বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1956 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয।চায় জীবিত মানুষের হোক বা মৃত মানুষের,চায় ব্যক্তির ব্যক্তিত্বর উসীলা হোক বা নেককাজের।সব-ই জায়েয।সকল প্রকার উসীলার সারমর্ম একটাই হবে।সেটা হল,যা উসীলা গ্রহণ করা হচ্ছে,তার উপর আল্লাহর যে বিশেষ রহম আর ফজল রয়েছে,তার উসীলা গ্রহণ করে করে দু'আ করা।কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিত্বের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে না। এরকম আকিদা-বিশ্বাস রেখে দু'আ করা শিরকের পর্যায়ভুক্ত।তবে উক্ত ব্যক্তির নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে।যেমন গুহায় আটকে যাওয়া তিন ব্যক্তি তারা তাদের নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে নাজাত পেয়েছিলো।
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয কি না? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এ বিষয়ে হানাফী ও সালাফী উলামায়ে কেরামদেরকে বেশ মতবিরোধ করতে দেখা যায়।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ জায়েয বলেন।অর্থাৎ নবী বা অন্য কোনো নেককারের নেক কাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ জায়েয,চায় উসীলা গ্রহণকৃত ব্যক্তি জীবিত হোক বা মৃত হোক, সর্বাবস্থায় উসীলা গ্রহণ জায়েয।
জীবিত ব্যক্তিরর উসীলা না মৃত ব্যক্তির উসীলা?? এবং ব্যক্তিত্বের উসিলা না নেককাজের উসিলা? মূলত এ বিষয়দ্বয়কে কেন্দ্র করেই হানাফী ও সালাফীদের মধ্যে মতবিরোধের সূচনা হয়েছিলো।এবং এখনো হরদম হচ্ছে।
উভয়ের কাছে দলীল প্রমাণ রয়েছে।কিন্তু যদি আমরা মূল জিনিষটা বুঝতে পারি তাহলে দেখব যে,এ বিষয়ে শাব্দিক বিরোধ ছাড়া আর কিছুও নয়।অথচ আফসোস!হায় এ বিষয়টা না বুঝে আমরা একজন আরেকজনকে কতকিছুই না বলতেছি।বেদাতি,কাফির,কোনো শব্দই আমাদের থেকে ছুটে পালিয়েও রেহাই পাচ্ছে না।হানাফী উলামায়ে কেরামগণ ব্যক্তি উসীলাকে জায়েয বললেও নবী ব্যতীত অন্য কারো ব্যক্তিত্বের উসীলাকে কখনো বৈধ বলেন না।সুতরাং আমরা দেখতে পারছি যে,ব্যক্তিত্বর উসীলা বিষয়ে হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতামত ও প্রায় সালাফী আলেমদের মত।
এ দুই দলের প্রয়োগকৃত শব্দরাজির শাব্দিক পার্থক্য বৈ অর্থগত কোনো পার্থক্য অদ্য এতে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লা-ইলাহা ইল্লাহ এর উসীলা গ্রহণ এর অর্থই হল, আল্লাহর উসিলা গ্রহণ।আল্লাহর নিকট আল্লাহর উসিলা গ্রহণ যেন কেমন দেখায়, তবে তা নাজায়েয হবে না।
(২)
পাত্রীপক্ষের উচিৎ ছিল কোনো দোষকে গোপন না করে বরং পাত্র পক্ষের সামনে তা প্রকাশ করে দেয়া।এখানে পাত্রীপক্ষের ধোকার গোনাহ হবে।
পাত্রপক্ষের উপর সামর্থ্যর অধিক চিকিৎসা প্রদান ওয়াজিব নয়।এখন পাত্রপক্ষ তাদের সামর্থ্যানুযায়ী চিকিৎসা করাবে। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে।আল্লাহ শি'ফাকারী। এখন এই রোগ অজুহাতে তালাক দেওয়াও জায়েয হবে না।