আল্লাহ তায়ালা বলেছেন
وثيابك فطهر
কাপড় পবিত্র রাখো,,,
(সুরা আল মুদ্দাচ্ছির ০৪)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)
শরীয়তের বিধান মতে সাধারণ অবস্থায় রাস্তার কাদা পাক। তা কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। তবে যদি কাদায় নাপাকি দেখা যায় কিংবা নাপাকির গন্ধ অথবা রং প্রকাশ পায় তবে তা নাপাক। এটি কাপড়ে লাগলে ঐ জায়গা ধুয়ে নিতে হবে।
আলআশবাহ ওয়ান নাযাইর ১/১৯৯; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/২৩; ফাতহুল কাদীর ১/১৮৬; আততাজনীস ১/২৫৯।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত জায়গায় আপনি জুতা পরেই অতিক্রম করবেন।
তবে যদি এতে বাসা ওয়ালার পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকে,তাহলে আপনি জুতা পড়ে যাবেন।
আপনার পায়ে ময়লা লাগলে সেক্ষেত্রে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে পাকে নাপাক ধরবেন।
অন্যাথায় পা নাপাক হবেনা।
সর্বপরি সেই পা নামাজের আগে ধুয়ে নিবেন।
এটি উত্তম হবে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেননা।
(০২)
একবার পানি ঢেলে ভালোভাবে ধোয়ার দ্বারা সেই নাপাকি দূর হয়ে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে নাপাকি দূর হয়ে যাবে।
আর সেই নাপাকি ফিরে আসবেনা।
(সতর্কতা মূলক নাপাক স্থানে পানি ঢালার সময় ডলে ধৌত করবেন।
তাহলে নাপাকি সহজেই দ্রুত দূর হবে।)
পাক হওয়ার পর পরে শরীরের উক্ত যেকোন অংশ ভিজলে বা আমার ইচ্ছা মত যেকোন কিছু বা কাজ বা যা ইচ্ছা তাই করলেও নাপাকি ফিরে আসবেনা।
এক বার ভালোভাবে পানি ঢেলে পাক করার পর চামড়ার বা কোনো দাগ থাকলে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩)
তার শরীরের সাথে স্পর্শ হলে বা কোনো ধুলা আপনার শরীরে লাগলে আপনি সেটাকে নাপাক ধরবেননা।
(০৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপন সেটাকে পাক ধরবেন।