আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম,

১/ কোন ব্যক্তি কারো কোন গীবত করার আগে এমন বাক‍্যটি বলল, "আসলে এইগুলো বলতে হয় না, কিন্তু এটা বলা উচিৎ।"

উক্ত বাক‍্যটি বলে সে গিবত শুরু করল। অনেককেই দেখা যায় গিবত করার আগে এই ধরনের বাক্য ব্যবহার করে। এই বাক্য দ্বারা কি ঐ ব্যক্তি গীবতের গুনাহ কে তাচ্ছিল‍্য করার জন্য কাফির হবে?

[বি: দ্র: ঐ ব্যক্তিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা বলার পর সে বলে, শরীয়তের বিধানকে তাচ্ছিল‍্য বা অস্বীকার করার উদ্দেশ্যে সে এই কথা বলেনি এবং তার এই বিষয়ে খেয়াল ও ছিল না।]

২/যদি বিষয়টি কুফরী হয়, তবে তার বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কি বিধান হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/8839/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,  
কোরআনের কোনো একটি আয়াত বা হরফকে অস্বীকার করলে বা সেটি নিয়ে ঠাট্রা করলে সাথে সাথেই ব্যাক্তি কাফির হয়ে যাবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।[বাকারাহ : ৩৯ ] 

وَآمِنُواْ بِمَا أَنزَلْتُ مُصَدِّقاً لِّمَا مَعَكُمْ وَلاَ تَكُونُواْ أَوَّلَ كَافِرٍ بِهِ وَلاَ تَشْتَرُواْ بِآيَاتِي ثَمَناً قَلِيلاً وَإِيَّايَ فَاتَّقُونِ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ।[বাকারাহ : ৪১ ] 

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُواْ الْعَذَابَ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী।[সূরা নিসা : 56] 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللّهِ يُكَفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُواْ مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِّثْلُهُمْ إِنَّ اللّهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا
আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।[সূরা নিসা :140] 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনে কারীমের কোনো একটি আয়াত বা হরফকে কেউ অস্বীকার করলে সাথে সাথেই ঐ ব্যক্তি কাফির হবে।

কুরআনে বর্ণিত কোনো বিধান,অকাট্য ভাবে প্রমানীত শরীয়াহ কোনো বিধানকে নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলেও ব্যাক্তি কাফের হয়ে যায়।

★গীবত করা নাজায়েজ,এটি কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমানীত। 
সুতরাং এটিকে অস্বীকার করা যাবেনা,এটি নিয়ে ঠাট্রাও করা যাবেনা।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি গীবত যে নাজায়েজ সেটিকে অস্বীকার করেনি,কুরআনের এই বিধানকে নিয়ে ঠাট্রাও করেনি,সুতরাং তিনি কাফের হয়ে যাননি । 
,
তার বিবাহ ভেঙ্গে যায়নি।
সুতরাং নতুন করে বিবাহ পড়াতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...