আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
edited by
১।আসসালামু আলাইকুম হুজুর। কোন স্ত্রীকে তার স্বামী যদি বলে কোন একটা বিষয়ে কথা না বলতে।((বিষয়টি ছিল তালাকের ব্যাপারেই একটা কথা, স্ত্রীর মনে সন্দেহ ছিল তার আগের স্বামীর সাথে সঠিক ভাবে তালাক হয়েছিল কিনা৷ তার বর্তমান স্বামী এই বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করতেন না। তালাকের বিষয়ে ক্কথা বলার জন্য কি এটা তালাকের মজলিস হয়ে যাবে? স্ত্রী চায়নি বা ঝগড়াও হয়নি।)) তাও স্ত্রী ওই বিষয়ে কথা বলার কারনে স্বামী রাগ করে বলে যে, এই বিষয়ে আর কোনোদিন কিছু বলবা না।  বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ।
এই কথা শোনার পর স্ত্রী খুব ভয়  পেয়ে যায়। তার পর বলে যে শেষ বলতে অন্য কিছু মিন করোনি তো। এই কথার মাধ্যমে কেউ তালাকের কথা বুঝালে তাই হয়ে।  স্বামী তার স্ত্রীর কথায় বিরক্ত হচ্ছিল।।  স্ত্রী বার বার জিজ্ঞেস  করে তুমি ওই কথার মাধ্যমে সিরিয়াস কিছু মিন করোনি তো??? (তালাকের কথা মুখে বলেনি সিরিয়াস কিছু বলতে তালাকের কথাই বুঝিয়েছে স্ত্রী)
এই কথা জিজ্ঞেস করায় স্বামী এইবার আরও বিরক্ত হয় এবং উত্তর দেয়," হ্যাঁ করেছি/হ্যাঁ বলেছি"।
তারপর স্ত্রী বলে দেখো মনের নিয়তই কিন্তু আসল,  স্বামী বলে তুমি আমার মনে কি চলে জানলা কেমনে। তুমি জানো আমার মনে কি আছে??
পরে স্ত্রী বলে তাহলে তুমি বলো না কেন??.স্বামী বলে এইটুকু ও বুঝে নিতে পারো না, আমার কেন বলে দিতে হবে?? অর্থাত স্বামী বিরক্ত হয়েছে স্ত্রী কেন নিজে থেকেই বুঝে নিল না সে ওইধরনের কিছু বুঝায়নি।
স্বামী বলে যে আমি বার বার বললাম ওই ধরনের কিছু বুঝাইনি তাও কেন জিজ্ঞেস করলা, তাই বলেছি হ্যাঁ।   স্ত্রী বলে তুমিতো রাগ করেছো শুধু , বলোনি এতক্ষন যে মিন করোনি কিছু। বলে দিলেই তো হতো।
এই ঘটনার পরেও স্বামী বলেছে সে প্রথমে বলার সময় ও অন্য কিছু মিন করে বলেনি মানে তালাকের মতো কিছু বুঝায়নি। রাগ করে বলে ফেলেছে।।কোন নিয়ত করে সে বলেনি৷ ((স্ত্রী পরে ভাবতে থাকে স্বামীর কি আসলেই নিয়ত ছিল নাকি সে ভুলে গেছে নিয়তের ব্যাপারে,, সন্দেহ করতে থাকে))

তখন তারা জানতো না তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়া যায়। এখন স্বামীর হ্যাঁ বলেছি কথাটার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে???

