শাইখ আমি নিম্নোক্ত প্রশ্নটা আগে করেছিলাম ও আপনাদের কাছ হতে উত্তর ও পেয়েছিলাম।
কিন্তু এখন কিছু সমস্যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে আরেকটু প্রশ্ন করতে চাচ্ছি এবং তা হল
শাইখ, আমি অনেকভাবে খোজ নেয়ার চেষ্টা করলাম সরকারি কোষাগারে টাকা কিভাবে জমা দেয়া যায়। কিন্তু যা বুঝলাম প্রসেস অনেক জটিল আর সবচে বড় কথা সবাই জিজ্ঞেস করবে কেন দিচ্ছি। সেক্ষেত্রে দুদক ( দুর্নীতি দমন কমিশন) বা গোয়েন্দা সংস্থা ধরতে পারে। যেটা আরো বড় বিপদ এর মুখোমুখি করতে পারে আমাকে। কারন আমি একটা বড় অংকের টাকা দিতে চাচ্ছিলাম, এক লাখের বেশি।এখন এত বড় অংকের টাকা দিতে গেলে তদন্ত হতে পারে আমার বিরুদ্ধে। যেটা বিপদের কারন৷ এরকম ক্ষেত্রে আমি কিভাবে টাকা টা পরিশোধ করতে পারি সরকারকে ? বা টাকাটা কিভাবে হালাল করতে পারি?
আমার প্রথম প্রশ্ন ও আপনাদের উত্তর ছিল নিম্নরুপ
(((আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী,বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে আছি। আমি চাকরিকালে কিছুদিন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন একশন নেয়নি।কারন কর্তৃপক্ষ, যার একশন নেয়ার কথা ছিল, উনি নিজেই অনুপস্থিত থাকতেন আর অন্য সহকর্মীরা অনুপস্থিত থাকলেও সেটা নিয়ে কিছু বলতেন না। আমি বেতন পুরা মাসেরই পেয়েছি।এখন আমার মনে হচ্ছে ওই কয়দিনের বেতন হালাল হয়নি।
সরকারকে কিভাবে ওই কয়দিনের টাকা ফেরত দিব বুঝতে পারছিনা। অনেকে বলছে চালানের মাধ্যমে জমা দিতে কিন্তু প্রক্রিয়াটা খুব জটিল।
এখন প্রশ্ন আমি ওই কয়দিনের টাকা কিভাবে হালাল করতে পারি? সরকারকে ফেরত দেয়াটা আমার কাছে একটা সমাধান মনে হয়েছিল কিন্তু টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল।কোথায় কিভাবে কার কাছে কোন খাতে জমা দিব এটা ক্লিয়ার করে বুঝতে পারছিনা।
1 Answer
answered Dec 26, 2021 by মুফতী ওলি উল্লাহ (269,320 points)
edited Dec 27, 2021 by মুফতী ওলি উল্লাহ
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/23922/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত দিন গুলোর যদি ছুটি না নেওয়া হয়,তাহলে সেই দিন গুলোর বেতন খরচ করা হোক বা জমিয়ে রাখা হোক,উভয় ছুরতেই কর্তৃপক্ষকে কোনো ভাবে ফিরিয়ে দিবে।
সেটি অসম্ভব হলে গরিব মিসকিনকে দান করে দিবে।
আরো জানুনঃ
https://www.ifatwa.info/23385/
,
উল্লেখ্য যে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম,শর্ত এমন হয় যে কেউ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকলেও পূর্ণ বেতন পাবে,এখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত বেতন নেওয়া যাবে।
সেই ক্ষেত্রে টাকা দান করে দিতে হবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১৪০)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সরকারী কোষাগারে টাকা জমা দিতে পারেন।
সম্ভব না হলে আপনি গরিব মিসকিনকে সেই টাকা দান করে দিতে পারেন।
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন))))