلَغَتْ بِهِ الْكُفْرَ وَقَالَ مَسْرُوقٌ مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فَقَدْ كَفَرَ وَكُفْرُهُ أَنْ لَيْسَ لَهُ صَلَاةٌ
কুতায়বা ও আলী ইবন হুজুর (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন বিচারক যখন কোন উপঢৌকন গ্রহণ করে, তখন সে যেন হারাম খায়, আর যখন সে ঘুষ গ্রহণ করে, তখন সে কুফরী পর্যন্ত পৌছায়। মাসরুক (রহঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি শরাব পান করে, সে কাফির হয়ে যায়। তার কুফরী এই যে, তার নামায কবুল হয় না।
(নাসায়ী ৫৬৬৫)
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ : «مَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الزِّنَا إِلَّا أُخِذُوا بِالسَّنَةِ وَمَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الرِّشَا إِلَّا أُخِذُوْا بِالرُّعْبِ». رَوَاهُ أَحْمَدُ
‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে জাতির মাঝে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তারা দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনে পতিত হবে। আর যে জাতির মাঝে ঘুষের ব্যাপক প্রচলন শুরু হবে তারা ভীরুতা ও কাপুরুষতায় পতিত হবে। (আহমাদ১৭৮২২, য‘ঈফাহ্ ১২৩৬, য‘ঈফ আল জামি‘ ৫২১১, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১১৬২।)
,
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবনু মুছান্না (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষখোর এবং ঘুষদাতার উপর লা‘নত করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান - সহীহ
(তিরমিজি ১৩৪১)
ফাতহুল কদীর গ্রন্থে এসেছে
دفع المال للسلطان الجائر لدفع الظلم عننفسه وماله ولاستخراج حق له ليس برشوة يعني في حق الدافع (رد المحتار، كتاب الحظر ولاباحة-9/607، فتح القدير، كتاب ادب القاضى-7/255، البحر الرائق، كتاب القضاء-6/262
কেহ যদি জালেম বাদশাহ কে সম্পদ দেয়,তার জুলুম থেকে বাঁচার জন্য,,,, তাহলে প্রদান কারীর পক্ষে এটা ঘুষ নয়।
তবে গ্রহিতার জন্য এটা ঘুষ।
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতঃ চাকুরির ক্ষেত্রে চাকুরিপ্রার্থী যদি যোগ্য হয় এবং কোন মাধ্যমে নিয়োগকর্তাকে সুপারিশ করিয়ে চাকুরি টি নেয়, তাহলে তা জায়েজ হবে।
কোনো সমস্যা নেই।