জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো যদি কোনো মুছল্লি ইমামের পূর্বে সালাম ফিরায়,অতঃপর ইমাম সালাম ফিরায়,সেক্ষেত্রে মুক্তাদীর নামাজ হয়ে যাবে।
অবশ্য মুক্তাদীর জন্য এরকম করা মাকরুহে তাহরিমি।
তবে পুনরায় নামাজ আদায় করা জরুরি নয়।
হ্যাঁ যদি ভুলে অথবা কোনো ওযরের কারনে অথবা অযু ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে অথবা কঠিন প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইমানের আগে সালাম ফিরায়,তাহলে নামাজ মাকরুহ হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: صَلّى بِنَا رَسُولُ اللّهِ ﷺ ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمَّا قَضى صَلَاتَه أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِه فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي إِمَامُكُمْ فَلَا تَسْبِقُونِىْ بِالرُّكُوعِ وَلَا بِالسُّجُودِ وَلَا بِالْقِيَامِ وَلَا بِالِانْصِرَافِ: فَإِنِّىْ أَرَاكُمْ أَمَامِىْ وَمِنْ خَلْفِىْ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করালেন। সলাত শেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসলেন এবং বললেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের ইমাম। তাই তোমরা রুকূ‘ করার সময়, সাজদাহ্ (সিজদা/সেজদা) করার সময়, দাঁড়াবার সময় সালাম ফিরাবার সময় আমার আগে যাবে না, আমি নিশ্চয়ই তোমাদেরকে আমার সম্মুখ দিয়ে পেছন দিক দিয়ে দেখে থাকি।
(মুসলিম ৪২৬.মিশকাত ১১৩৭)
حِبَّانُ بْنُ مُوسَى قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْنَا حِينَ سَلَّمَ.
ইতবান ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সালাত আদায় করেছি। তিনি যখন সালাম ফিরান তখন আমরাও সালাম ফিরাই। (বুখারী শরীফ ৮৩৮.আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯৯)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 525):
"ولو أتمه قبل إمامه فتكلم جاز وكره۔
(قوله: لو أتمه إلخ) أي لو أتم المؤتم التشهد، بأن أسرع فيه وفرغ منه قبل إتمام إمامه فأتى بما يخرجه من الصلاة كسلام أو كلام أو قيام جاز: أي صحت صلاته؛ لحصوله بعد تمام الأركان؛ لأن الإمام وإن لم يكن أتم التشهد لكنه قعد قدره؛ لأن المفروض من القعدة قدر أسرع ما يكون من قراءة التشهد وقد حصل، وإنما كره للمؤتم ذلك؛ لتركه متابعة الإمام بلا عذر، فلو به كخوف حدث أو خروج وقت جمعة أو مرور مار بين يديه فلا كراهة، كما سيأتي قبيل باب الاستخلاف (قوله: فلو عرض مناف) أي بغير صنعه كالمسائل الاثني عشرية وإلا بأن قهقه أو أحدث عمداً فلا تفسد صلاة الإمام أيضاً كما مر"
সারমর্মঃ
যদি কেহ ইমামের আগেই নামাজ পূর্ণ করে,তার পর কথা বলে,নামাজ হয়ে যাবে,তবে মাকরুহ হবে।
কোনো মুছল্লি যদি দ্রুত তাশাহুদ ইত্যাদি পড়ে ইমামের আগেই নামাজ শেষ করে দেয়,এমন কোনো কাজ করে ফেলে (যেমন সালাম ফিরিয়ে দেয়) তাহলে নামাজের সমস্ত রুকন পাওয়া যাওয়ায় তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
তবে ইমামের পূর্ণ অনুসরণ না পাওয়ার দরুন মাকরুহ হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই.
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি প্রথমে সালাম ফিরানো সংক্রান্ত যে সন্দেহ করেছেন,এটি সত্য হলেও এক্ষেত্রে আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
★উল্লেখ্য আপনি নিশ্চিত না জেনে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে এগুলো কিছুই মনে করবেননা।
এসব সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা।
এড়িয়ে চলবেন।