১।আসসালামু আলাইকুম হুজুর। কোন স্ত্রীকে তার স্বামী যদি বলে কোন একটা বিষয়ে কথা না বলতে।((বিষয়টি ছিল তালাকের ব্যাপারেই একটা কথা, স্ত্রীর মনে সন্দেহ ছিল তার আগের স্বামীর সাথে সঠিক ভাবে তালাক হয়েছিল কিনা৷ তার বর্তমান স্বামী এই বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করতেন না। তালাকের বিষয়ে ক্কথা বলার জন্য কি এটা তালাকের মজলিস হয়ে যাবে? স্ত্রী চায়নি বা ঝগড়াও হয়নি।)) তাও স্ত্রী ওই বিষয়ে কথা বলার কারনে স্বামী রাগ করে বলে যে, এই বিষয়ে আর কোনোদিন কিছু বলবা না। বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ।
এই কথা শোনার পর স্ত্রী খুব ভয় পেয়ে যায়। তার পর বলে যে শেষ বলতে অন্য কিছু মিন করোনি তো। এই কথার মাধ্যমে কেউ তালাকের কথা বুঝালে তাই হয়ে। স্বামী তার স্ত্রীর কথায় বিরক্ত হচ্ছিল।। স্ত্রী বার বার জিজ্ঞেস করে তুমি ওই কথার মাধ্যমে সিরিয়াস কিছু মিন করোনি তো??? (তালাকের কথা মুখে বলেনি সিরিয়াস কিছু বলতে তালাকের কথাই বুঝিয়েছে স্ত্রী)
এই কথা জিজ্ঞেস করায় স্বামী এইবার আরও বিরক্ত হয় এবং উত্তর দেয়," হ্যাঁ করেছি/হ্যাঁ বলেছি"।
তারপর স্ত্রী বলে দেখো মনের নিয়তই কিন্তু আসল, স্বামী বলে তুমি আমার মনে কি চলে জানলা কেমনে। তুমি জানো আমার মনে কি আছে??
পরে স্ত্রী বলে তাহলে তুমি বলো না কেন??.স্বামী বলে এইটুকু ও বুঝে নিতে পারো না, আমার কেন বলে দিতে হবে?? অর্থাত স্বামী বিরক্ত হয়েছে স্ত্রী কেন নিজে থেকেই বুঝে নিল না সে ওইধরনের কিছু বুঝায়নি।
স্বামী বলে যে আমি বার বার বললাম ওই ধরনের কিছু বুঝাইনি তাও কেন জিজ্ঞেস করলা, তাই বলেছি হ্যাঁ। স্ত্রী বলে তুমিতো রাগ করেছো শুধু , বলোনি এতক্ষন যে মিন করোনি কিছু। বলে দিলেই তো হতো।
এই ঘটনার পরেও স্বামী বলেছে সে প্রথমে বলার সময় ও অন্য কিছু মিন করে বলেনি মানে তালাকের মতো কিছু বুঝায়নি। রাগ করে বলে ফেলেছে।।কোন নিয়ত করে সে বলেনি৷ ((স্ত্রী পরে ভাবতে থাকে স্বামীর কি আসলেই নিয়ত ছিল নাকি সে ভুলে গেছে নিয়তের ব্যাপারে,, সন্দেহ করতে থাকে))
তখন তারা জানতো না তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়া যায়। এখন স্বামীর হ্যাঁ বলেছি কথাটার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে???
২। ১ নাম্বার প্রশ্ন করার সময় স্বামী বলেছিল তার কোন নিয়ত ছিল না যখন স্ত্রী তাকে নিয়তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলো।
যদি এমন হয় কথাটা বলার সময় তার নিয়ত থেকে থাকে কিন্তু স্ত্রী জিজ্ঞেস করার সময় মনে বিশ্বাস হয় সে নিয়ত করেনি বা সে নিয়ত সম্পর্কে ভুলে গিয়ে এই উত্তর দেয়। তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন??? স্ত্রী একজন ওয়াসওয়াসার রোগী তাই স্বামীকে অনেকবার পরবর্তীতেও জিজ্ঞেস করলে স্বামী বলে সে কখনোই এমন নিয়ত করে কিছু বলেনি।এখন স্বামীর কথাই কি বিশ্বাস করবে?? কারন তার স্বামী মিথ্যা বলার মানুষ না। সে ভালোভাবেই বলে এইসব নিয়ত করে সে কিছু বলেনি।
৩। ১ নাম্বার প্রশ্ন লিখার সময় স্বামীর বলা কথাটা লিখতে গিয়ে অর্থাত,,, স্বামী রাগ করে যে কথাটি বলেছিল শর্তের মতো,, (এই বিষয়ে কথা বললে ভাববা,,,,,,,))ওই কথাটি ১ নাম্বার প্রশ্নে লিখার সময়, যদি কোন স্ত্রীর মনে ওয়াসওয়াসা আসে, সে কথাটা নিজের জন্য লিখে ফেললো কিনা??তাহলে কি সমস্যা হবে? সে প্রশ্ন হিসেবেই লিখছিল কিন্তু "সব শেষ" এইটুকু লিখতে গিয়ে সন্দেহ আসে মনে। অমুক কাজ করলে বা অমুক কথা বললে এইসব লিখার সময় মনে কিছু আসেনি,,, এইটুকু লিখার পর যদি মনে মনে সে তাকে ভেবে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে??
৪। কোন স্বামী যদি শর্ত দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে বলতো, তার স্ত্রী যাতে এই কাজটি আর কোনদিন না করে, যদি করে তাহলে ওইদিনই সব শেষ। আর এটা বলে সে যদি তালাকের কথাই বুঝাতো, তাহলে এই শর্তের কাজ স্ত্রী করে ফেললে সাথে সাথে শর্ত নিঃশেষ হয়ে যাবে?? নাকি পরবর্তীতে থাকবে?স্ত্রী যতবার কাজটি করবে ততবারই কি সমস্যা হবে?? কারন এইখানে বলা হয়েছে যদি কাজটি করে তাহলে ওইদিনই সব শে*। শে* তো একদিনই করা যায়, আর শর্তটায় যতবার ততবার উল্লেখ করা হয়নি। তাহলে হুকুম কি??
৫। ৪ নাম্বার প্রশ্নে উল্লেখিত কথা বলে কি কোন মহিলা শর্ত দিতে পারবে??