বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সহবাসের সুন্নাহ পদ্ধতি হল,
সহবাসের পূর্বে নিম্নোক্ত দু'আ পড়া।
"আল্লাহ জান্নিবিশ-শাইতান ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা আ'লা মা রাযাকতানা"
গোপন অঙ্গ না দেখা, গোপন অঙ্গকে মুখ দ্বারা স্পর্শ না করা।স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের প্রতি খেয়াল রাখা।নিজের প্রয়োজন শেষ হলেই স্বার্থপরের মত আচরণ না করা। ইত্যাদি।
(২)
https://www.ifatwa.info/452 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সকালের যিকির ফজরের ওয়াক্তেই সম্পন্ন করতে হবে, এমন কোনো শর্ত নয় বরং ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরও করা যাবে। ফজরের ওয়াক্তের পরে ঘুম ভাঙ্গলে ঘুম থেকে উঠেই ফজরের কাযা আদায় করে তারপর উক্ত জিকির গুলো করা যাবে।এবং সেটাকে সকালের জিকির হিসেবে ধরা হবে। এবং সেই পরিমাণ সওয়াবও পাওয়া যাবে।
*বিশেষ করে নিরাপত্তার জন্যে যে যিকিরগুলো করা হয় তা ফজরের পূর্ব সবহে সাদিকের মুহূর্তে করাই উত্তম।
যেকোনো যিকির করা যাবে।সর্বোত্তম যিকির,লাইলাহা ইল্লাল্লাহ।এই যিকিরও করা যেতে পারে,আবার তাসবীহে ফাতেমী ও পড়া যেতে পারে।
(৩)
পুরাতন ক্র্যাক ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন।এরজন্য মালিকের অনুমোদনের জরুরী নয়।
https://www.ifatwa.info/8014 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
প্রচলিত পাইরেটেড সফটওয়্যার তথা অনুমতি বিহীন ডাউনলোড সাধারণত তিন ভাবে হতে পারে। যথা-
(১)ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তথা নিজে লাভবান হওয়ার নিয়তে পাইরেটেড সফটওয়্যার বিক্রয় ও পরিবেশন করা। এটা নাজায়েয। কেননা, এর দ্বারা নির্মাতা বা আবিস্কারকের লাভের অধিকারকে হরণ করা হয়। আর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ﻻ ﺿﺮﺭ ﻭﻻ ﺿﺮﺍﺭ ‘নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও অন্যকে ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি ইসলামে নেই।’(সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)
(২)
ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে পাইরেসি তথা সফটওয়্যারটি নিজে ব্যবহার করা কিংবা বিক্রয় বা পরিবেশন না করে নিজেদের ব্যবস্যায়িক বা আর্থিক কাজে লাগানো। এ প্রকারের সফটওয়ারের ক্ষেত্রে যদি কপিরাইট অধিকারীর মৌন সম্মতি থাকে, তাহলে তা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মৌন সম্মতির পাশাপাশি যদি জেনুইনটি কেনার মোটেও সামর্থ্য না থাকে তাহলে মুফতিগণ এর ব্যবহার জায়েয বলে থাকেন।
(ফাতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ fatwa ID : 903-917/N=8/1435-U)
নকল সফটওয়্যার তৈরীর প্রতি তাদের মৌন সম্মতি রয়েছে।
(https://www.microsoft.com/en-us/legal/পাইরেসিt)
সুতরাং এগুলোর ব্যবহার -বিশেষ করে জেনুইনটি কেনার মোটেও সামর্থ্য না থাকলে- নাজায়েয হবে না। (দরসুল ফিকহ, দারুল উলুম হাটহাজারী ২/৩৮৪, ৩৮৫)(সংগৃহীত)
৩- ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়;বরং সর্বসাধারণের নাগালে রাখার জন্য কপিরাইটেড সফটওয়্যার ক্র্যাক করে বিক্রি করা।
যদি এ এরকম নকল সফটওয়ার তৈরীর ধরুণ সফটওয়্যার কোম্পানির বড় ধরণের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে তা জায়েয হবে না।তবে যদি কোন ক্ষেত্রে এমন হয় যে, কোম্পানি সফটওয়্যার বিক্রয় করে উপযুক্ত লাভ অর্জন করে নিয়েছে।এবং যার মূল্যও নাগালের বাইরে,এখন নকল সফটওয়ার তৈরীর প্রতি কোম্পানির মৌন সমর্থন রয়েছে বা এর দ্বারা কোম্পানির কোন ক্ষতি হবে না, তাহলে এ ধরণের নকল সফটওয়্যার জায়েয তৈরী আছে।
মোটকথাঃ
হ্যা কম্পানির লাভ হোক বা ক্ষতি হোক, উক্ত কম্পানির সফটওয়ারের মূল্য যদি সর্বসাধারণের নাগালে বাইরে থাকে, তাহলে কম্পানিকে সফটওয়ার মূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রথমে অনুরোধ করা হবে।যদি তারা মূল্যহ্রাস না করে তাহলে মূল্যহ্রাস পযন্ত উক্ত সফটওয়্যারের নকল বিক্রি করা সহনশীল মূল্যে বৈধ হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি উক্ত নকল সফটওয়ার ব্যবহার করে হালাল ত্বরিকায় ইনকাম করতে পারবেন।