আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (12 points)
আসসালামুয়ালায়কুম।
শায়েখ।
প্রশ্ন হল একজন রিয়া বা অন্য যে কোন কারনে একটা মানুষ এর সাথে শিকরএ আকবার হয়ে জায়৷ এখন সে তওবা করছে।  তার তখন তওহিদ এর ইলম ছিল না।  সে তওবা করেছে।  কিন্তু ঐ ব্যাক্তি কে দেখলে আবার শিরক এর ওয়াসঅসা আসে।  এখন তার করনিয় কি? একটু বিস্তারিত ভাবে বলবেন।  এই শিরক এখন ও থাকলে তো চির স্থায়ী জাহান্নামী হবে।
এটা কি অন্তরের রোগ  হয়ে গেছে?  এর থেকে কিভাবে আত্মরক্ষা করবে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯.মিশকাত ৫৩২৮, রাওদুন নাদীর ৮৬৩)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এক্ষেত্রে যদি তাকে দেখলে শুধু শিরকের ওয়াসওয়াসা আসে,তবে শিরকি কাজ প্রকাশ না পায়,তাহলে এতে সমস্যা নেই।

তবে তাকে দেখলেই যদি শিরক হওয়ার সম্ভাবনা হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য করনীয় হলো তাকে এড়িয়ে চলা।
এবং আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া।
তার সামনে নামাজ না পড়ে অন্যত্রে নামাজ পড়বে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এক্ষেত্রে যদি সমস্যা যদি শুধুমাত্র রিয়া হয়, ইবাদিত করার সময় সে সামনে থাকলে তাকে দেখানোর উদ্দেশ্য এসে যায়,তাহলে এক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন মূল উদ্দেশ্য থাকলে ইবাদত শুদ্ধ হবে।
এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে আর নফসের বিরুদ্ধে চেষ্টা প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ রোগ থেকে মুক্তি মিলবে,ইনশাআল্লাহ। 
তদুপরি তার সামনে নামাজ পড়া হতে বিরত থাকলে ভালো।

আর যদি শুধুমাত্র তাকেই দেখানো উদ্দেশ্য হয়,আল্লাহকে দেখানো  উদ্দেশ্য না হয়,সেক্ষেত্রে          উক্ত ব্যাক্তির সামনে ইবাদত করাই যাবেনা।
তাকে এড়িয়ে চলবে।
তার সামনে নামাজ না পড়ে অন্যত্রে নামাজ পড়বে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...