আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (40 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।হুজুর আমি মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।আপনাদের  এখানে তালাকের ব্যাপারে অনেক প্রশ্ন করেছি।প্রতিবার ওই আল্লাহর রহমতে ভাল উত্তর পেয়েছি।আমার মনে তবুও সন্দেহ থেকে যায়।হুজুর আমার কি প্রশ্নগুলো দেখা উচিত হবে? আমার মনে হয় দেখলে হয়ত আরো ওয়াসওয়াসা কাজ করবে আর আমার সংংসারের ওপর ও এফেক্ট আসবে।নাকি প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাব।কারন অনেক অনেক প্রশ্ন করেছি আপনাদের এখানে।সব খুজে খুজে দেখতে আমার ওয়াসওয়াসা মনে হয় আরো বেড়ে যাবে।কারন আমি সব গুলো সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করেছি।ওপরে বা নিচে লিখেও দিতাম সন্দেহ আছে যে ওটা।কিন্তুু এখন আবার ওয়াসওয়াসা বা সন্দেহ কাজ করতেছে লিখেছি কিনা।মনে হচ্ছে কোন কোন প্রশ্নে লিখি নি।আমার কি প্রশ্নগুলো দেখা উচিত হবে? না দেখলে কি গুণাহ হবে?অনেক প্রশ্ন হুজুর।খুব ভয় হচ্ছে। আমি মাথা থেকে এই তালাকের ওয়াসওয়াসাটা একদম ফেলে দিতে চাই।দয়া করে উত্তর দিয়েন।আর আজকের পর এই বিষয় নিয়ে আর ভাবতে চাই না।আসলে হুজুর আমি দেখতে চাই না প্রশ্ন গুলো।ভয় হয় যদি থেকে থাকে না দেখলে গুণাহ হবে কিনা চিরকাল।দেখলে হয়ত আরো সমস্যা হবে বা সংংসার ভেংগে যেতে পারে। আমি চাই না এমনটা হোক।আল্লাহ মাফ করুক। আমিন।

২।হুজুর আরেকটা প্রশ্ন।এটা নিয়েও সন্দেহ হচ্ছে। স্বামী যদি বলে ওই কাজটা করলে তুমার আমার সব শেষ হয়ে যাবে বা তুমার সংগে আমার সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।স্বামি বলেছিল সে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি।স্বামীকে এখন জিগ্যেস ও করতে পারতেছি না।আর কথাটা বলেছে কিনাও সন্দেহ হচ্চে আমার।আর বললেও কোনটা বলেছে জানি না।এতে কি তালাক হবে?হুজুর স্বামীর উক্ত কথাগুলো মনে নেই বলেছিল।কারন আমরা আগে কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানতাম না।জানার পর জিগ্যেস করেছি ওনি বলেছে আমার তহ মনে নেই।আর শপথ করে বলেছিল কোনদিন তালাকের নিয়তে কথা বলে নি।আর বারবার জিগ্যেস করায় ওনি বিরক্ত হয়ে বলেছে আর জিগ্যেস না করতে।ওক্ত কাজটি আমি করেওছিলাম।কারন তখন জানতাম না।আর জানার পর ওনি বলেছেন তালাকের নিয়তে কোনদিন কথা বলে নি।

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ

এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বুখারী-মুসলিম)

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

(০১)
আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত সুতরাং আপনি উক্ত প্রশ্ন গুলি সহ তালাকের কোনো প্রশ্নই পড়বেননা।

(০২)
যেহেতু স্বামী বলেছে যে সে তালাকের নিয়তে বলেনি,তাই স্ত্রী উক্ত কাজ করলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...