২। ১ নাম্বার প্রশ্ন করার সময় স্বামী বলেছিল তার কোন নিয়ত ছিল না যখন স্ত্রী তাকে নিয়তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলো।
যদি এমন হয় কথাটা বলার সময় তার নিয়ত থেকে থাকে কিন্তু স্ত্রী জিজ্ঞেস করার সময় মনে বিশ্বাস হয় সে নিয়ত করেনি বা সে নিয়ত সম্পর্কে ভুলে গিয়ে এই উত্তর দেয়। তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন??? স্ত্রী একজন ওয়াসওয়াসার রোগী তাই স্বামীকে অনেকবার পরবর্তীতেও জিজ্ঞেস করলে স্বামী বলে সে কখনোই এমন নিয়ত করে কিছু বলেনি।এখন স্বামীর কথাই কি বিশ্বাস করবে?? কারন তার স্বামী মিথ্যা বলার মানুষ না। সে ভালোভাবেই বলে এইসব নিয়ত করে সে কিছু বলেনি।
৩।  ১ নাম্বার প্রশ্ন লিখার সময় স্বামীর বলা কথাটা লিখতে গিয়ে অর্থাত,,, স্বামী রাগ করে যে কথাটি বলেছিল শর্তের মতো,,  (এই বিষয়ে কথা বললে ভাববা,,,,,,,))ওই কথাটি ১ নাম্বার প্রশ্নে লিখার সময়, যদি  কোন স্ত্রীর মনে ওয়াসওয়াসা আসে, সে কথাটা নিজের জন্য লিখে ফেললো কিনা??তাহলে কি সমস্যা হবে? সে প্রশ্ন হিসেবেই লিখছিল কিন্তু "সব শেষ" এইটুকু লিখতে গিয়ে সন্দেহ আসে মনে। অমুক কাজ করলে বা অমুক কথা বললে এইসব লিখার সময় মনে কিছু আসেনি,,,  এইটুকু লিখার পর যদি মনে  মনে সে তাকে ভেবে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে??

৪। কোন স্বামী যদি শর্ত দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে বলতো,  তার স্ত্রী যাতে এই কাজটি আর কোনদিন না করে, যদি করে তাহলে ওইদিনই  সব শেষ।  আর এটা বলে সে যদি তালাকের কথাই বুঝাতো, তাহলে এই শর্তের কাজ স্ত্রী করে ফেললে সাথে সাথে শর্ত নিঃশেষ হয়ে যাবে?? নাকি পরবর্তীতে  থাকবে?স্ত্রী যতবার কাজটি করবে ততবারই কি সমস্যা হবে?? কারন এইখানে বলা হয়েছে যদি কাজটি করে তাহলে ওইদিনই সব শে*।  শে* তো একদিনই করা যায়, আর শর্তটায় যতবার ততবার উল্লেখ করা হয়নি। তাহলে হুকুম কি??

৫। ৪ নাম্বার প্রশ্নে উল্লেখিত কথা বলে কি কোন মহিলা শর্ত দিতে পারবে??

1 Answer

0 votes
by (564,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(১.২.৩)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ

এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এই বিষয় নিয়ে কথা বলবা না আর কখনো, বললে ভাববা ওইদিনই সব শেষ।  তার এই কথাত তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না । কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি তুমি সিরিয়াস কোনকিছু ভেবে বলো নি তো? সে তখন খুবই বিরক্ত হয় এবং বলে,"হ্যাঁ,  বলেছি।

এখানে আপনার  প্রশ্নের জবাবে সে বলেছে, হ্যা বলেছি।আপনার প্রশ্নতেও তালাক ছিলনা। 
তাই এখানে তালাক হবেনা।
এখানের কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত করা সংক্রান্ত মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়েছে,এতে তালাক হবেনা।
এখানে সিরিয়াসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে। তবে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না।

(০৪)
এখানে যেহেতু স্বামী যতবার,ততবার জাতীয় বাক্য ব্যবহার করেনি,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত এই শর্তের কাজ স্ত্রী করে ফেললে সাথে সাথে শর্ত মোতাবেক তালাক হয়ে যাবে।
পরবর্তীতে শর্ত আর বহাল থাকবেনা।
স্ত্রী যতবার কাজটি করবে ততবারই  সমস্যা হবেনা।

(০৫)
না,এভাবে কোনো মহিলা শর্ত দিতে পারবেনা।
তাতে তালাকও হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...