ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1163 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে২/২৪-২৫ এ বর্ণিত রয়েছে-দুই ঈদের রাত এবং শা'বানের মধ্যরাত এবং রমজানের শেষ দশের রাতে জাগরিত থেকে ইবাদত বন্দেগী করা মুস্তাহাব। এই রজনী সমূহের সমস্ত অংশ বা অধিকাংশ অংশজুড়ে ইবাদত-বন্দেগী করা মুস্তাহাব।
এই রাত্রি সমূহে পূথক পূথক ভাবে ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে।জামাত বন্দী হয়ে করা যাবে না। নফল মোটকথাঃ নামায,কুরআন তেলায়াত,হাদীস আলোচনা,তাসবিহ, দুরুদ ইত্যাদি পড়ে রাত্রি জাগরণ করা মুস্তাহাব। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1163
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মোল্লা আলী কারী রাহ মিরকাত কিতাবে উল্লেখ করেন, যে সারা বৎসরে একান্নটি রোজা রাখা সুন্নত। এর একটি হল, শবে বরাতের রোযা। শবে বরাতের রোযা সম্পর্কে যে হাদীস পাওয়া যায়, তার সনদ অত্যন্ত দুর্বল , বিধায় হানাফি ফুকাহায়ে কেরামের কেউ কেউ শবে বরাতের রোযাকে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।
মোটকথা,
শবে বরাতের রোযা রাখা যাবে। যেহেতু ইহুদিরা যে কোনো উপলক্ষ্যে একটি রোযা রাখে, তাই মুসলমানদের উচিৎ দুইটি রোযা রাখা। তবে একটি রোযা রাখলেও সওয়াবে কোনো ঘাটতি আসবে না।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু শবে বরাত উপলক্ষ্যে এই খাবার আপনি বানাননি, এবং খাবার বানানো বিদ'আত তা আপনার জানাই রয়েছে, তাই আপনার জন্য এই খাবার গ্রহণ করা নাজায়েয হবে না।