আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি ওয়াসওয়াসার জন্য ১ টি প্রশ্ন করেছিলাম কালকে। মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর বলেছিলেন সমস্যা হয়নি৷ আপনি কালকে বলেছেন সমস্যা হবে। আসলে আমি চিন্তায় পরে গেছি। আরেকজন মুফতির সাথেও কথা বলেছিলাম উনিও বলেছেন সমস্যা হবে না।  আমি আবার বুঝিয়ে বলছি দয়া করে আবার আমার কথার উত্তর দিবেন।
১। স্বামী স্ত্রীকে রাগ করে বলে যে কোন একটা বিষয়ে কথা না বলতে,," এই বিষয়ে আর কোনদিন কিছু বলবা না,  বললে মনে করবা ওইদিনই সব শে*। """আসলে স্বামী খুবই বিরক্ত ছিল স্ত্রী বার বার একটি  বিষয়ে কথা বলার কারনে।  তাই স্বামী এই কথা বলে যাতে স্ত্রী আর ওই বিষয়ে  কথা না বলে ভয় পায় যাতে।

এইবার   স্ত্রী ভয় পেয়ে যায় স্বামীর বলা কথা শুনে। সে বার বার স্বামীকে জিজ্ঞেস করে সে এই কথার মধ্যে অন্য ধরনের কোন নিয়ত করেছে কিনা। কারন তালাকের নিয়ত করলে এইসব কথা বলে, তাই হয়ে যায়। সেজন্য সে বার বার জিজ্ঞেস করে৷ কিন্তু স্বামী জান্তো না এইসব কথায় তালাকের নিয়ত করা যায়, তাই সে খুবই বিরক্ত হন। উত্তর দেন না৷ খালি রাগ করেন আর বলেন তুমি বেশি করতেছ। পরে স্ত্রী আবারও জিজ্ঞেস করে তুমি সিরিয়াস কিছু মিন করোনি তো? মানে স্ত্রী তালাকের কথা মুখে না বলে এইভাবে জিজ্ঞেস করেছে৷ তারপর স্বামী উত্তর দেয়, "হ্যাঁ করেছি, তো কি হয়েছে৷ ""?  স্বামীর কোন নিয়ত ছিল না তাও এই কথা বলেছে বিরক্ত হয়ে। তারপর স্ত্রী আবার বলে দেখো মনের নিয়ত ই আসল, তারপর সে বলে তুমি জানলা কিভাবে আমার নিয়ত কি?? স্ত্রী বলে তাহলে তুমি কেন বল না। ""স্বামী বলে এইটুকুও কেন বলে দিতে হবে আমার যে আমি কিছু মিন করিনি৷   এতবার বললাম আমি অন্য কিছু বুঝাইনি তাও কেন জিজ্ঞেস করো? তাই বলেছি," হ্যঁ করেছি"।
পরে স্বামী বলেছে সে প্রথমে বলার সময় কোন কিছু মিন করে বলেনি৷
স্বামী অন্য ধরনের কিছু মিন করেনি বা তালাকের নিয়ত করে বলেনি৷ কারন এই কথার মাধ্যমে তালাকের দেওয়া যায় সে জানতো ও না৷ স্ত্রীর ওয়াসওয়াসার জন্য বার বার জিজ্ঞেস করায় সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিল৷ পরে আবার সত্যি কথাও বলেছে৷
স্বামী সত্যি কথা বলেছে কিন্তু স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী হওয়ায় তাকে সন্দেহ করেছে। এক্ষেত্রে হুকুম কি বলবেন???

((যদি এইখানে শর্ত পরেও যায় তাহলে কি তা একবার শর্তের কারন  পাওয়া মত্র নিঃশেষ হয়ে যাবে?? কারন এইখানে যতবাত ততবার বলা হয়নি, বা স্বামী বলেছে সে শর্ত দেওয়ার জন্য বলেও নি। তাহলে এই কথার মাধ্যমে শর্ত কতবার পরবে?

২।।####স্বামী বলেছিল, " এই বিষয়ে আর কোনদিন কিছু বলবা না, বললে মনে করবা ওইদিনই সব শে*"""" এই বাক্য বলার মাধ্যমে কয়বার শর্ত পরতে পারে বলবেন দয়া করে৷ খুবই চিন্তায় আছি। স্ত্রীর এইটুকুই মনে আছে, অন্যভাবে বলেছিল কিনা মনে নেই৷ ৯৯% সিউর এইভাবেই বলেছিল। এইখানে কোন যতবার ততবার বলা হয়নি, তাও আপনি কথাটা খেয়াল করে বলে দেন বার বার শর্ত পরবে কিনা??

৩। হ্যাঁ করেছি বলার আগেই যদি শর্তটি পাওয়া যায়, তাহলে ও কি পতিত হবে?? কারন হ্যাঁ করেছি কথাটা বলার আগেই ওই ব্যাপারে কথা বলে থাকলে সমস্যা হবে?? কারন স্বামীর নিয়ত ছিল না প্রথম বারে।

(আর স্ত্রীকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে মানা করেছিল স্বামী, তা হচ্ছে একটি তালাকের ঘটনা নিয়ে৷ কিন্তু সেখানে তালাকের মজলিস ছিল না, ঝগড়া বা স্ত্রী তালাক চায়নি।)

৪। বউকি ১ নাম্বার প্রশ্নে উল্লিখিত কথা  বলে শর্ত দিতে পারবে?? অর্থাত ১ নাম্বার প্রশ্নের কথাটা প্রশ্ন করার সময় লিখতে গিয়ে যদি মনে ওয়াসওয়াসা আসে, তাহলে কি সমস্যা হবে???"যদি এই কথা বলো তাহলে অইদিনই,,, এইটুকু লিখার সময় ওয়াসওয়াসা আসেনি, সব শে* লিখতে গিয়ে ওয়াসওয়াসা কাজ করেছে সে নিজের উপর নিয়েছে কিনা৷ "

