আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।হুজুর বারবার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।লাস্ট প্রশ্ন এই বিষয়ে

১।হুজুর আমি কেনায়া তালাকের ব্যাপারে শুনার পর থেকে সন্দেহে আছি।আমার  মনে হচ্চে বলেছে।কিন্তুু বললেও কেনায়া তালাকের নিয়তে বলেছিল কিনা স্বামী সেটাও জানি না।স্বামীরও মনে নেই।আমার মনে পড়তেছে না।আমার কি জোর করে  মনে করা উচিত? চেষ্টা করলেও গুলিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে একদিনের কথার সাথে অন্যদিনের কথার।বারবার মনে হচ্ছে আমার স্বামীর সাথে আমার তালাক হয়ে গেছে।কি করা উচিত আমার?ভয় হয় কোন যিনার গুণাহ লিখা হচ্ছে কিনা ভেবে।কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না।কারন আমি তালাক চাইতাম তখন সরাসরি তালাক দিলাম বলে নি।কোন কেনায়া বাক্য বলেছিল কিনা সন্দেহ হয়।এরকম বলত এটা ছাড়া আর গুলো বল বা থেথ রাখ তহ কথা বলিও না আর।মেসেজে কথা হয় আমাদের কারন আমি এখনও বাবার বাড়িতে থাকি।কোন তালাকের উদ্দেশ্যে নই।আমি চাইলেও  দিত না।এখন কি করা উচিত আমার?যেটা বলে নি সেটা নিয়েও সন্দেহ হয়।হুজুর এই বিষয়টা স্বামীকেও বলতে পারতেছি না।আপনি বলেছেন মনের শান্তি পাওয়ার জন্য বিয়ে করতে আবার।হুজুর স্বামীকে এই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছে।বিয়ে না করলে কি গুণাহ হবে?আর কোন আমল আছে এই ওয়াসওয়াসার জন্য?

২।হুজুর আমি কেনায়া তালাকের ব্যপারে ৪-৫ বার জিগ্যেস করেছি স্বামীকে ওনি প্রতিবার ওই নিয়ত ছিল না বলেছে।তহ একদিন মেসেজেও জিগ্যেস করার সময় সেখানেও না বলেছে।আসলে এর পর আরেকবার জিগ্যেস করার সময় অন্য  মেসেজের রিপ্লাই  দিচ্ছিল হ্যা বলে। মানে ওই তালাকের প্রশ্ন টা করার আগে যে প্রশ্ন টা করেছিলাম ওটার রিপ্লাই  দিছিল যে হ্যা বলে।তবু আমি জিগ্যেস করেছি কোনটার রিপ্লাই  দিয়েছ যে হ্যা বলে।তহ স্বামীও বলেছে আগের মেসেজের।আবার বলেছে আমি তালাকের নিয়তে বলি নি।তখন ও না না বলেছিল মানে তালাকের নিয়তে বলে নি।নেটের সমস্যা বা অন্য সমস্যার কারণে রিপ্লাই টা একটু পরে এসেছে।কিন্তুু তালাকের ওটার রিপ্লাই আবার না দিয়েছে মানে বলে নি তালাকের নিয়তে কোন কথা।এতে কি তালাক হবে?রিপ্লাই টা পরে আসাই?

৩।হুজুর আমার সবকিছু নিয়ে ওয়াসওয়াসা কাজ করে।বিয়ে করার সময় আমি আলহামদুলিল্লাহ বলেছিলাম কবুল না বলে।মানে আমাকে যখন প্রস্তাব দিছিল।এর পরে ওরা বলল আরেকটু বড় করে বলতে আমি বলেছি।এখন এটা নিয়েও ওয়াসওয়াসা কাজ করতেছে।শুনেছে কিনা।ওরা শুনেছে এরকম বলেছিল মনে হয়।আসলে আমার সব বিষয়ে ওয়াসওয়াসা কাজ করে।স্বামীকে বললে রেগে যাবে কথা এটা।আমার বিয়েটা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।মৌলবী একটা পরিয়েছিল বিয়ে।আরো কাজী আর মৌলবী ওটা ছাড়া ৩ জন মানুষ ছিল।যে ৩ জন ছিল ওরা মনে হয় হাফেজ আর মাদ্রাসার স্টুডেন্ট। তারপর পর আমি আর আমার স্বামীও ছিলাম।আবার মনে হয় না শুনলে কি ওরা বলত না?বিয়েটা শুদ্ধ হয়েছে তহ হুজুর?

৪।আমরা হুজুর কেও না জানে মত করে বিয়ে করেছিলাম।এখন অবশ্য মা বাবা জানে।কাজি অফিসে।সাক্ষী ও ছিল।কিন্তুু মা বাবা ছিল না।আমরা জানতাম বিয়ে হয়েছে।তহ কোন আলেম একটা বলেছে নাকি বিয়ে শরীয় সম্মত হয় নি।আবার করতে হবে।আমি বলি হবে না।বলতেছে স্বামী আবার হবে করতে বিয়ে।বিয়ে হয় নি মনে করেছে স্বামি এর জন্য কি তালাক হবে?স্বামি তালাক দেয় নি।আবার পরে বলে যে করতে হবে না বিয়ে আর।

৫।হুজুর আমার স্বামীকে কেনায়া,তালাকের ব্যপারে প্রশ্ন করায় ওনি বিরক্ত হয়ে বলেছেন আর জিগ্যেস না করতে তালাক বিষয়ে কোন কথা।এটাও বলেছিলেন ওনার কোন কথা মনেও নেই ঠিকভাবে।আমার ও কিছু কিছু কথা সন্দেহ হয়।কোন মজলিস ছিল কিনা এই সেই।আমার কি স্বামীকে জিগ্যেস করা উচিত হবে? ওনি যদি রাগে ভুল ভাল বলে ফেলে সেটা ভেবে ভয় ও হয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}


★শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

(০১)
উল্লেখিত ছুরতে তালাকের ব্যাপারে সন্দেহ থাকায় তালাক পতিত হবেনা।  

(০২)
নেটের সমস্যা বা অন্য সমস্যার কারণে রিপ্লাই টা একটু পরে এসেছে।
সুতরাং এখানে সেই হ্যাঁ বলা ধর্তব্য হবেনা।

(০৩)
আপনার বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই।

(০৪)
এর জন্য তালাক হবেনা।
পুনরায় বিবাহ করতে হবেনা।

(০৫)
স্বামীকে আর জিজ্ঞাসা করা ঠিক হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...