ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যাকাতের খাত সম্পর্কে আল্লাহ তাা'আলা বলেন,
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০) বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/699
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যাকাতের টাকা উপরোক্ত আট খাতের যেকোনো একটি খাতেই দিতে হবে। আর এই আটটি খাতের মধ্যে গরীব হওয়াটাই মুখ্য বিষয়। সুতরাং যাকাত শুধুমাত্র গরীবকেই দিতে হবে।গরীব ব্যতিত অন্য কাউকে যাকাত দেয়া যাবে না।
সুতরাং ৫২ভড়ি রূপার মূল্য সমপরিমাণ মহরের টাকা আপনার নিকট একবৎসর থাকলে আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব।আপনি ঐ মহরের টাকা থেকেই যাকাত দিবেন।
(২)
মা বা এবং এবং সন্তান ব্যতিত যে কাউকে যাকাত দেয়া যাবে, যদি যাকাত গ্রহণের উপযোক্ত হয়।
(৩)
যার নিকট নেসাব(৭.৫ভড়ি স্বর্ণ বা ৫২.৫ভড়ি রুপা) পরিমাণ ক্রমবর্ধমান মাল থাকবে না,বা অক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল থাকবে,অন্যদিকে উনি প্রয়োজনগ্রস্থ হবেন,,তাহলে উনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন।প্রয়োজনগ্রস্থ নিকটাত্মীয় কাউকে যাকাত প্রদান অনেক সওয়াবের বিষয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1385