আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
397 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
১/আমি হিফয করিনা।হায়েজ অবস্থায় আমি কি কুরআন পড়া চালিয়ে রাখার জন্য কুরআন এর অর্থ ভেঙে ভেঙে পড়তে পারি ? আলহামদু অনেকবার পড়লাম বা একবার আলহামদু পড়ে তার শাব্দিক অর্থ জেনে নিলাম এরপর পরের শব্দে গেলাম এভাবেও কি পড়তে পারবো?এছাড়া সেই শব্দগুলো মুখস্থ ও হয়ে যায় তাহলে সমস্যা হবে?

২/আমার মোবাইলের কম্পাস এপের মাধ্যমে সঠিকভাবে বুঝতে পারিনা যে কিবলা কোনদিকে।একেক সময় একেক রকম দেখায়।আবার একেক রুমে একেক রকম দেখায়।আমি আগে একটু বেকে পড়তাম এখন সোজায় পড়ি।মোবাইল এর মাধ্যমে যখন কিবলার দিক দেখতে চাইবো তখন মোবাইল নামাযের পড়ার কোন স্থানে রাখবো?( দাঁড়ায় যে সেখানে নাকি সেজদা দেই যে সেখানে)

আর বরাবর কিবলার দিক পেয়ে গেলেও একটু বা সামান্যপরিমাণ ভুল দিকে পড়লে কি নামায হবেনা?যেমন ১/২ইঞ্চি?

আমাকে একটা এপসের নামা বললে ভালো হতো যেখানে কিবলার দিকে ভালোকরে বুঝা যায়।

1 Answer

0 votes
by (597,990 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7218 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) বিস্তারিত জানুন-৩৮৯

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
(১)
হাযেজ অবস্থায় মুখস্থ করা সূরা গুলোকেও পড়া যাবে না।দেখে দেখেও করা যাবে না।আবার মুখস্থ থেকেও তেলাওয়াত করা যাবে না। হ্যা, ভেঙ্গে ভেঙ্গে আপনি পড়তে পারবেন।যেমন, আলহামদু, তারপর লিল্লাহি,তারপর রাব্বিল,তারপর আ'লামিন, এভাবে পড়তে পারবেন।অর্থ পড়তে পারবেন।চায় পুরোই হোক না কেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।

(২)
সরাসরি কিবলার দিকে নামায পড়া শর্ত নয়, বরং কিবলা যে দিকে অবস্থিত রয়েছে, সেই দিকে মুখ করে নিলেই নামায হবে। সরাসরি কিবলার দিকে নামায পড়া শর্ত নয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11312

এ্যাপ সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...