আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
১.তাওহীদের ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুআ করা যাবে কি?

হে আল্লাহ তুমি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ' এর ওসীলায় আমার দুআ কবুল করো বা চাওয়া পাওয়া পূর্ন করো।এভাবে বলা যাবে কি?

কুরআন,সুন্নাহ অনুযায়ী সঠিক দলিল জানতে চাই।


২.পাত্রীর পরিবার পাত্রীর পেটের উপর জটিল অসুখের কথা গোপন রেখে বিয়ে করিয়েছে, বিয়ের পর পাত্র,পাত্র পক্ষ তা জানতে পেরেছে।চিকিৎসা করাতে হচ্ছে ওষুধ খাচ্ছে কিন্তু অসুখ একেবারে ভাল হচ্ছেনা আবার ফিরে আসে,ডাক্তারি পরীক্ষায় সঠিক রোগ ধরা পড়ছে বলে মনে হচ্ছে না।এ  অবস্থায় পাত্রের করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1956 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয।চায় জীবিত মানুষের হোক বা মৃত মানুষের,চায় ব্যক্তির ব্যক্তিত্বর উসীলা হোক বা নেককাজের।সব-ই জায়েয।সকল প্রকার উসীলার সারমর্ম একটাই হবে।সেটা হল,যা উসীলা গ্রহণ করা হচ্ছে,তার উপর আল্লাহর যে বিশেষ রহম আর ফজল রয়েছে,তার উসীলা গ্রহণ করে করে দু'আ করা।কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিত্বের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে না। এরকম আকিদা-বিশ্বাস রেখে দু'আ করা শিরকের পর্যায়ভুক্ত।তবে উক্ত ব্যক্তির নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে।যেমন গুহায় আটকে যাওয়া তিন ব্যক্তি তারা তাদের নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে নাজাত পেয়েছিলো।

উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয কি না? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এ বিষয়ে হানাফী ও সালাফী উলামায়ে কেরামদেরকে বেশ মতবিরোধ করতে দেখা যায়।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ জায়েয বলেন।অর্থাৎ নবী বা অন্য কোনো নেককারের নেক কাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ জায়েয,চায় উসীলা গ্রহণকৃত ব্যক্তি জীবিত হোক বা মৃত হোক, সর্বাবস্থায় উসীলা গ্রহণ জায়েয।

জীবিত ব্যক্তিরর উসীলা না মৃত ব্যক্তির উসীলা?? এবং ব্যক্তিত্বের উসিলা না নেককাজের উসিলা? মূলত এ বিষয়দ্বয়কে কেন্দ্র করেই হানাফী ও সালাফীদের মধ্যে মতবিরোধের সূচনা হয়েছিলো।এবং এখনো হরদম হচ্ছে।
উভয়ের কাছে দলীল প্রমাণ রয়েছে।কিন্তু যদি আমরা মূল জিনিষটা বুঝতে পারি তাহলে দেখব যে,এ বিষয়ে শাব্দিক বিরোধ ছাড়া আর কিছুও নয়।অথচ আফসোস!হায় এ বিষয়টা না বুঝে আমরা একজন আরেকজনকে কতকিছুই না বলতেছি।বেদাতি,কাফির,কোনো শব্দই আমাদের থেকে ছুটে পালিয়েও রেহাই পাচ্ছে না।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ ব্যক্তি উসীলাকে জায়েয বললেও নবী ব্যতীত অন্য কারো ব্যক্তিত্বের উসীলাকে কখনো বৈধ বলেন না।সুতরাং আমরা দেখতে পারছি যে,ব্যক্তিত্বর উসীলা বিষয়ে হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতামত ও প্রায় সালাফী আলেমদের মত।
এ দুই দলের প্রয়োগকৃত শব্দরাজির শাব্দিক পার্থক্য বৈ অর্থগত কোনো পার্থক্য অদ্য এতে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। (শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লা-ইলাহা ইল্লাহ এর উসীলা গ্রহণ এর অর্থই হল, আল্লাহর উসিলা গ্রহণ।আল্লাহর নিকট আল্লাহর উসিলা গ্রহণ যেন কেমন দেখায়, তবে তা নাজায়েয হবে না।

(২)
পাত্রীপক্ষের উচিৎ ছিল কোনো দোষকে গোপন না করে বরং পাত্র পক্ষের সামনে তা প্রকাশ করে দেয়া।এখানে পাত্রীপক্ষের ধোকার গোনাহ হবে।

পাত্রপক্ষের উপর সামর্থ্যর অধিক চিকিৎসা প্রদান ওয়াজিব নয়।এখন পাত্রপক্ষ তাদের সামর্থ্যানুযায়ী চিকিৎসা করাবে। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে।আল্লাহ শি'ফাকারী। এখন এই রোগ অজুহাতে তালাক দেওয়াও জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...