৫। ১ নাম্বার প্রশ্নের শেষে ঝগড়া বা স্ত্রী তা*** চায়নি এইটুকু লিখতে গিয়ে যদি কোন মহিলা "স্ত্রী তালাকের" কথা বলার সময় মহিলা নিজেকে ভেবে ফেললে কি পতিত হয়ে যাবে?? অর্থাত শুধু " স্ত্রী তা**** " এইটুকু মুখে বলে কি কোন মহিলা তা**** নিতে পারবে?? কারন প্রশ্নে, "স্ত্রী তা*** এইটুকু লিখার সময় তাত মনে ওয়াসওয়াসা এসেছিল।
৪। স্বামী যদি এই ধরনের শর্তমূলক কেনায়া বাক্য বলার পর নিয়ত ভুলে যায় বা পরবর্তীতে বলে যে তার নিয়ত ছিল না।  কারন তার মনে প্রবল বিশ্বাস হয় সে নিয়ত করেনি। তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন যদি প্রথমে তার নিয়ত থেকে থাকে আর সে ভুলে যায়??

৬। স্ত্রী একজন ওয়াসওয়াসার রোগি হওয়ায় স্বামীকে অনেকবার জিগ্যেস করেছে সে কোনসময় কোন কেনায়া বাক্য বলার সময়  অন্য ধরনের কোন নিয়ত করেছিল কিনা অর্থাত তালাকের নিয়ত করে বলেছিল কিনা  কোনকিছু। সে অনেকবার বলেছে বলেনি৷ তাও স্ত্রী আরেকদিন জিজ্ঞেস করলে সে বলে " হ্যাঁ বলেঁছি" এই কথা টা সে খুবই রাগ করে বলে। স্ত্রী পরে ভয় পায় আর জিজ্ঞেস করে, এই কথাটা বললা তুমি? পরে স্বামী অনেক জোড়ে চিতকার করে বলে সকালেও বললাম আমি কিছু বলিনি নিয়ত করিনি এখনই আবার জিজ্ঞেস করতেছো তাইলে আমি আর কি বলবো????? সে কথাটা প্রচন্ড বিরক্ত হয়েই বলেছে বার বার জিজ্ঞেস করার কারণে।  এইখানেও কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর বলেছিলেন হবে না। দয়া করে আমাকে বলবেন কোন দ্বিমত আছে কিনা এই ব্যাপারে??

৭। ১ নাম্বার প্রশ্নে উল্লিখিত ঘটনার পর ৬ নাম্বার প্রশ্নে উল্লিখিত ঘটনা ঘটে,  এবং ১ নাম্বার ঘটনায় যদি তালাকের পতিত হয়ে থাকে তাহলে ৬ নাম্বার ঘটনার সময় আবারও পতিত হবে?? কারন এই দুই ঘটনার মাঝে তাদের বিয়ে পরানো হয়নি।

৮।যদি এমন হয় বিয়ে পরানো না হলেও তাদের ইজাব কবুল হয়ে গেছে, কারন শুনেছি ছেলে যদি বউ হিসেবে পরিচয় দেয় আর মেয়ে সম্মতি দেয় ২ জন সাক্ষির সামনে তাহলে ইজাব কবুল হয়ে যায়। এখন তার স্বামী ১ নাম্বার ঘটনার পর বউ হিসেবে কারোর কাছে পরিচয় করিয়েছিল কিনা বা ইজাব কবুল হয়েছে কিনা তারা কেউ ঈ জানেনা। এখন  তালাকের সংখা কিভাবে গণনা করা হবে??

 ১ নাম্বার ঘটনার পর ফেসবুকে বিবাহ বর্ষিকী উপলক্ষে তাদের একটি ছবিতে মানুষ মেয়েকে ভাবি সম্মোধন করছিল কমেন্টে। এখানে দুইজনই  সম্মতি প্রদান করেছে বা কমেণ্ট করেছে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে?? কারন অনেকেই দেখেছে সেই ছবি।বা কমেণ্ট করেছে। । তাদেরকে কি সাক্ষি হিসেবে ধরা হবে??

   

 

Please log in or register to answer this question.

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.২.৩)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ

এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এই বিষয় নিয়ে কথা বলবা না আর কখনো, বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ।  তার এই কথাত তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না । কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি তুমি সিরিয়াস কোনকিছু ভেবে বলো নি তো? সে তখন খুবই বিরক্ত হয় এবং বলে,"হ্যাঁ,  বলেছি।

এখানে আপনার  প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে, হ্যা বলেছি।আপনার প্রশ্নতেও তালাক ছিলনা। 
তাই এখানে তালাক হবেনা।
এখানের কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করা সংক্রান্ত মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়েছে,এতে তালাক হবেনা।
এখানে সিরিয়াসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে। তবে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না।

(০৪)
স্ত্রী এক  নাম্বার প্রশ্নে উল্লিখিত কথা  বলে শর্ত দিতে পারবেনা।

(০৫)
উক্ত কথা বলার সময় মহিলা নিজেকে ভেবে ফেললে এই ভাবার দ্বারা কোনো তালাক পতিত হবেনা।

(০৬)
এক নং জবাব দ্রষ্টব্য।
 
(০৭)
 তালাক পতিত হবেনা।

(০৮)
এখানে তালাক হবেনা।
নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে চাইলে নিতে পারেন।
উল্লেখিত ছুরতে কোনো ইজাব কবুল ধরা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...