উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম।
হারাম টাকায় ব্যবসাকৃত সম্পদও হারাম হবে। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
হারাম টাকা ঋণ হিসেবে গ্রহণ করাও বৈধ নয়। তবে যদি না জেনে গ্রহণ করে, তাহলে ব্যবসাটি হারাম হবে না। শুধু টাকা পরিশোধ করে দিলেই ব্যবসাটি হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু জেনেশুনে হারাম টাকা দিয়ে ব্যবসা গ্রহণ করে ব্যবসা করা বৈধ নয়।
তাই একাজ থেকেও বিরত থাকতে হবে।
,
এভাবে সুদী লোন নিয়ে ব্যবসা করা,বা অন্য কিছু করা, তা থেকে অন্যকে লোন দেওয়া বৈধ হবে না। সুদ দেয়া নেয়া উভয় হারাম।
অন্য কোনভাবে টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। কারো থেকে করজে হাসানা নিতে চেষ্টা করতে হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}
হাদীস শরীফে এসেছে
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা ক্ররিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।
ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত কেউ যদি ব্যাংক থেকে লোন নেয় তাহলে ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যবসার জন্য লোন নেয়া টাকা থেকে ধার নেয়া যাবেনা।
এটা নাজায়েজ হবে।